রেহান কাউচে হেলান দিয়ে বসে আছে,পাশেই রুশান দুই হাত দিয়ে মাথা ধরে বসা।নিজের ছোট ভাইকে এমন হতাশ দেখে রেহান নিজেও চিন্তায় পরে গেছে।
-জানতে কি পেরেছিলি ভিনাকে কেন বের করে দিয়েছে?
-অন্য ছেলের সাথে সম্পর্কের জেরে।তখন যাবিরের সাথে ভিনার রিলেশন ছিলো।
-তুই যে বললি মিথ্যা অপবাদ,এটা তাহলে মিথ্যা কীভাবে হলো?
-পুরো ঘটনা জানতে আমার এক সপ্তাহ লেগেছে।চুমকি প্রথমে বললেও এরপর কথা বলতেই চায়নি।আমি জোর করেছি দেখে আরো ভয় পেয়ে গেছে।
-তোকে জিজ্ঞেস করলাম কী,উত্তর দিলি কী।পানি খা,মাথা ঠান্ডা কর।তারপর আমার সাথে কথা বল।
রেহান ফ্রিজ থেকে পানি ঢেলে নিয়ে আসার সময় দেখলো রুমের বাইরে কাইফ দাঁড়ানো।চোখেমুখে রুমের ভেতরে ঢোকার জন্য আকুপাকু ফুটে উঠছে।
-খালার কাছে যা,এখানে কী?
-আমি কি জয়েন করতে পারি তোমাদের সাথে?
-মোটেও না।আমরা কোনো গেম খেলছি না,গুরুত্বপূর্ণ কথা বলছি।কথা শেষ হলে ডাক দিবো।
-প্লিজ ভাইয়া,কোণায় বসে থাকবো।
-ঘরে যা,নাহলে খালুকে ডাক দিয়ে স্পাইগিরি ছুটায় দিবো।
কাইফ মুখ কালো করে চলে গেছে। রেহান ঘরে ঢুকে দরজা লক করে দিলো,এরপর ফ্যানের স্পিড বাড়িয়ে রুশানের পাশে বসলো।ইশারায় বললো গলার ভয়েস নামিয়ে রাখতে।এর কারণ হলো সায়বা এবং কাইফ জেবার বিশ্বস্ত গোয়েন্দা।কাইফ সায়বার এসিস্ট্যান্ট, সে খবর জোগাড় করে সায়বা কে দেয়,সায়বা এই খবর জেবার কাছে পাচার করে।রেহান দুই সপ্তাহ এ বাসায় থেকেই বুঝে গেছে মা ছেলের কাজ কারবার।রেহান নিজে যে কষ্ট পেয়েছে কয়েক বছর আগে,সেটার রুশানের ক্ষেত্রে পুনরাবৃত্তি ঘটুক,এটা কোনোভাবেই চায় না,এই কারণেই এ সাবধানতা।
-এবার বল কী হয়েছিলো।
-ভিনার সৎ মা,মুনা আন্টি সবাইকে বলেছিলো ভিনা গয়না চুরি করে পালিয়ে যাবে।কিন্তু ভিনা এমন কিছুই করেনি।মুনা আন্টির মা আর ভিনার দাদি মিলে এসব প্ল্যান করেছিলো যেন সোহেল আঙ্কেল ওকে বের করে দেয় ঘর থেকে।
-বাট হুয়াই?লাভ কী তাদের?
-মুনা আন্টি তখন প্রেগন্যান্ট ছিলো তার ফার্স্ট বেবি নিয়ে।
-সিরিয়াসলি!মানুষ পারেও!এরপর?
-ভিনাকে বের করে দিয়েছিলো বাসা থেকে।এরাউন্ড তিন মাস ভিনার খোঁজ ছিলো না।
-ওয়েট,হোয়াট!তিন মাস তাহলে কোথায় ছিলো ভিনা?
-আই ডোন্ট নো।এটা কেউ জানে না।
-শিওরলি জানে।তোকে জানাচ্ছে না।
-চুমকি শুধু বলেছিলো,কোনো এক আপুর কাছে ছিলো।চুমকি নিজেও ঠিকমতো জানে না।
-স্ট্রেঞ্জ।আচ্ছা,তুই একদিন বলেছিলি ভিনা নিজের বাসায় থাকে না,ও কোথায় থাকে?
-ওর এক পরিচিত......এই দাঁড়াও!ওয়েট!তার মানে ভিনা প্রিতি আপুর কাছেই ছিলো!?
-প্রিতি কে?
-ভিনা এখন যার কাছে থাকে।
-প্রিতি কে হয় ভিনার।
-আপু।
-আরে ছাগল,আপু তো বুঝলাম,কিন্তু কেমন আত্মীয়?
