সেই প্রশান্তির হাসি.....
ভিনার চোখের সামনে ভেসে ওঠে সোহেলের ক্লান্ত চেহারায় ফুটে ওঠা প্রশান্তির হাসির স্পষ্ট ছবি।সেই হাসির কাছে নিজের সন্দেহ,ভাগ্য এবং অনিশ্চয়তা ঠুনকো হয়ে যায় মুহূর্তেই।রুশান সোহেলের কাছে ভিনাকে বিয়ের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেটা কতটা মজবুত ভিনা জানে না।শুধু এতটুকু জানে এই প্রতিশ্রুতি সোহেলকে শান্তির ঘুম এনে দিবে, সুস্থতা এনে দিবে অনেকখানি।বর্তমানে এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কীই বা হতে পারে।
যার সাথে সারাজীবন থাকার প্রতিশ্রুতি রুশান দিলো,তার সাথে কোনো বাক্যবিনিময় হলো না।শুধুমাত্র ক্ষণিকের দৃষ্টি বিনিময়ে বুঝিয়ে দিলো,এটা নিছক আবেগ না,এর চেয়ে অনেক বেশি কিছু।রুশান বাইশ শেষে তেইশে পরবে সামনে।এই অস্থির বয়সে স্থায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া খুব কঠিন।ভিনা জানালা দিয়ে বাইরের ব্যস্ত শহরের দিকে তাকিয়ে নিজেকে বুঝ দিলো,ভাঙবে।এই মেঘের মতো অস্থায়ী রঙ্গিন স্বপ্নটা ভাঙবে জলদিই।রুশানের থেকে কোনো কিছু আশা করে না ভিনা,বিয়ে তো অবশ্যই না।তবু সে কৃতজ্ঞ রুশানের প্রতি।এত কঠিন সময়ে মিথ্যে ওয়াদা দিয়ে হলেও একজন মুমূর্ষু কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার চোখে শান্তির ঘুম এনে দিয়েছে।এর বেশি এক রত্তিও ভিনা ভাবছে না।কিন্তু বহু মাস পরে রুশানের হটাৎ আগমনে হৃদস্পন্দন যে স্বাভাবিক নেই সেটারও বা কী করবে।অবাধ্য মন যে বাস্তববাদী সত্ত্বার সাথে শীতল যুদ্ধে নেমে গেছে।প্রাপ্য ভালোবাসাকেও এখন ভীষণ ভয় হয়,আবার ভয় হয় তীব্র একাকীত্বের।ভিনা জানালায় হাত দিয়ে চোয়াল শক্ত করে নিজের সাথে যুদ্ধ করতে লাগলো।মাত্র বাইশেই জীবনে ধূসরতা এনে ফেলেছে,কিন্তু মাঝে মাঝে সাজানো সংসারে বাধভাঙ্গা ভালোবাসা পাওয়ার ইচ্ছেও যে উঁকি দেয়!
