অন্তর্দ্বন্দ্ব - পর্ব ২৮ - সাবরিনা ইমরান - ধারাবাহিক গল্প


সদ্য কেনা মোবাইল হাতে নিয়ে ফারজানা ঘরের দরজা আটকে কৌতূহলী চোখে সবকিছু দেখছে।কালো রঙের সিম্পফনির টাচ ফোন।কম দামে এটা ছাড়া অন্যগুলো পছন্দ হয়নি।ফোন কেনার সময় একটা ব্যাপারেই বেশি জোর দিচ্ছিলো,সেটা হলো ফোনের ব্যাটারি।কারণ এ বাসায় কেউ জানে না ফারজানা এন্ড্রয়েড মোবাইল ব্যবহার করছে,তাই ঘন ঘন চার্জে দেয়া বিপজ্জনক।ভার্সিটিতে উঠার পর ক্লাসের সবার হাতে এন্ড্রয়েড মোবাইল দেখেছে,সত্যি বলতে এসময়ে এন্ড্রয়েড মোবাইল লাগেই।ল্যাপটপ,ভালো মোবাইল ছাড়া কীভাবে যে চলেছে,সেটা ফারজানাই জানে।কম্পিউটার ল্যাবে গিয়ে সেখান থেকে প্রয়োজনীয় বইয়ের পিডিএফ নিয়েছে,সেখানেই বসে এসাইনমেন্ট করে পরে পেনড্রাইভে নিয়ে দোকান থেকে প্রিন্ট করিয়েছে।ফেসবুক না থাকায় ক্লাসের কারো সাথেই সেভাবে যোগাযোগ করতে পারেনি,ফোন দিয়ে খোঁজ খবর নিতে হয়েছে।অবশ্য সেসময়ে ভিনা অনেক সাহায্য করেছিলো,কোনো নোটিস পেলেই জানিয়েছে,কখনোবা এসাইনমেন্ট নিজের টাকায় প্রিন্ট করিয়ে দিয়েছে।কিন্তু এসব টাকার ফুটানি দেখানো ছাড়া কিছুই না।ওর সুযোগ ছিলো তাই দিয়েছে।কিন্তু এখন ভিনার অনুগ্রহের সামান্য প্রয়োজন ও পরবে না। ফারজানা নিজেই মোবাইল কিনেছে,আর এখন ও নিজেই ক্লাসের সি আর।

ভীষণ রকম আত্মতৃপ্তি নিয়ে ফোন অন করলো ফারজানা।এরপর তিথির কাছে গিয়ে কৌশলে এ বাসার ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড জেনে নিলো।তিথি বেশ সন্ধিগ্ধ চোখে তাকিয়ে জেরা করলেও ফারজানা সামলে নিলো।গভীর রাতে,সবাই ঘুমিয়ে যাওয়ার পর ফারজানা মোবাইল নিয়ে বসলো।এরপর ফেসবুক একাউন্ট খুলে ফেললো,প্রথমে নিজের আসল নামে না খুলতে চাইলেও পরে Farzana Hosen দিয়েই খুলে ফেললো ফেসবুক।প্রোফাইলে দিলো খুবই পরিচিত পুতুলের ছবি।এরপর সবার আগে রিকোয়েস্ট পাঠালো রুশানকে।প্রায় ঘন্টাখানেক পর রুশান নক দিলো।

-ফারজানা ইজ দ্যাট ইউ?ভার্সিটির ফারজানা?

ফারজানা এইরকম মেসেজ দেখে বেশ অবাক হলো।আজকে সকালেও তো মেসেজ দিয়ে বলেছে রিকোয়েস্ট পাঠাবে,তাহলে?

একরাশ বিরক্তি নিয়ে উত্তর দিলো-

-হ্যাঁ আমি,ফারজানা হোসেন।কিন্তু এই প্রশ্ন কেন রুশান?

