আশিয়ানা - পর্ব ৮৬ - শারমিন আক্তার বর্ষা - ধারাবাহিক গল্প


এক মাস পর কনসার্ট। তারই প্রস্তুতি চলছে কিছুদিন ধরে। হিপ-হপ মুভমেন্ট করতে গিয়ে হঠাৎ ভুল মুভমেন্ট করে তূর্ণ। এই ঠুনকো বিষয় নিয়ে ও আর সাদাফ খিলখিল শব্দে হেসেছে অনেকক্ষণ। এরপর হঠাৎ জানালার দিকে গেল। জানালার পাশে বসে আকাশের দিকে তাকাল তূর্ণ। শুভ্র স্নিগ্ধ হাওয়া বইছে

সাদাফ বলল,
  ''আজ তোর কি হয়েছে? প্রাকটিসে মন নেই কেন? একবার পড়ে যাচ্ছিস আবার ভুল করছিস।'

তূর্ণ মাথা নাড়লো, 
  'বুঝতে পারছি না। আমার একটু রেস্ট নেওয়া প্রয়োজন।'

সাদাফ ভারী নিঃশ্বাস ফেলল। তোয়ালে দিয়ে শরীরের ঘাম মুছতে মুছতে বলল,
  'তোর ভাগ্য ভালো আজ সেহরিশ নেই। ও যদি থাকতো এত ভুল করার জন্য নিশ্চিত শাস্তি পেতি।'

তূর্ণ ম্লান কণ্ঠে বলল, 
  'ও নাই। তাই আরও ভালো লাগছে না।'

সাদাফ তূর্ণর পাশে বসল। বোতল থেকে পানি পান করে বলল,
  'রোদেলাকে নিয়ে বাহিরে আছে। সন্ধ্যার মধ্যে চলে আসবে। কাল থেকে রিহার্সাল ও করবে।'

তূর্ণকে চটপটে হতে দেখা গেল। বলল,
  'আমি গান লিখেছি। কিন্তু শব্দ গুলো আমার মন স্পর্শ করছে না। কেমন খাপছাড়া লাগছে। তুই একবার দেখবি?'

সাদাফ তূর্ণর দিকে তাকিয়ে বলল, 
  'হ্যাঁ অবশ্যই।'

তূর্ণ ওর ব্যাগের ভেতর থেকে নোটপ্যাড বের করল। সে-সময় তার ফোনটা বাজতে লাগল। ভ্রু কুঞ্চিত করে আলগোছে ফোনটা হাতে নিল তূর্ণ। মায়ের নাম্বার। কল রিসিভ করে কানে লাগালো। এরপর সাদাফের দিকে হেঁটে যেতে যেতে বলল, 
  'হ্যালো! আসসালামু আলাইকুম মা। কেমন আছো?'

একজন পুরুষ কণ্ঠ বলে উঠল,
  'আপনার মায়ের অবস্থা ভালো নেই। উনি কথা বলতে পারছেন না।'

তূর্ণর চলন্ত পা থেমে গেল। ঝমঝমে গলায় জিজ্ঞেস করল,
  'আপনি কে? আমার মায়ের ফোন আপনার কাছে কি করে?'

পুরুষ লোকটি স্বাভাবিক গলায় বলল, 
  'আমি ডাক্তার ফারহান জুবায়ের। আপনার মা এখন হাসপাতালের করিডোরে বসে আছেন। আপনার বাবা আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে আছেন। আপনার মার অবস্থা ও খারাপ। উনি আমতা আমতা করে বললেন আপনাকে কল করার জন্য। আপনি ভিডিও কল করে আপনার মাকে দেখুন।'

তূর্ণর মাথা ভনভন করছে। শরীর অবশ হয়ে যাচ্ছে। পা নড়েচড়ে হয়ে গেল। সাদাফ ভ্রু কুঞ্চিত করে। তূর্ণ কে দেখে সে দ্রুত এগিয়ে এল কাছে। ভিডিও কলে দুই মিনিটের মতো কথা বলে তূর্ণ। সাদাফ ওর ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে ইমার্জেন্সি ফ্লাইট বুক করে তূর্ণর জন্য। তূর্ণ আর সাদাফ চট করে ফ্রেশ হয়ে তাড়াহুড়ো করে এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্য বের হলো। সাদাফ ফোন করে সেহরিশ কে খবরটা জানায়। তূর্ণর সঙ্গে জুবিয়ার কথা হলো অল্প সময়ের জন্য। বাবা অসুস্থ। একারণে সে দেশে যাচ্ছে। জুবিয়ার ডেলিভারির মাত্র কিছুদিন বাকি একারণে তাকে আর সে নিবে না। নিজের খেয়াল রাখতে বলে কল কাটে তূর্ণর। ওর বাঁ পা অনেকক্ষণ ধরে কাপছে। 

