'মেয়েদের সমস্যাটা কোথায় বলো তো? প্রেম হওয়ার এক দু'মাস যেতে না যেতেই তোমরা বিয়ে করার জন্য উঠেপড়ে লাগো?'
আরজু'র কাছ থেকে এমন কথা কখনোই আশা করেনি সামার। আরজু সবকিছু ভালো বোঝে, সামারের সম্পর্কে সে ভালোভাবেই অবগত। তবুও রাগের কপট স্বরে আরজু এমন কথা বলে বসবে সেটা নিতান্তই দুঃখজনক।
সামার বলল, ' বিয়ের প্রসঙ্গ কে আগে তুলেছিল আরজু? তুমি না আমি?'
'আমিই তুলেছিলাম। সেটা তো কথার কথা। আমি বলতেই পারি, আমরা কবে বিয়ে করবো? তাই বলে তুমিও এমন লাফালাফি শুরু করে দেবে সেটা আমার অজানা ছিল।'
'আমি লাফালাফি করছি না মোটেও। তুমি তোমার সময়মত সবকিছু কোরো। এখন যেহেতু অর্ণব ভাইয়াকে তোমার ব্যাপারে বলে ফেলেছি, সঙ্গে বাবা মাকেও জানাতে বলেছি। ওনার সঙ্গে তুমি অন্তত দেখা করো। তারপর বাসায় কথা বলতে হলে আমি সেটা ম্যানেজ করবো।'
আরজু দুই হাত জোর করে বলল, 'প্লিজ মাফ করো। এইমুহুর্তে আমি কোনো পারিবারিক ঝামেলায় যেতে পারবো না। আমি এমনিতেই নানান ধরনের টেনশনে আছি। আমাকে কিছুদিন সময় দাও।'
সামার হতবাক হয়ে রইল অনেক্ষণ। আরজু এমন অসহায় ভঙ্গীতে তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকবে, এটা অপ্রত্যাশিত। নিজেকে সামলে নিয়ে সামার বলল, ' তোমাকে তো আজকেই বিয়ে করতে বলছি না। আজকে অর্ণবের সঙ্গে দেখা করতেও আপত্তি আছে?'
'অর্ণবও তোমাদের ফ্যামিলি মেম্বারের মধ্যেই পড়ে। এখন ফ্যামিলির ব্যাপার গুলো নিয়ে কথা না বললেই নয়?'
সামার আর কথা বাড়ানোর প্রয়োজন মনে করলো না। আরজুকে মুক্ত করে দেয়া উচিৎ তার। যতটা মুক্ত করে দিলে ঘুরেফিরে তার কাছেই ফিরে আসতে হবে। বিয়ের মতো একটা ব্যাপারকে জোর করে কারও ওপর চাপিয়ে দেয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছেও নেই সামারের।
খানিকটা সময় নিরবে কেটে যাওয়ার পর আরজু বলল, 'কিছু খাবে না? অর্ডার দাও?'
সামার মেন্যুতে চোখ বুলিয়ে দুই কাপ কফি'র অর্ডার দিয়ে মাথা নিচু করে বসে রইল। ভেতরে রাগ গর্জে উঠছে তার। জনবহুল রেস্টুরেন্টে বসে আরজুর সঙ্গে তিরিক্ষি মেজাজে কথা বলার মতো অপরাধ সে করবে না। আরজু মাথা গরম টাইপের ছেলে। পাছে হিতের বিপরীত হয়ে যাবে।
দুজনে চুপচাপ কফি শেষ করে উঠে যেতে উদ্যত হল আরজু। সামারের হাতের ওপর হাত রেখে আশ্বাস দিয়ে বলল, 'তোমাকে তো জোর করে বিয়ে দিচ্ছে না। বিয়ে নিয়ে বাসায় এখন কোনো প্রেশার নেই। কাজেই আমরাও নিজেদের মতো কিছুদিন সময় কাটাই, তারপর এই সিদ্ধান্তে আসি? আমার ওপর ভরসা রাখো সামার। আমি তোমাকে ভালবাসি।'
শেষ লাইনটা শুনে বুকের ভেতর কোথাও যেন রিনঝিন বাজনা বেজে উঠল। সেই পুরনো সুর! যতবারই আরজু তাকে মুখ ফুটে ভালবাসি বলেছে, আপন রঙে এই সুর বেজে উঠেছে সামারের হৃদয়ে। আজ মন খারাপের ক্ষণেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এই একটা বাক্য কীভাবে এত শক্তিশালী হয়, তা জানা নেই সামারের।
আরজু উঠে এসে সামারের কপালে আলতো চুম্বন করে বলল, 'আজ আমাকে উঠতে হবে। জরুরি কাজ আছে লক্ষিটি।'
'ঠিক আছে। যাও।'
'রাগ করে আছো?'