_______________
মুনা মাহভিন কে নিয়ে বেডরুমে বসে আছে।পাশে চুমকি আকুপাকু করছে,কিন্তু কিছু বলছেনা।মুনাকে স্বান্তনা দিতে ভীষণ ইচ্ছে করছে ওর,তবে সাহসে কুলাচ্ছে না।ছোট মুখে আসলে বলার কিছু নেই।
মুনা আলমারি ঘেটেও ব্যাংকের কোনো কাগজ খুঁজে পায়নি।হাসপাতালের বিলের জন্য ক্যাশের প্রয়োজন।ইতিমধ্যে লাখ খানেক টাকা বিল দেয়া হয়ে গেছে।সাধারণত বুদ্ধিমান কেউই বেশি ক্যাশ টাকা বাসায় রাখেন না।তাই আলমারিতে কিছুই নেই বিয়ের গয়না ছাড়া।বিয়েতে সোহেলের পক্ষ থেকে দেয়া গয়না মুনার মা লতিফা নানা ছলেকলে নিয়েছিলেন যখন সে প্রেগন্যান্ট ছিলো।মুনা আবেগে ভেসে লুকিয়ে সোহেলের দেয়া গয়নাগুলো দিয়ে দিয়েছে।এখন আছে মুনার নিজের বাড়ি থেকে পাওয়া গয়না এবং ভিনার মার শিউলির গয়না।অবশ্যই মুনা শিউলির গয়নায় হাত দেয়নি,নিজের গয়নাই আগে বন্ধক রাখতে গিয়েছে।তখন জানতে পেরেছে এই সব গয়নাই রূপার।গয়না বলতে হালকা ধরনের নেকলেস,কানের দুল এবং আংটি।মুনা প্রথমে বিশ্বাস ই করতে চাননি তার পরিবার এমন করতে পারে।পরে অন্য দোকানে নিয়েও যখন একই উত্তর পেলেন,বুঝলেন খুব বাজেভাবে ঠকে গেছেন জীবনে।বুকে অসহ্য যন্ত্রণা এবং শুষ্ক চোখ নিয়ে গয়নাগুলো বন্ধক না রেখে বিক্রিই করে দিলেন।এই গয়না নিজের কাছে রাখলেও বারবার মনে করিয়ে দিবে নিজের পরিবারের অবহেলার কথা।নানা চার্জ কেটে অবশেষে হাতে সাড়ে ছয় হাজার টাকা পেলেন।সেটা নিয়েই বাড়ি ফিরলেন গাড়ি করে।কী অদ্ভুত,নিজেদের গাড়িতে ফিরছেন অথচ হাতে নগদ টাকার টানাটানি। একেই হয়ত বলে নিয়তি।সব দিয়েও কাঙাল করে দেয়।বাসায় ফিরেই বিছানার উপর চুপচাপ বসেছিলেন।চুমকি কারণ জিজ্ঞেস করায় একদম শান্তভাবে বলেও দিয়েছেন-
'বিয়েতে আমাকে নকল গয়না দিয়েছে রে। বেশি টাকা পেলাম না।'
এরপর থেকেই চুমকি মাহভিন কে নিয়ে মুনার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।না কিছু করতে পারছে,না কিছু বলতে।অনেক্ষণ এভাবে বসে থাকার পর মুনা ভিনাকে ফোন দিলেন।ফোন দিয়ে সব ঘটনা খুলে বললেন এক এক করে।
-- বাবার কোনো ব্যাংক ডকুমেন্ট পাওনি?
-- না,আলমারিতে খুঁজলাম।একটা লকার আছে শুধু,চাবি কোথায় জানি না।
-- বাবার ফোন কোথায়?ফোনে যদি ব্যাংক একাউন্টের ট্রাঞ্জেকশনের মেসেজ আসে,তাহলেও বুঝা যাবে কত টাকা আছে।
-- আচ্ছা,দাঁড়াও আমি চেক করে বলছি।
পাঁচ মিনিট পরে মুনা আবার কল করলেন।কন্ঠে চাপা উত্তেজনা।
-- তুমি ঠিক ধরেছিলে।মেসেজ চেক করে তো চিন্তায় পরে গেলাম ভিনা।
-- কেন?কী হয়েছে।
-- গত দুইদিনে আট লাখ টাকা একুশ হাজার সাতশ টাকা একাউন্ট থেকে তোলা হয়েছে।অথচ সোহেল তো হাস্পাতালে ভর্তি।এত টাকা তুললো কে?
-- তুমি শিওর?ডেট টাইম সব চেক করেছো?
-- হ্যাঁ
--ব্যালেন্স কত এখন?
-- শূণ্য....
-- এই একটা একাউন্ট তো বাবার থাকার কথা না।আর কোনো মেসেজ আছে কি?