-সেটা তো জানি না।
-কিছুই জানিস না তুই।না জেনে কেউ কারো ব্যাপারে এত সিরিয়াস হয় রুশান?
-আমি ভালোবাসি ভিনাকে,দ্যাটস ইট।
-রুশান,তোকে আগেই কিন্তু একটা কথা বলেছি,কারো অতীতে অনেক বড় আঘাতের ঘটনা থাকলে,সে কখনোই সহজে সম্পর্কে যাবে না।ভিনা ম্যাচিউর হতে পারে,কিন্তু ওর বয়স কম।আমি আন্দাজ করতে পারছি যে ওর জীবনে অনেক বড় কোনো ট্রমাটিক ঘটনা আছে।সেই ঘটনা পুরোপুরি না জেনে যদি লাফালাফি করিস,আল্টিমেটলি কিছুই হবে না।বি হার হিলার।
-কীভাবে জানবো?ভিনা আমাকে কিছুই বলে না।
-কোনো ওয়ে তো থাকবে!
-প্রিতি আপু,আই হোপ শি ক্যান হেল্প আস।ভিনা তার সাথে খুবই এটাচড।আমার মনে হয় সেই তিন মাস ভিনা প্রিতি আপুর কাছেই ছিলো।
-খোঁজ নিয়ে দেখ কী হয়।মেয়েটার জন্য খারাপ ই লাগছে,এতকিছু হওয়ার পর ও সৎবোনের জন্য কত মায়া,তুই বলেছিলি।নাম যেন কী বললি পিচ্চির?
-মাহভিন,এখানে একটা ব্যাপার আছে।
-কী ব্যাপার?
-চুমকি কসম দিয়েছে।থাক বলবো না।
-কী কসম?
-বলবো না
-ডোন্ট সে মাহভিন ভিনার বাচ্চা?
রুশান চমকে উঠলো।বিস্ফোরিত চোখ নিয়ে রেহানের দিকে তাকিয়ে থাকলো,এরপর প্রায় চিৎকার করে বললো
-কী বললা এটা তুমি ভাইয়া!
-চুপ চুপ।আস্তে কথা বল।
রুশান শান্ত হয়ে বসলোনা। কেউ যেন ওর বুকে ছুড়ি বসিয়ে দিয়েছে।এই কথা মাথায়ই আসেনি রুশানের।এখন প্রচন্ড অস্থিরতা আর যন্ত্রণা হচ্ছে ভেতরে।যদি সত্যিই মাহভিন ভিনার মেয়ে হয় তখন কী হবে?ভাবতেই বুক খান খান হয়ে যাচ্ছে,আসলেই কি যাবির আর ভিনার সম্পর্ক এতদূর এগিয়েছিলো?
•••••••••••
ফারজানা দরজা বন্ধ করে মোবাইলে বুদ হয়ে আছে।রুশানের প্রোফাইল স্টক করে সব ছবিতে রিয়েক্ট দিচ্ছে।সেই সাথে প্রতিটা ছবির কমেন্ট ও মনোযোগ দিয়ে দেখছে।যদিও রুশানের প্রোফাইলে ঢুকেছিলো রুশানকে ব্লক দেয়ার জন্য,কিন্তু এই রুশানের হৃদয় হরণকারী হাসিই সবকিছুতে বাঁধ সাধলো।এখন ব্লক দেয়ার পরিবর্তে সব ছবিতে নিজের মন হারিয়ে কূল পাচ্ছেনা।
ফারজানা রুশানকে ব্লক দিতে চেয়েছিলো,কারণ আগেরদিন রুশান ওকে উবারে করে বাসায় পৌঁছে দেয়নি।উল্টো মিহিকাকে ডেকে এনে ওর গাড়িতে ফারজানাকে বাসায় পাঠিয়েছে।মিহিকাকে একদমই সহ্য করতে পারে না ফারজানা।গুটি কয়েকজন যাদের সাথেই কথা হয়েছে,তাদের কাছেই মিহিকাকে একদম কল গার্ল পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। এখন যদি ক্লাসে কেউ জানতে পারে মিহিকার গাড়ি করে ফারজানা বাসায় গিয়েছে,মান ইজ্জতের কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।ফারজানা ঠিক করলো,পরেরদিন ক্লাসে গিয়েই কিছু একটা করতে হবে।আর হাজার হোক,রুশানের সাথে এখনই রাগ দেখানো যাবে না।রাগ দেখানোর অধিকার এখনো পায়নি।অধিকার পাওয়ার পর অনেক কিছুই করা যাবে।তখন গাড়িতে উঠাও কেউ ঠেকাতে পারবে না।
পরেরদিনে ক্লাসে গিয়ে ফারজানা দেখলো সবাই অদ্ভুত চোখে ফারজানার দিকে তাকিয়ে আছে।এমনি দিনের চেয়ে আজকে একটু দেরিতেই এসেছে ক্লাসে।সবার চেয়ে ভিন্ন চাহনি ভিনার।সবাই কৌতূহলী চোখে তাকালেও,ভিনা তাকিয়ে আছে করুণার চোখে।কিছুক্ষণ এভাবে থাকার পর ফারজানার কাছে পুরো বিষয় স্বচ্ছ হয়ে গেলো।প্রফেসর রুদমিলা ফারজানাকে ডেকে পাঠিয়েছে।খবরটা হাসিমুখে জানালো রিদওয়ান।
ফারজানা রুমে গিয়ে সামনে রাখা সিটে বসতে গেলে রুদমিলা সরু চোখে তাকিয়ে বললেন
-আমি বসতে বলেছি তোমাকে?