'না।'
'তোমাকে রিকশায় তুলে দেই?'
'না। তুমি যাও। আমি আরও কিছুক্ষণ এখানে বসে থাকবো।'
'তাহলে আমিও থাকি?'
'তোমার তো জরুরি কাজ আছে।'
'আমার কাজ নিশ্চয়ই তোমার চাইতে গুরুত্বপূর্ণ নয়।'
পুনরায় নিজের চেয়ারে গিয়ে বসল আরজু। সামারের হাত মুঠোয় চেপে রইল সে। নানান ঢঙে প্রেমের কথা বলে প্রেমিকার মন ভালো করে দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যেতে লাগল।
সন্ধ্যাবেলা অফিস থেকে বেরিয়েই সামার'কে ফোন করল অর্ণব। আনন্দমুখর কণ্ঠে বলল, 'আমি এখন থেকে সারা রাত ফ্রি আছি ম্যাডাম। কিছু কথা বলবেন বলেছিলেন?'
সামার একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, 'না ভাইয়া। আজকে আর বলার নেই কিছু। অন্য একদিন বলবো।'
'এর আগেও একটা কথা বলবেন বলে আর বলেন'নি কিন্তু।'
'সেটা আর শোনার প্রয়োজন নেই আপনার।'
সামার ফোন রেখে দিলো। সে জানতেও পারল না, ফোনের বিপরীত দিকে থাকা মানুষটা কী ভীষণ হতাশ হয়েছে৷ আজ তার সঙ্গে দেখা হবে ভেবে অর্ণব বেলীফুলের মালা কিনে সযত্নে পকেটে রেখে দিয়েছিল। পকেটেই দুমড়ে মুচড়ে গেল সেই ফুল!
বিছানায় শুয়ে আছে জাহ্নবী। অন্ধকারাচ্ছন্ন ঘর। মশার গুণগুণানী ছাড়া আর কোনো শব্দ নেই এখানে। বুকে বালিশ জড়িয়ে রেখে জাহ্নবী ঘুমানোর চেষ্টা করছে দুই ঘন্টা যাবত। কিছুতেই ঘুম আসছে না। তন্দ্রাঘোর ও পান্নবাহারের ঘোর, দুইয়ে মিলে এক আজব জটিলতায় ভুগছে সে। নিজেকে বারবার বোঝাতে চেষ্টা করছে, আজকে যা কিছু ঘটেছে, সবই সত্যি। তবুও তার মনে হচ্ছে, আজকের দিনটা একটা স্বপ্নময় দিন। পান্নাবাহারের সঙ্গে তার দেখাই হয়নি। এই ঘোর নিয়ে বেশিক্ষণ শান্তিতে থাকা যায় না।
ফোন বেজে উঠল। ভায়োলেট কল দিয়েছে। জাহ্নবী রিসিভ করতেই গাড়ির হর্ন ভেসে এল। ভায়োলেটের কণ্ঠ চাপা পড়েছে সেখানে।
'হ্যালো আপু..'
' শুনতে পাচ্ছিস?'