-ইট সিমস লাইক ফেক একাউন্ট।এই একি প্রোফাইল পিকচারের অজস্র ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ঝুলে আছে।

ফারজানা বেশ বিব্রত বোধ করলো।এরকম কোনো কিছু শুনতে হবে আশা করেনি।ভিনা নিজেও তো ছবি দেয়নি ফেসবুকে,তাহলে ওর একাউন্ট কেন ফেক বললো না রুশান?ঠিকি ফ্রেন্ড হয়ে বসে আছে।

-ছবি দেয়া ভালো লাগে না।ভালো ঘরের মেয়েরা ফেসবুকে ছবি দেয়না।

এই কথার মাধ্যমে ফারজানা নিজের সচ্চরিত্রা হওয়ার সার্টিফিকেট ইন্ডিরেক্টলি দেয়ার চেষ্টা করলো। ভেবেছিলো রুশান বলবে 'বাহ্!তুমি অনেক অন্যরকম'।

হলো বিপরীত।

-তার মানে যেসব মেয়ে ফেসবুকে ছবি দেয়,এরা ভালো না?

-আমার মতে না।

-ফেসবুকে ছবি দেয়া খারাপ হলে পরপুরুষের সাথে গভীর রাতে কথা বলাও খারাপ,তাইনা?

ফারজানার মাথায় কেউ যেন হাতুড়ি দিয়ে বাড়ি দিলো।এত কাটা জবাব রুশান দিবে চিন্তাও করতে পারছেনা।মাথা ঠান্ডা রেখে জবাব দিলো পরেরবার।

-প্রয়োজনে কথা বলা যায়,অপ্রয়োজনে তো কথা বলা খারাপ।

-ও...তোমার কী প্রয়োজন?

-পড়া নিয়ে কথা বলতাম।

-ডিপার্টমেন্ট চেঞ্জ করছো?

-মানে?

-আমি ইঞ্জিয়ারিং পড়ছি,তুমি ইকোনমিকস।মে আই নো হাউ ক্যান আই হেল্প ইউ?

-ইংলিশ নিয়ে কথা বলতাম।আমার ইংলিশে বেশ সমস্যা হয়।

-ফ্যাকাল্টির সাথে যোগাযোগ করা উচিৎ। আমার চাইতে তারাই বেশি সাহায্য করতে পারবে তোমাকে।

-কেন?আমি ব্যাকডেটেড দেখে আমার সাথে কথা বলতে সমস্যা?

রুশানের মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে।এত কম্পলেক্স নিয়ে মানুষ বেঁচে থাকে কীভাবে।এখানে ব্যাকডেটেড কোথা থেকে আসছে?

-দেখো ফারজানা,তোমার ভালোর জন্যই বলেছি,এটাকে অন্য মিনিং এ নেয়ার কোনো মানেই নেই।

-স্যরি রুশান,আমি আসলে ছোটবেলা থেকেই এরকম খারাপ ব্যবহার পেয়েছি তো,তাই।পর্দা করি,ছেলেদের সাথে মিশিনা দেখে কেউ আমার সাথে ফ্রেন্ডশিপ করেনা।

-ভিনাও না?

-করেছে,কিন্তু আর কতদিন সাহায্য করবে বলো।

-কেন করবে না?

-আমি লো ক্লাসের যে।

রুশানের অসহ্য লাগছে।সস্তা সিম্প্যাথির জন্য মানুষ কত ঢং করতে পারে!নিজেকে ছোট করতেও এদের বাঁধে না।ইচ্ছা করছে কড়া কথা বলে ফারজানার অতীতে করা বিবেকহীনের মত কাজগুলোর জন্য তুলোধনো করে দিতে।কিন্তু যে ভিক্টিম,সে নিজেই এই মেয়েকে কোলে করে রেখেছে।ভিনাকে বোঝা যায় না।সোজা পথে না চলে সবসময় রহস্যের পথটাকেই বেছে নেয়া কি জরুরি?এই ফারজানাকে এখন কিছুই বলা যাবে না।রুশান ভালোমতো জানে এখন কিছু বলতে গেলেই ভিনার কাছে ইনিয়েবিনিয়ে বলবে লোয়ার ক্লাস থেকে বিলং করায়ে ফারজানার সাথে মিশেনি রুশান,তখন ভিনার কাছে কতখানি ছোট হবে,ভাবতেই গা শিরশির করছে।