-স্য..স্যরি ম্যাম।
-তুমি হোসনের কাছে রিকোয়েস্ট করে সি আর হয়েছিলে,তাইনা?
-রিকোয়েস্ট মানে সামান্য অনুরোধ আরকি।
-অনুরোধ মানে কী?
-রিকোয়েস্ট...
-অযথা অযৌক্তিক কথা বলা আমার একদমই পছন্দ না।
-স্যরি ম্যাম।
-তুমি তো সি আর।এখন বলো তোমার সেকশানের কী অবস্থা?
-ভালো ম্যাম।
-সিলেবাস কতটুকু শেষ হয়েছে?কোনো ক্লাস অফ ছিলো?কয়জন স্টুডেন্ট টিএ এর কাছে গিয়েছিলো?সবাই কি কুইজে এটেন্ড করেছে?এক্সট্রা ক্লাসের প্রয়োজন আছে?
ফারজানা থতমত খেয়ে গেলো।দুই হাত ঘষে ধোঁয়া উঠিয়ে ফেলছে।এসবের কিছুই জানে না সে।এসব কিছু রিদওয়ান জানে।
-আমি এই প্রথমবার সি আর হয়েছি তো ম্যাম,তাই বুঝিনি কী করতে হবে।আমি নেক্সট টাইম সব রিপোর্ট দিবো আপনাকে।
-কাজ তো কম করেছো এমন না।অনেক কাজই করেছো তুমি।
ফারজানা মুখে হাসি ফুটে উঠলো।যাক,বাঁচা গেলো।
-থ্যাংক্স ম্যাম।
-দেখে তো মনে হয় একদম ইনোসেন্ট। দুনিয়ার কিছুই জানো না।
-জ্বি ম্যাম?
-তোমাকে সি আর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো ক্লাসের সব কিছু খোঁজ খবর রাখার জন্য।কিন্তু তুমি সেটা না করে সবার ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরেছো।এই কাজে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওনি।
-আমি ঠিক বুঝলাম না।
-বুঝেছো ঠিকি।আর না বুঝে থাকলে কিছুক্ষণ পরই বুঝবে।তুমি যে নিজের পার্সোনাল ইস্যুর জন্য এই দায়িত্বের অপব্যবহার করবে,এটা যদি আমি আগে বুঝতাম,ঘাড় ধাক্কা দিয়ে এই ভার্সিটি থেকে বের করে দিতাম।
রুদমিলার এই আচরণে ফারজানা ভয় পেয়ে গেলো।পা অবশ হয়ে আসছে যেন।ভালোমতো টের পাচ্ছে কেন ভার্সিটির সবাই একে এত ভয় পায়।
-কী?কথা বের হচ্ছে না এখন?নিজের ব্যক্তিগত আক্রোশের জন্য মানুষের নামে আজেবাজে কথা বলে ঝামেলায় ফেলানোর সাহস তোমাকে কে দিয়েছে?
-আমি কী করেছি ম্যাম?
-তুমি জানো না কী করেছো?
-না..
-তাহলে আমিও জানি না আমি এরকম কেন করছি।তুমি কালকের মধ্যে আমাকে এপোলজির লেটার দিবে।
এরপর রুদমিলা হোসনে আরা কে ডেকে পাঠালেন।
-মিস হোসনে,আপনি একজন প্রফেসর,সি আর নির্বাচনে এত কাঁচা কীভাবে হলেন?
-কী হয়েছে আপা?
-এই মেয়ে নিজের চুনোপুঁটি সমান ক্ষমতা নিয়ে অন্যান্য স্টুডেন্টদের নামে আজেবাজে কথা বলে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে সেটা কি আপনি জানেন?
-না।
-আমি ধরেই নিয়েছিলাম আপনি জানবেন না।কিন্তু ও যে সি আর হওয়ার পর একটা দায়িত্ব ও পালন করেনি,সেটাও কি আপনি দেখেননি?আপনাকে ক্লাসের ব্যাপারে কোনো ব্রিফ করেছে ও?