সাদাফ তূর্ণর পায়ের উপর হাত রেখে বলল, 
  'তূর্ণ! আঙ্কেলের কিছু হবে না। তুই শান্ত হো ভাই। আমি যাচ্ছি তো তোর সঙ্গে।'

তূর্ণ কম্পিত কণ্ঠে বলল,
  'কিভাবে শান্ত হবো? বল! আমার বাবা ওখানে আইসিইউতে। ডাক্তাররা আশা ছেড়ে দিয়েছে।'

সাদাফ তূর্ণর কাঁধে হাত রাখল। তূর্ণর চোখের কার্নিশ বেয়ে কয়েক ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। তূর্ণ কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, 'আমার বাবা?'

জুবিয়া রুমের মধ্যখানে পায়চারি করছে। তূর্ণর বাবার জন্য ওর চিন্তা হচ্ছে। তার এই অবস্থার জন্য সে ওর সঙ্গে যেতে পারবে না। মানুষটা ওখানে একা থাকবে। নিজেকে কিভাবে সামলাবে? জুবিয়া দেশে যেতে পারবে না কিন্তু এয়ারপোর্টে তো যেতে পারবে। জুবিয়া একটা পাতলা সোয়েটার পরে নিল। বাড়ির বাহিরে এসে গ্যারেজে থাকা গাড়িগুলোর মধ্যে একটায় উঠল সে। চারিদিকে সন্ধ্যা নেমে আসছে। বড় রাস্তা রেখে শর্টকাটের জন্য ছোটো রাস্তা ধরল জুবিয়া। এই রাস্তায় গাড়ি খুব কম চলে। 

জুবিয়া গাড়ির স্পিড বাড়ালো। রাস্তার মাঝামাঝি আসার পর সে অনুভব করে তার পেটে অসহনীয় ব্যথা হচ্ছে। ব্যথাটা অল্প অল্প করে বাড়ছে। জুবিয়ার বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠল। তাহলে কি প্রসব বেদনা উঠল? ভাবতে শরীর কেঁপে উঠল। একটু আনমনে হতে সামনে থেকে ছুটে আসা গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগল জুবিয়ার গাড়ির। গাড়িটা দুটো পাক দিয়ে রাস্তার অন্য দিকে ছুটে যায়। রাস্তার দু'ধারে গাছপালা থাকায় একটা গাছের সাথে আটকে গেছে। অন্য গাড়ির ভেতরকার মানুষ আহত অবস্থায় জ্ঞান হারিয়েছে। 

জুবিয়ার কপাল কেটে রক্ত ঝরছে। শরীর ও ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে। পেটের ভিতর বেদনা আরও বেড়ে গেছে। জুবিয়া চিৎকার করতে পারছে না। অসহায় দৃষ্টিতে জানালার বাইরে তাকাল সে। গাড়ির ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আবছা চোখে দেখতে পেল কিছুটা দূরে একটা গাড়ি এসে মাত্রই থামল। গাড়ি থেকে দুজন নেমে ওদের দিকে ছুটে আসছে। 

প্রথম গাড়িটার দিকে এগিয়ে গেল রোদেলা। ভাঙা কাঁচের ফাঁক গলিয়ে ভেতরে দেখল ও। একজন পুরুষ লোক। রোদেলা বার দুয়েক পুরুষ লোকটিকে আওয়াজ দিল। কোনো সাড়াশব্দ নেই। বুঝতে পারল সে অজ্ঞান। দ্বিতীয় গাড়ির দিকে এগোল সেহরিশ। জুবিয়াকে দেখে কিছুক্ষণের জন্য থমকে গেল সে।

জুবিয়া জোরে শ্বাস টানলো। থেমে থেমে বলল,
  'বড় ভাইয়া! আমার বাচ্চা, আমার বাচ্চা কে বাঁচাও।'

সেহরিশ ভাঙা কাঁচের ফাঁক দিয়ে হাত ঢুকালো। গাড়ির লক খুলে সে দ্রুত জুবিয়ার গালে হাত রাখল। বার দুয়েক জুবিয়া বলে ডেকেও তার সাড়া পেল না। সেহরিশ পেছনে ঘুরে দেখল রোদেলা ওই গাড়িটার কাছে দাঁড়িয়ে আছে। 

সেহরিশ উচ্চ গলায় বলল, 
  'রোদ, এদিকে আসো। জুবিয়া।'

রোদেলা বিস্মিত চোখে তাকিয়ে আছে। সেহরিশ জুবিয়াকে ওর গাড়ির পেছনে শুয়ে দিল। রোদেলার কোলে জুবিয়ার মাথা। রোদেলা অবিরাম ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগল। বার বার ডাকছে জেনো সে হুঁশশে থাকে। 