-ভিনাকে নিয়ে তোমার এসাম্পশন ঠিক না।যাই হোক,কালকে লাইব্রেরিতে দেখা করো,আমি সাজেস্ট করবো কী করতে হবে।

-থ্যাংকিউ রুশান।তোমার এই অবদান আমি কখনো ভুলবোনা। ঋণী করে করে দিলে আমাকে।

রুশান দেখে বিস্মিত হলো যে সামান্য এই সাজেশনে মানুষকে চির ঋণী করা যায়।ফারজানার এই গায়ে পরা স্বভাব খুব বেশিই বিরক্তিকর। এমন সময়ে আয়নায় চোখ পরলো রুশানের,কী যেন ভেবে চোখ নামিয়ে ফেললো।

••••••••••••

রিদওয়ান প্রতিদিনের মত আজকে বইয়ের ভেতরে মুখ গুঁজে রাখেনি।সুন্দর সবুজ রঙের শার্ট পরে এসেছে,চুলগুলো পরিপাটি করে আচড়ানো,খোঁচা খোঁচা ট্রিম করা দাঁড়ি।গায়ের রঙ উজ্জ্বল এবং ফেস কাট বেশ ম্যানলি হওয়ায় গোছানো এই সাজে আজকে সবার নজর আলাদাভাবেই কাড়ছে রিদওয়ান।মিহিকা তো চোখই সড়াতে পারছে না,যদিও বা সেজানের সাথে কিছুদিন আগেই রিলেশনশিপে গেছে।আজকে রিদওয়ানকে দেখে মনের কোণে চিনচিনে ব্যাথা সহ আফসোস হলো ভীষণ।

রিদওয়ান নিজের পাশের সিটে ব্যাগ রেখে ভিনার অপেক্ষা করছে।আজকাল ভিনাকে একটু বেশিই ভালো লাগে।শুরু থেকেই ভালো লাগতো যদিও,কিন্তু এখন যে শুধু ভালো লাগায় এই অনুভূতি সীমাবদ্ধ নেই,সেটা টের পাচ্ছে ভালোমতো।তবে নিজের অনুভূতি চাপিয়ে না রেখে,প্রকাশ করাকেই ঠিক মনে হচ্ছে রিদওয়ানের।জীবনের প্রথম ভালোবাসা যদি ভিনার মত মেয়ের সাথে হয়ে সফল হয়,তাহলে তো কথাই নেই।

ভিনা চশমা মুছে চোখে দিয়ে বসার জায়গা খুঁজতে লাগলো।রিদওয়ান ভিনাকে ডেকে ইশারায় জানালো ওর পাশে সিট রাখা আছে।ভিনা ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলো ব্যস্ততায়।হুট করে এভাবে সিট পেয়ে যাওয়ায় সত্যি ভালো লাগছে।আরেকটা ব্যাপার হলো,পেছনের সিটে বসা পছন্দ না।সামনের সিটে বসলে ক্লাসে মনোযোগ বেশি থাকে।

-থ্যাংকস! 