'হ্যাঁ। আপু আমি আসছি। আর দশ মিনিট লাগবে। তুমি বাসায় আছো তো?'
'হ্যাঁ বাসায় আছি। চলে আয়। খুব ভালো হবে।'
'আপু, আমি বাজারে আছি। কিছু লাগবে তোমার?'
'না।'
'কই মাছ নিয়েছি। নতুন আলু দিয়ে কইমাছের ঝোল রান্না করবে। বাসায় নতুন আলু আছে?'
' না, নেই।'
'আমি নিয়ে আসছি তাহলে। তুমি ফাস্টফুড খাবে?'
' তোর কিছু খেতে ইচ্ছে করলে নিয়ে আয়।
'আচ্ছা' বলে ফোন রেখে দিলো ভায়োলেট। জাহ্নবী ঘরের আলো জ্বালিয়ে দিলো। আলোর স্ফুরণে ঘোর খানিকটা কেটে গেল তার। ভায়োলেট এলে অনেক মজা হবে। ওর গল্প শুনে রাত কাটিয়ে দিতে পারবে জাহ্নবী। পান্নাবাহারকে নিয়ে ভেবে ভেবে অস্বস্তিতে মরে যেতে হবে না তার।
ঠিক দশ মিনিটের মাথায় চলে এল ভায়োলেট। চিকেন মোমো ও বার্গার নিয়ে এসেছে। এক হাতে তরতাজা কই মাছ ও নতুন আলু। জাহ্নবী মাছগুলোকে রান্নাঘরে রেখে এসে বলল, 'রাতে থাকবি তো?'
' হ্যাঁ। কাল তো অফিস নেই তোমার। বসো আপু, আগে গরম গরম খেয়ে নিই।'
নাস্তা খেতে খেতে আড্ডায় মেতে উঠল ওরা। জাহ্নবী কই মাছের ঝোল রান্না করছিল আর পাশেই দাঁড়িয়ে গল্প শোনাচ্ছিল ভায়োলেট। এক পর্যায়ে জাহ্নবী জানতে চাইলো, 'হ্যাঁ রে ভায়োলেট, রুশো এখন কোথায়?'
ভায়োলেট খানিক্ষণ পলকহীন চোখে জাহ্নবীকে দেখল। চোখমুখ শক্ত হয়ে উঠল তার। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, 'জানি না!'
'জানিস না! রুশোর সঙ্গে শেষ কবে কথা হয়েছে তোর?'
ভায়োলেট অন্যমনস্ক হয়ে পড়ল। রুশোর কথা মনে হলেই আপনার জগত থেকে দূরে সরে যায় সে। চলে যায় রুশোর স্বপ্নীল জগতে। যে জগতে ভায়োলেটের জন্য ছিল মহিমাময় প্রেম, ঈর্ষান্বিত হবার মতো আবেগ। এখনো সেই প্রেমের ছোঁয়া লেগে আছে ভায়োলেটের দেহ ও মন জুড়ে।
জাহ্নবী বলল, 'আচ্ছা থাক, বলতে হবে না। রাতে শুনবো।'
ভায়োলেট ম্লান হাসলো। খেয়েদেয়ে ঘরের আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়ল ওরা দু'বোন। জাহ্নবী ভায়োলেটকে জড়িয়ে ধরে জানতে চাইলো, 'সেদিনের পর কী হয়েছিল রে? ও তোকে খাতায় আই লাভ ইউ লিখে দিয়েছিল। তারপর?'