-- না,পেলাম না তো।
-- আচ্ছা।এসব পরে ভাবা যাবে।আগে টাকার ব্যবস্থা করি।বাবা এখন আগের চেয়ে ভালো আছে।সময় হলে জানাবো।এখন কিছু বলার দরকার নেই।হাসপাতালের বিল দিয়ে বাসায় নিয়ে আসি আগে।
-- কিন্তু আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিনা কী করবো।
-- আমার জমানো আছে কিছু টাকা,আপাতত সেগুলো নিয়ে আসি।ঔষুধ লাগবে অনেকগুলো।বাকী টাকা আমিই ম্যানেজ করবো।তুমি মাহভিনকে ঠিকঠাক করে এখানে আসো।
-- তোমার চাচাকে ফোন করবো?
-- প্রশ্নই আসেনা।উনি দুইদিনের অতিথি এখানে,বিদেশ ফেরত যাবেন জলদিই।ভাই মরতে বসেছে জানানো তো হয়েছে।একবারো ফোন করেছে?লাগবে না এমন চাচা আমার।
-- ঠিকাছে।আমি রাখি এখন।ঘন্টা খানেকের মধ্যে আসছি।
মুনা জলদি করে সব গোছাতে লাগলেন।এত ভয়ের মাঝেও কোথায় যেন ভরসা পাচ্ছেন।ভিনার কড়া কথাগুলো কানে বাজছে,বড় হয়ে গেছে মেয়েটা।পারবে ঠিকি সব সামলে নিতে।
রুশান,প্রিতি,রেহান আগেই চলে গেছে।মুনা হাসপাতালে পৌছানোর পর ভিনা এক কাপ কফি নিয়ে ক্যান্টিনের কোণায় বসে হিসাব মেলাতে বসলো।গত কয় মাসের ঘটনা এক এক করে সাজাতে লাগলো।সোহেলের ব্যবসায়িক জীবন নিয়ে কারো সাথেই আলোচনা করতেন না। নিজের পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবন সবসময় মোটা দাগে আলাদা করে রাখতেন। একি স্বভাব ভিনাও পেয়েছে।প্রয়োজনের বাইরে কোনো কথাই বলা হয় না।কিন্তু এটা সবসময় ভালো না,এখন সেটা ভালোমতোই টের পাচ্ছে।সোহেল একজন ঘনিষ্ট বন্ধুকে সাথে নিয়ে ব্যবসা করছেন।আগে ভিনা টুকটাক যাওয়া আসাও খেয়াল করতো, অনেক সময় বিভিন্ন পার্সেল ও আসতো।এমনকি উনার মাধ্যমেই বিয়ের প্রস্তাব এসেছিলো ভিনার জন্য।বিয়ে নিয়ে সোহেল যে ধরনের অস্থিরতা দেখিয়েছেন সেটা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে,শুধু মেয়েকে সংসারী করা না,আরো বড় কোনো সমস্যা আছে।ড্রাইভারকেও সেভাবে আসতে দেখা যায় না।এর মানে একটাই দাঁড়ায়,সোহেল ব্যবসায় লোকসানের সম্মুখীন হয়েছেন।এ কারণেই মোটামুটি অবস্থাপন্ন থাকা অবস্থায়ই সসম্মানে মেয়েকে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন।আজকে বিয়ে নিয়ে এই দুশ্চিন্তাও একি কারণে।
ভিনা বড় করে নিঃশ্বাস নিয়ে হেলান দিলো চেয়ারে।এখন নিজের জমানো টাকা সহ রেহানের কাছ থেকে টাকা ধার নিতে হবে হস্পিটালে বিলের জন্য।এরপর সোহেল একটু সুস্থ হলেই খোলাসা করে সব আলোচনা করতে হবে।দরকার পরলে আগের ফ্ল্যাট,গাড়ি বিক্রি করলেও সমস্যা নেই।এসবকিছু ভীষণ চাপ দিবে সোহেলের উপর,খুব সাবধানে সব বিষয় সামলানো দরকার।ভিনা যত যাই করুক,বয়স কম। হাজার হলেও সোহেলের সম্পূর্ণ ভরসার জায়গা হতে পারবে না।কীভাবে একটু আশ্রয় দেয়া যায় সোহেলকে?