এই রোডে প্রায় এক্সিডেন্ট হয়। তূর্ণ এয়ারপোর্টে বসে সেহরিশের জন্য অপেক্ষা করছে। ওর কাছে তাড়াতাড়ি পৌঁছানোর জন্য এই পথে যাচ্ছিল সেহরিশ। দুটো গাড়ি এক্সিডেন্ট হয়েছে দেখে এখানে থামে সে। হাসপাতালে কল করে জানায় এম্বুল্যান্সের কথা। কিছুক্ষণের মধ্যে এম্বুল্যান্স চলে আসে। প্রথম গাড়ির লোকটাকে এম্বুল্যান্সে তুলে নেয়। আর দ্বিতীয় গাড়িতে কাউকে দেখতে পায় না ওরা।

ফ্লাইটের সময় হয়ে গেছে। তূর্ণ আর অপেক্ষা করে না। সাদাফের থেকে বিদায় নিয়ে ইমিগ্রেশন দিয়ে ভেতরে চলে যায়। সেহরিশ কে অনেক বার কল করেছিল তূর্ণ। কিন্তু সে রিসিভ করে নি। এইখানে কিছুটা খটকা লাগে সাদাফের। এয়ারপোর্টের বাহিরে এসে সে তার গাড়িতে বসে। প্রলম্বিত শ্বাস ফেলে সেহরিশ কে কল করে। 
  সেহরিশ ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলার জন্য গেছে। রোদেলার কাছে ফোন। রোদেলা কল রিসিভ করে। সাদাফ হ্যালো বলার পর রোদেলা কথা বলল। একইসঙ্গে জুবিয়ার এক্সিডেন্টের কথা ও জানালো। জুবিয়ার গাড়ি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগছিল বলে সে বেশি আহত হয়নি। এরমধ্যে অপারেশন করা অনেক রিস্কি মা ও বাচ্চার জন্য। 
সেহরিশ অনেকক্ষণ কথা বলে ডাক্তার কে অপারেশন করার কথা বলে। বাচ্চা ও মায়ের মধ্যে কারো কিছু হলে তূর্ণ ভেঙে পড়বে। ডাক্তার অনেক ভাবনা চিন্তা করে অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নিলো।

দুই ঘন্টা পর! জুবিয়া কে কেবিনে দেওয়া হয়৷ ওর ছোটো একটা মেয়ে হয়েছে । মনে হয় ছোট্ট একটা পরী । জুবিয়া বাচ্চা কোলে নিয়ে বসে আছে। ডাক্তার ওদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়ার পর ওরা সবাই একসঙ্গে কেবিনে ঢুকলো। সাদ কান্না কাটি করছে। উমাইয়া ছেলেকে নিয়ে কেবিনের বাইরে দাঁড়িয়ে রইল। 

রোদেলা ও সেহরিশ কে দেখে গালভরে হাসল জুবিয়া। রোদেলা জুবিয়ার কাছে গেল। আলতো হাতে জুবিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে জিজ্ঞেস করল, 
  'এখন কেমন আছিস?'

জুবিয়া মৃদু গলায় বলল, 
  'আলহামদুলিল্লাহ ভালো।'

কিছুক্ষণ আগে হয়েছে মাত্র মেয়েটা। আর এখনই খাওয়ার জন্য বারবার হা করছে। রোদেলা তাকে কোলে নিয়ে হেসে ফেলল। সাদাফ এসে দাঁড়াল রোদেলার পাশে। মেয়েকে দেখামাত্র ওর কপালে চার ভাজ পড়ল। 

সাদাফ প্রশ্ন করল, 
  'জুবিয়া, তোমার আর তূর্ণর মেয়ে অবিকল সেহরিশের মতো দেখতে হয়েছে।'

জুবিয়া অকপটে হেসে ফেলল। চাচার মতো হয়েছে। ভালো তো। রোদেলা ও খেয়াল করল বিষয়টা চোখ, নাক, মুখ ঠোঁট সব কিছু জেনো সেহরিশ কে উল্টিয়ে নিয়ে আসছে। মূহুর্তে রোদেলার বুকের ভেতরটা দুমড়ে মুচড়ে উঠল। ওদের সন্তান হলেও তো বাবার মতো দেখতে হতো। রোদেলার চোখ মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। 

জুবিয়া হুট করে রোদেলার হাতের উপর হাত রাখল। তারপর কোমল গলায় বলল, 
  'তুই আর বড় ভাইয়ার উছিলায় আমি আর আমার বাচ্চা এখনো বেঁচে আছি। আমি চাই ওর বড় মা তুই হবি। আর একটা ইচ্ছা সেটা হচ্ছে, ওর নামও তুই রাখবি।'

রোদেলা হাসল। বাচ্চা মেয়ের গালে হাত ছোঁয়াল। ভারী নিঃশ্বাস ফেলে মৃদুস্বরে বলল, 
  'আমি সব সময় চাইতাম আমার একটা মেয়ে হবে। আর তাই নামও ঠিক করে রাখছি। তুই বললে ওটাই রাখি?'

