কখনো আঁধারে হেরে যায়, নব পরিনীতা। অন্তিম লগ্নে জিতে যায় যে, সেই তো লগ্নজিতা।
বাংলাদেশের আট দশটা পরিবারের মত সদ্য অনার্স পাশ করা লগ্নর বাবা মায়েরও চিন্তা তাকে কবে একজন ভালো পাত্রের হাতে তুলে দিয়ে তারা নিশ্চিন্ত হবেন। কিন্তু লগ্ন তা চায় না। সে চায় বিদেশে মাস্টার্স ডিগ্রী নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে। বিদেশে গিয়ে না জানি কাকে বিয়ে করে ফেলে মেয়ে সে চিন্তা থেকে লগ্নের বাবা বিয়ের জন্য আরো উঠে পড়ে লাগেন। এদিকে লগ্ন না পারছে কাউকে মানসিক ভাবে স্বামী হিসেবে মেনে নিতে , আর না পারছে তার বাবাকে কষ্ট দিতে। অনেক বিবেচনা করে তাই সে বাবার পছন্দ করা এক পাত্রের সাথে দেখা করতে রাজি হয়ে যায়। আচার ব্যবহারে যথেষ্ট মার্জিত ইফতি প্রথম পরিচয়েই লগ্নকে বিয়েতে রাজি করাতে সক্ষম হয়। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন এর মাথায়ই তাকে ফিরে যেতে হবে আমেরিকায় চাকরির খাতিরে। অবশ্য লগ্ন যে যাবে না তা না… কয়েক মাসের মধ্যে সেও পড়াশোনার জন্য পাড়ি জমাবে ইফতির কাছে। এই অল্প কিছুদিনেই চেনা জানা হতে থাকে ইফতি আর লগ্নের। যে লগ্ন বিয়েই করতে চাচ্ছিলো না সেই এখন প্রহর গুনে কবে কবুল বলে সারাজীবনের জন্য আপন করে পাবে ইফতি কে। অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ হলেও বিয়ের আগেই ইফতি আর লগ্নের মাঝে তৈরী হয় এক অটুট বন্ধন। অবশেষে সেই মহেন্দ্রক্ষণ আসে যখন তারা একে অপরের হয়ে যায় ধর্মীয় ও সামাজিক রীতিনীতি মেনে। লগ্ন যেন ছিলো এক স্বপ্নের জগতে। নাকি এ ছিলো শুধুই তার ঘোর? জানতে চাইলে পড়ে ফেলুন ‘লগ্নজিতা’। সুমাইয়া কবির
মৌরি মরিয়ম রচিত আরও কিছু জনপ্রিয় গল্পঃ—
সকল পর্বের লিংক সমূহ
মৌরি মরিয়ম রচিত আরও কিছু জনপ্রিয় গল্পঃ—