-আই উইল সেভ এ সিট ফর ইউ এভ্রিডে,ডোন্ট ওয়ারি। 

-নো নিড।আমারই পাংচুয়াল হতে হবে। দেরি করে এসে সামনে বসা আসলে আসলে উচিৎ না।

-এত হিসাব করে জীবন চলে?কয়জনই বা সামনে বসতে চায় বলো।

-অনেকেই চায়,এই সেকশানের অর্ধেকের বেশি মানুষই সিন্সিয়ার। 

-সবাই না।কেউ সিন্সিয়ারিটির নামে শয়তানি করে। 

ভিনা বুঝতে পেরেছে রিদওয়ান কার কথা বলছে।ভিনা পিছনে তাকিয়ে দেখলো ফারজানা হিজাব আজকে অন্যভাবে পরে এসেছে,হাতে নতুন ফোন।সেটার মধ্যে ডুবে আছে।ভিনার মনে পরলো ফারজানা ক্লাসের সি আর হওয়ার জন্য বেশ তোড়জোড় করেছিলো।কিন্তু এখন দায়িত্ববোধের বিন্দুমাত্র অবশিষ্ট নেই,সব কাজ রিদওয়ানই করছে।এটার জন্য যে খুব শীঘ্রই ফারজানা অপদস্থ হবে মিস রুদমিলার কাছে,এটাও বুঝতে পারছে।

-এনিথিং রং?

-না না,এমনি।

-ওর দিকে তাকিয়ে লাভ নেই।শি ইজ টোটালি গন।

-বাদ দেই।

-শুনলাম মিস রুদমিলার সাথে নাকি পেপার নিয়ে আলোচনা করছো।

-হ্যাঁ, ম্যাম বললো এখন থেকেই প্র‍্যাক্টিস করতে।

-আমিও করতে চাই,এরপরে গেলে আমাকে নিয়ে যেও।আর হ্যাঁ, থ্যাঙ্কিউ সো মাচ।

-কেন?

-তুমি না জানালে কখনো মিস রুদমিলার ব্যাপারে জানতাম না।আমি আজকে সকালে গিয়েছিলাম তার কাছে।শি ইজ সাচ এ নাইস পারসন!আমাদের দুইজনকে একসাথে আসতে বলেছে।

-অনেক ভালো হলো।একসাথেই যাবো নেক্সট টাইম।

রিদওয়ান রুদমিলার কাছে গিয়েছিলো এটা ঠিক।তবে এর মূল কারণ ভিনা।একসাথে কাজ করার মোক্ষম সুযোগ এটা।

ক্লাস শেষ হওয়ার পর রিদওয়ান ভিনার সাথেই বের হলো।ক্যান্টিনে বসে একসাথে লাঞ্চ ও করলো।ভিনা খেয়াল করলো এই প্রথমবার রুশান ছুটির পর আসেনি।মনে মনে হাসলো,কারণ রুশান যে ফারজানার সাথেই আছে,সেটা বুঝতে বাকী নেই।

-ইনফ্যাচুয়েশন।আগেই বলেছিলাম!

নিজেই হেসে উঠলো ভিনা।

নিজের এসাম্পশনকে এভাবে সত্যি হতে দেখে মজা লাগছে ভিনার।যাক,মানুষ কিছুটা হলেও চিনতে শিখেছে। 

-ভিনা?কিছু ভাবছো?

রিদওয়ানের ডাকে ঘোর ভাঙলো ভিনার।

-তেমন কিছু না।

-আরো থাকার ইচ্ছা ছিলো।কিন্তু বাসায় যেতে হবে আজকে।

-কোনো সমস্যা নেই।আবার দেখা হবে।

রিদওয়ান চলে গেলো,কিন্তু মন পরে রইলো ক্যান্টিনের কোণার টেবিলে।সেই টেবিলে নিজের ক্ষুদ্র জীবনের সবচেয়ে তীব্র অনুভূতিকে ভিনার নামের মেয়েটার কাছে জমা দিয়ে এসেছে।