জুবিয়া খুশিমনে মাথা ঝাঁকাল। রোদেলার চোখমুখ চকচক করছে। একবার জুবিয়া ও সেহরিশের দিকে তাকিয়ে আবারও বাচ্চার উপর দৃষ্টি নামিয়ে বলল,
  'সোহা।'

সেহরিশ মাথা নিচু করল। সাদাফ করুণ দৃষ্টিতে তাকাল তার দিকে। রোদেলা কখনো মা হতে পারবে না। এটা ওরা সবাই জানে। রোদেলা কষ্ট পাবে ভেবে সেরকম কথা কখনোই তার সামনে কেউ কোনো কথা বলে না। রোদেলা কষ্ট পেলে সেহরিশ ও কষ্ট পায়। সাদাফ ভারী নিঃশ্বাস ফেলল। ওরা সবাই জানে রোদেলা তাদের মেয়ের জন্য এই নামটা রেখেছিল সেহরিশের নামের সঙ্গে মিলিয়ে। আর সেটা আজ তূর্ণ আর জুবিয়ার মেয়ে নামে করে দিল।

ম্যানেজার ফ্রাঙ্ক জানায়, জুবিয়ার গাড়ির সঙ্গে এক্সিডেন্ট করা লোকটি এখন বিপদের বাইরে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল সেহরিশ।

•••••••••••

তূর্ণর বাবা মারা গেছে। গতকাল। তূর্ণ এসে তার বাবাকে জীবিত দেখতে পায়নি। ওর মা বিধস্ত অবস্থায় ড্রয়িংরুমের মাঝখানে বসে আছে। ছেলেকে দেখে তিনি বুকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন। 
তূর্ণর বাবা ভালো মনের মানুষ ছিল। গ্রামের সবাই তাকে অনেক মানতো। ওনার ইচ্ছে ছিল তিনি যখনই মারা যাবে তাকে জেনো তাড়াতাড়ি দাফন করা হয়। ওনার ইচ্ছাতেই কবর দেওয়া হয়। তূর্ণ ওর মায়ের পাশে বসে থাকে এক বেলা। ১৬ ঘণ্টা তার প্লেনে কেটেছে। শরীর ক্লান্ত। তবুও সেটা গায়ে মাখলো না। দু'জন মহিলা ধরে নিয়ে তাকে গোসল করিয়ে দিল। তূর্ণ গোসল করে নেয়। ফ্রেশ হয়ে সে বাবার কবর জেয়ারত করার জন্য এগিয়ে যায়। কবরের সামনে মাথা নিচু করে দাঁড়াল তূর্ণ। বাচ্চাদের মতো ওর ঠোঁট ভেঙে আসছে। ভেতর থেকে কান্নারা উপচে পড়তে চাচ্ছে। তূর্ণর চোখ বেয়ে অনবরত অশ্রুধারা গড়িয়ে পড়তে লাগল।

তূর্ণর কানে ওর বাবার বলা একটা কথা বার বার বাজতে লাগল। তূর্ণ যখনই দেশে আসতো বা ওর বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলতো প্রায় সবসময় ওর বাবা বলতেন,
  'বাবা থাকস তো সেই কত্তো দূরের দেশে। এখন অন্তত দেশে আইসা পর। বুড়া বাপ মার সাথে কয়েকদিন থাক। কোনো দূর্ঘটনা ঘটলে তুই ওই দেশ থেকে আসতে আসতে কবর দেওয়া হইয়া যাইব। আমি মইরা গেলে তুই দেখতে পারবি তো বাবা?'

তূর্ণ পা ভেঙে মাটিতে বসে গেল। বাবার কবরের মাটি দু-হাত দিয়ে স্পর্শ করে নিঃশব্দে কাঁদতে লাগল তূর্ণ। সুক্ষ্ম গলায় বলল,
  'বাবা, ও বাবা! দেখো তোমার কথাই সত্যি হয়েছে। তোমার ছেলে সময় মতো পৌঁছাতে পারে নাই বাবা। আমি তোমাকে শেষবার দেখতেও পারি নাই। তোমাকে একবার চোখের দেখাও দেখতে পাই নাই, তোমাকে শেষ বার ছুঁইতে পারি নাই। বাবা বলতে ডাকতে পারি নাই। আমি হতভাগা!'
.
.
.
চলবে.........................................................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

WhatsApp