ভায়োলেট মুচকি হেসে বলল, 'সেই দিনগুলো এত সুন্দর ছিল রে আপু! এত সুন্দর.. আমি কল্পনাতেও এত সুন্দর দিনের কথা ভাবতে পারতাম না। রুশো আমাকে সেইসব আনন্দ এনে দিয়েছিল। ওইদিন রাতে আমি বাসায় ফিরে আম্মুর মোবাইল নিয়ে আসি। অনেক দুঃসাহস হয়েছিল আমারও। তুমি বাড়িতে ছিলে না। মেজো আপু পড়তে বসেছিল। আমি আম্মুর ফোন নিয়ে ছাদে চলে যাই। এক ঘন্টা কথা হয় রুশো'র সঙ্গে। রুশো আমাকে সেদিন বলেছিল প্রথম দেখাতেই আমার জন্য ওর মনে কী ধরনের ফিলিংস হয়েছিল। এক মুহুর্তের দেখাতেই ও আমাকে এত প্রবলভাবে ভালবেসে ফেলেছিল, আমি সব কথা শুনতে শুনতে কেঁদে ফেলি। ও জানতে চাইলো, কাঁদছো কেন?'
'কাঁদছি কই?'
'আমি তো নাক টানার শব্দ শুনতে পাচ্ছি। গলাটাও ভেজা ভেজা।'
'গলা ভেজা না, গাল ভিজে গেছে।'
'গলার স্বরটা ভেজা ভেজা শোনাচ্ছে রে পাগলী।'
'আমাকে পাগলী বলবে না।'
'একশবার বলবো। এখন বলো কাঁদছো কেন?'
'আমি নিচে যাবো এখন। হয়তো এতক্ষণে আমাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়ে গেছে। আম্মুর ফোনটা দিয়ে আসতে হবে। আর কথা হবে না। আবার কখন, কবে কথা বলতে পারবো আমি জানিনা। আমার খুব ছটফট লাগছে। অস্থির অস্থির লাগছে। এমন কেন হচ্ছে আমার?'
রুশো মধুর গলায় বলল, 'ওরে আমার পাগলীটা রে। আমার সঙ্গে কথা বলতে না পারলে তোমার কষ্ট হবে?'
' খুব হবে। আমার খুব অস্থির লাগছিল। পুরোটা দিন আমি শুয়ে ছিলাম। অনেক কেঁদেছি। আপনার জন্য মন কেমন করছিল। আপনার কাছে যেতে ইচ্ছে করছিল। অনেক কথা বলতে ইচ্ছে করছিল। আমি থাকতে পারিনি, তাই আম্মুর ফোনটা নিয়ে এসেছি।'
'আমার মনটাকেও এবার এলোমেলো করে দিলে তুমি। শোনো, তুমি রুমে যাও। আজ রাতে তুমি আমার সাথে দেখা করতে পারবে?'
অবাক হয়ে ভায়োলেট জানতে চাইলো,, 'কীভাবে!'
' তোমাদের বাসায় দাঁড়োয়ান আছে?'
'হ্যাঁ আছে।'
' ওকে। বাসার ছাদে আসবে তুমি। পারবে?'
' পারবো। ছাদের চাবি আছে। কিন্তু আপনি আসবেন কীভাবে? '
' সেটা আমার ওপর ছেড়ে দাও। রাত ঠিক সারে বারোটায়। সবাই ঘুমিয়ে পড়লে তুমি ছাদে আসবে।'
ভায়োলেট আরও অস্থির হয়ে উঠল। বাসার ছাদে রুশো কীভাবে আসবে, সবাইকে ফাঁকি দিয়ে এত রাতে সে নিজেই বা কী করে ঘর থেকে বের হবে, যদি কারও হাতে ধরা পড়ে যায়! শত দুশ্চিন্তায় পাগল হয়ে রইল ভায়োলেট। মুহুর্তের জন্যও রুশোকে নিয়ে তার মনে বাজে চিন্তা আসেনি। অচেনা একটা ছেলের সঙ্গে দেখা করতে যাবে, সেটাও মাথায় আসেনি। রুশো তার অচেনা মানুষ নয়, হাজার বছরের চেনা একজন।
সে রাতে খেতে পারল না, পড়াশোনায় মনযোগ দিতে পারল না। পুরোদস্তুর অসুস্থ হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়েছিল সে!