অনেক্ষণ ভাবার পর ভিনা সিদ্ধান্তে আসলো।অনেক অনেক কঠিন হলেও করতে হবে এটা।সোহেলের বয়স যতই হোক,সে নিজেও কারো সন্তান।মা বেঁচে থাকতে সন্তানের জন্য ভরসার জায়গা আর কে হতে পারে?
ভিনা নিজের দাদিকে ঢাকায় আনার সিদ্ধান্ত নিলো।এর আগে মুনার কাছে গেলো কথা বলার জন্য।কারণ ভিনার দাদি জাদরেল মহিলা।একে ঘরে আনা মানে সবার তটস্থ থাকা।কিন্তু সবার উপরে উনি একজন মা। এই জায়গায় আপোষ করার সুযোগ নেই।ভিনার চিন্তাভাবনার সাথে মুনা দ্বিমত করতে পারলো না।ব্যক্তিগত দিক থেকে আপত্তি থাকলেও সোহেলের কথা ভেবে রাজি হয়ে গেলেন।
ভিনা বাসায় যেয়ে নিজের জমানো টাকা বের করলো।এরপর লজ্জা নিয়েই ফোন দিলো প্রিতিকে।সব খুলে বলার পর প্রিতি ইচ্ছামতো গালাগাল করলো আগে না জানানোর কারণে।ভিনা হাসিমুখে মেনে নিলো।বিশ্বাস ছিলো প্রিতি ঠিকি পাশে দাঁড়াবে,দাঁড়িয়েছেও।কিছু রক্তের বাইরে সম্পর্ক ও ছায়ার মতো থাকে পাশে।ভিনা প্রিতি অথবা রুদমিলা কারো জন্যই খুব বেশি কিছু করেনি।শুধু স্বার্থহীনভাবে ভালোবেসে গেছে,অনুভূতিতে খাদ না রেখে। আজকে এই দুঃসময়ে তারাই পাশে দাঁড়িয়েছে,আর রক্তের স্বার্থপর সম্পর্কগুলো সচেতনভাবে গা বাঁচিয়ে গেছে।
ভিনা সব চিন্তা বাদ দিয়ে শক্ত হাতে ফোন ধরলো।ধীরে ধীরে ডায়াল করলো সোহেলের চাচি আসমার নাম্বার।ওপাশ আসমা ফোন ধরে খবর জানার পরই মাতম করে পুরো বাড়ি মাথায় তুলে ফেললো।ভিনার ক্ষণিকের জন্য মনে হলো এই মাতমে নিজের দাদিই না অসুস্থ হয়ে পরে।কিন্তু জমিরা বিবি শক্ত মানুষ,ভেতরে প্রচন্ড কষ্টের কারণে গলা কেঁপে গেলেও কান্না করলেন না।জানালেন তিনি আসছেন জলদিই।ভিনার স্পষ্ট মনে আছে জমিরা বিবি কী করেছেন অতীতে।সেখানে চরিত্রগুলো ভিন্ন ছিলো,শ্বাশুড়ি এবং দাদি হিসেবে ভূমিকা খারাপ হলেও মা হিসেবে ব্যর্থ হবেন না,ভিনা নিশ্চিত।
সব দায়িত্ব পালন করার পর ভিনার চোখ পরলো ড্রয়ারে রাখা ডায়রির উপর,যেখানে বড় করে মাহভিন'স লেখা।মুচকি হেসে ডায়রির উপর হাত বুলিয়ে রেখে দিলো।আর বেশিদিন না,এরপরেই ডায়রির পৃষ্ঠাগুলো ভরে উঠবে নতুন হিসাবে।বাস্তবতা যখন কঠিন,নাহয় বয়সের আগেই বড় হয়ে গেলো।বাবার দায়িত্বের ভার,নিজের কাধে নিলো।
_________________
-- কী ব্যাপার রেহান?তুমি কি আপসেট?দেখো এমাউন্ট তো বেশি না।
-- আমি অবশ্যই টাকার কথা ভাবছিনা প্রিতি।
-- তাহলে?