•••••••••••

ফারজানা পায়ে হাত দিয়ে চোখ দিয়ে অঝোরে পানি ফেলছে।রুশান বলেছিলো,ছুটি হওয়ার আধা ঘন্টা পর দেখা করতে,কিন্তু ফারজানা ছুটির পরপরই এক ধরনের জোর করেই রুশানকে লাইব্রেরিতে নিয়ে এসেছে। রুশান কোনোমতে একটা বই ফারজানার হাতে ধরিয়ে দিয়ে দ্রুত আসতে চেয়েছিলো ভিনার সাথে দেখা করতে। এরই মধ্যে ফারজানা বেকায়দায় পরে হোঁচট খেয়েছে।যতনা ব্যথা পেয়েছে তার চেয়ে বেশি কান্না করে আশপাশ উদ্ধার করে ফেলছে। মেডিকেল হেল্পের জন্য ভার্সিটিতে থাকা ডাক্তারের কাছে নিয়ে এসেছে,কখন থেকে এখানেই বসে আছে।ফারজানা হাত ছাড়ছে না।কিছুক্ষণ পর পর হেঁচকি দিয়ে কান্না করছে।রুশান ভেবে পাচ্ছে না সামান্য পায়ে ব্যথায় হেঁচকি দিয়ে কাঁদার কারণ কী। প্রায় ঘন্টাখানেক এসব রং ঢং করার পর শেষে ঠোঁট বাকিয়ে বললো-

-আমি আজকে বাসায় যেতেই পারবো না হেঁটে,আমাকে গাড়ি করে নামিয়ে দিবে?

-আমি তো ভার্সিটিতে গাড়ি নিয়ে আসিনা এখন।

-কেন?কালো রঙের গাড়ি আছেনা তোমার?সেদিন যে ভিনাকে নিয়ে গেলে?

-এখন আর আনিনা।

-বুঝেছি...আমাকে সরাসরি বললেই পারো,আমি তোমার গাড়ি নোংরা করবো না।এমন না যে গাড়ি চরিনি,আমার খালুর গাড়িতে উঠেছি আমি।

-আজব তো ফারজানা।আমি সত্যিই গাড়ি আনিনি।তোমাকে আমি উবারে দিয়ে আসবো দরকার হলে।

ফারজানার ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠলো।এরকম কিছুই তো চাচ্ছিলো।খুব দ্রুত আগাতে চাচ্ছে,এটা ফারজানা বুঝতে পারলেও আমলে নিলো না।ছেলেরা প্রথমে এসব ভাব নিলেও পরে ঠিকি ঘুরঘুর করে।

•••••••••••

আইসিউ এর কেবিনে জেরিন শুয়ে আছে,সেন্স নেই বারো ঘন্টার উপরে।আগের দিন চার পাতা ঘুমের ঔষধ খেয়েছে।পেট ওয়াশ করাতে দেরী হয়ে গেছে।জেরিন সারাদিন নিজের ঘরে একাই থাকতো। কারো সাথেই কথা বলতো না।জেরিনের মা খুরশিদ সারাজীবন এই মেয়েকে বুকে আগলে বড় করেছিলেন,কিন্তু জেরিন এমন কিছু করেছিলো,যার জন্য মেয়ের প্রতি চরম বিতৃষ্ণা তৈরি করেছে।জেরিন খুরশিদকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে অতিরিক্ত আদর কখনো সন্তানের জন্য ভালো না।সবকিছুর ব্যালেন্স থাকা দরকার,স্নেহ আর শাসনের সঠিক ব্যালেন্স না থাকলে মা বাবার জীবন বৃথা হতে বেশি সময় লাগে না।

-বাচ্চাটাকে ধরো।কাহিল হয়ে গিয়েছে।

জেরিনের বাবা ইকরামের কাছে বাচ্চা দিয়ে খুরশিদ আইসিইউর দরজার কাঁচ দিয়ে মেয়ের দিকে তাকিয়ে আছেন,আশ্চর্য হলেও সত্যি তার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগছেনা।কারণ জেরিন তার পাপের শাস্তি পাচ্ছে।খুরশিদ আরো চান জেরিন যেন এভাবে শাস্তি পেতে থাকে,মানুষের জীবন নষ্ট করে দেয়ার পরিণতি ভোগ করুক।তার এই সন্তান তার পুরো জীবন বৃথা করে দিয়েছে। 

জেরিন সুইসাইড এটেম্পট নেয়ার আগে নোটে লিখে গিয়েছিলো,

'আমি ভীষণ কষ্ট দিয়েছি একজনকে।তার পাপের প্রায়শ্চিত্ত আমাকে করতে হবে'
.
.
.
চলবে........................................................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

WhatsApp