রাত বারোটায় পা টিপে টিপে ছাদে এলো ভায়োলেট। ছাদের দরজা খোলাই ছিল। পাঁচতলা বাড়ির দোতলায় তারা থাকে। তাকে আরও দুইটা ফ্ল্যাটের দরজা পেরিয়ে আসতে হয়েছে। কেউ দেখে ফেললে কঠিন দুঃখ পেতে হবে তাকে। হারাতে হবে রুশোকেও।
কিন্তু না, তাকে অবাক করে দিয়ে রুশো বাসার ছাদে এসে হাজির! ভায়োলেট নিজেকে সামলাতে পারেনি। ছোট্ট মেয়েটি রুশোকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠেছিল।
রুশো ওর মুখখানা ধরে বলেছিল, 'কাঁদিস না পাগলী। আর কখনো এভাবে ছাদে আসতে বলবো না। আমরা চিঠি লিখবো ঠিক আছে? তুই আমাকে চিঠিতে সব লিখবি, তোর মনে যত কথা আছে সব। আমিও লিখবো। এতটা বছর আমি কিভাবে কাটিয়েছি, কিভাবে প্রত্যেকটা রাত ঘুমানোর আগে তোকে নিয়ে ভেবেছি, সব বলবো তোকে। খুব সাবধানে রাখবি আমার চিঠি গুলো। এইযে এইটা প্রথম চিঠি।'
রুশো ভায়োলেটের হাতের মুঠোয় একটা চিঠি ভরে দিলো। চোখের জলে সিক্ত হচ্ছে কিশোরী ভায়োলেট। কয়েক ফোঁটা অশ্রুর সাক্ষী হয়েছিল চিঠি'টা। কেন সেদিন ওভাবে কেঁদেছিল তার রহস্য আজও খুঁজে পায় না সে!
জাহ্নবী ভায়োলেটকে জড়িয়ে ধরে আছে এখনও। রুশোর কথা শুনতে শুনতে তার নিজেরই ভীষণ আপন মনে হচ্ছে রুশোকে। ভায়োলেটের হাত খপ করে ধরে জাহ্নবী জানতে চাইলো, 'সেদিন কেউ টের পায়নি তো?'
'না। আমি পা টিপেটিপে রুমে চলে এসেছিলাম। কেউ কিছু টের পায় নি। তারপর ঘরে এসে টেবিল ল্যাম্পের আলোয় রুশোর চিঠিটা মেলে ধরি।'
'ইস! কী সুন্দর অনুভূতি রে। কী ছিল চিঠিতে?'
'চিঠিতে কী ছিল তা আমি মুখে বলতে পারবো না। তবে হৃদয়ের সমস্ত আবেগ উজাড় করে দিয়ে ও লিখেছিল। চিঠি পড়ে নতুন করে প্রেমে পড়েছিলাম আমি। ওইদিন রাতে বালিশে মুখ গুঁজে অনেক কেঁদেছি। কিশোরী ছিলাম তো, বাচ্চা মেয়ে। আবেগে ভরপুর ছিলাম। অল্পতেই কেঁদে ফেলতাম। এখন তো ভাবলেও হাসি পায়।'
জাহ্নবী উদাস গলায় বলল, 'আমার একটুও হাস্যকর মনে হচ্ছে না। তোদের প্রেমের গল্পটা আসলেই ঈর্ষান্বিত হবার মতো ছিল।'
'গল্প তো আরও বাকি আছে আপু। এটা তো দ্বিতীয় দিনের গল্প শুনলে। রুশো কিভাবে ছাদে উঠলো সেটা তো শোনোই নি। আরও বহু বহু গল্প জমে আছে আমার ভেতরে। সযত্নে আগলে রেখেছি। শুধু রুশোকেই রাখতে পারিনি।'
'রুশোর কী হয়েছে বলবি না?'
'বলবো। সব বলবো।'
.
.
.
চলবে........................................................................