-- রুশানের কথা ভাবছি।
-- তু...তুমি খুশি না?
-- না।সত্যি বলতে আমি খুশি না।
-- এসব কী বলছো রেহান.....ভিনার মতো মেয়ে হয় না
-- তুমি ঠিক বলেছো,ভিনার মতো মেয়ে হয় না।কিন্তু সমস্যা ভিনার না।সমস্যা আমার মার।
-- কোথায়?হ্যাঁ জানি উনি একটু রাগী,কিন্তু কখনো আমার সাথে মিসবিহেভ করেননি।
-- করার সুযোগ পায়নি,আর একদিক দিয়ে করার আগ্রহ ও ছিলো না তার।দেখো প্রিতি,নাবিহার ঘটনার পরে মার সাথে আমার হিউজ ডিস্ট্যান্স এসে পরেছে।তাছাড়া আমি ছোটবেলা থেকেই একা থাকতে পছন্দ করতাম।তাই আমাকে ভালোবাসলেও আলাদা বন্ডিং কখনোই ছিলো না।কিন্তু রুশানের ব্যাপারটা আলাদা।রুশান ছোটো থেকেই অন্যরকম।মানুষ ওকে ভালোবাসতে বাধ্য হয়।মা রুশানকে অসম্ভব ভালোবাসে,আমি বোঝাতে পারবো না কত।আমি তো ভেসেই গেছি,কিন্তু রুশানের ক্ষেত্রে মা মানবে না।
-- এসব বলো না রেহান প্লিজ!
-- তুমি ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছো বেশি।প্রিতি বিষয়গুলো এত সহজ না তুমি যতটা ভাবছো।মা রুশানের জন্য এমন মেয়ে আনবে যে মেয়েকে উনি ডোমিনেট করতে পারবে।রুশানকে হাতছাড়া কখনোই হতে দিবে না।আর ভিনা রুশানের সমবয়সী।তার চেয়েও বড় হলো ভিনা বুদ্ধিমতী ইন্ডিপেন্ডেন্ট একটা মেয়ে....
-- যাকে মা ডোমিনেট করতে পারবেন না...
-- এক্সাক্টলি।
প্রিতি বুঝতে পারছে না কী বলবে।সবকিছু এলোমেলো লাগছে।প্রিতি এরকম অস্থির দেখে রেহান কাঁধে হাত রাখলো।
-- আমি ফ্যাক্ট বলছি প্রিতি।
-- আমি এখন বুঝতে পারছি।আচ্ছা,সায়বা খালা,উনি কি কোনো হেল্প করতে পারবেন না?
-- সায়বা খালাকে মা ইনফর্মার হিসেবে ইউজ করে। এর বাইরে কোনো গোণায় ধরে না।মা খুব প্র্যাক্টিকাল এবং ক্যালকুলেটিভ মানুষ।সবকিছু ছক কষে করে।
-- কিন্তু জীবন ছকে ফেলা যায় না।
-- জানি
-- ভিনা কি কখনোই সুখী হতে পারবে না রেহান?
-- কে সুখী এই পৃথিবীতে? কেউ না।কারো দুঃখ ধ্বংস করে দেয় সবকিছু। আর ভিনার এই দুঃখগুলোই আজকের এই ভিনাকে বানিয়েছে। এত ঝড়ঝাপ্টা না সামলালে ও কখনোই আজকের মতো ম্যাচিওর হতো না।লেটস এপ্রশিয়েট হার স্যাডনেস।
-- তবুও...
-- ভাগ্যের উপর কারো হাত নেই।
.
.
.
চলবে..........................................................................