-না....
-তাহলে এতদিন আপনি একে কীভাবে সি আর হিসেবে ক্লাসে রেখেছেন?আমি সময় নিয়েছিলাম দেখার জন্য যে আপনি কী করেন।দুঃজনকভাবে আপনি কিছুই করেননি।শেষমেষ আমারই ইন্টারফেয়ার করা লাগলো।
-আমার খেয়াল ছিলো না।
-এরপর থেকে খেয়াল রাখবেন।আর মিস ফারজানা,সি আর হিসেবে থাকছো না এটা তো বুঝেছোই,এছাড়া ভার্সিটির কোড অফ কন্ডাক্ট হিসাবে তোমাকে সাসপেন্ড করলাম এক সপ্তাহর জন্য এবং এখন পর্যন্ত মিস হোসনে আরার সেকশানে তোমার সব এসেসমেন্ট বাতিল করা হলো।নাও গেট লস্ট।
-প্লিজ ম্যাম,এমন করবেন না আমার সাথে।মরা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
-এসব ন্যাকামি আমার সাথে চলবে না।
-ম্যাম প্লিজ।আমাকে সাস্পেন্ড করবেন না।
-ঠিকাছে।সাসপেন্ড করলাম না।কিন্তু হোসনে আরার সেকশানে তোমার কোনো এসেসমেন্ট কাউন্ট করা হবে না।আর একটা কথাও না,বের হও।আর মিস হোসনে,আপনিও এরপর থেকে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন।
ফারজানা কান্না করতে করতে বের হলো রুম থেকে।হোসনে আরা ও বের হওয়ার ধমক দিলেন ফারজানাকে।
ক্লাসে যেয়ে বসার পরই ভিনা এলো ফারজানার কাছে।ফারজানার কাঁধে রাখা মাত্রই ফারজানা হাত ধাক্কা দিয়ে সড়িয়ে দিলো।কারণ এসব কিছুর জন্য ভিনাকেই দায়ী মনে করছে ফারজানা।কিছুদিন ধরে রুদমিলার কাছে বেশি আসা যাওয়া করছিলো ভিনা।কান্না করা সেই অবস্থাতেই ফারজানা প্রতিজ্ঞা করলো এর প্রতিশোধ নিয়েই ছাড়বে।
••••••••••
ভিনা চকো কে কোলে নিয়ে প্রায় আধা ঘন্টা ধরে কথা
রিদওয়ানের সাথে কথা বলছে।মূলত পেপার,এসাইনমেন্ট নিয়ে কথা বললেও রিদওয়ান আরো নানা বিষয়ে কথা চালিয়ে যাচ্ছে।ভিনা সব কথার উত্তরই সংক্ষেপে দিয়েছে।
কথা শেষ হওয়ার পর প্রিতির কাছে গেলো ভিনা।
-কীরে,কার সাথে এতক্ষণ কথা বললি?
-রিদওয়ানের সাথে।
-এটা কে আবার?
ভ্রু কুঁচকে ভিনার দিকে তাকালো প্রিতি।ভিনা হাসতে হাসতে উত্তর দিলো-
-প্লে গার্ল মনে হচ্ছে আমাকে?
-ধুর ফাযিল,কীসব বলিস?
-বাদ দাও,আমার ক্লাসমেট ছিলো।একসাথে প্রোজেক্ট আর পেপারের কাজ শিখছি।
-রুশানের কী খবর?
-ভালোই।
-কথা হয় না?
-বেশি না।যা কথা হয়,প্রোডাক্ট নিয়েই কথা হয়।আমি তো বেশি সময় দিতে পারছিনা,ঐ সব দেখছে।
-অনেক হেল্প করছে তোর।ছেলেটা অনেক ভালো।
-এটা ঠিক,রুশান খারাপ না।
-তোকে পছন্দ ও করে আমার মনে হয়।
-এসব কিছু না।আবেগ আবেগ।
-তোকে কে বলেছে এসব?
-ফারজানার সাথে সেটিং করিয়ে দিয়ে আসছি।
-তো?
-আমাকে ভুলে গেছে।
-আমি বিশ্বাস করিনা।
-সত্যি আপু,আর জানো কী হয়েছে?ফারজানাকে রুদমিলা ম্যাম শাস্তি দিয়েছে।
-যে কারণেই দেক,ভালো করেছে।
-আমার খারাপ লাগছে আপু।ওর লাইফে অনেক স্ট্রাগল।
-মানুষের ফিনানশিয়াল স্ট্রাগল চোখে পরে বেশি।অবশ্যই এটা অনেক কষ্টের।কিন্তু মেন্টাল স্ট্রাগল এর যন্ত্রণা তার থেকেও বেশি।
-কী হয়েছে আপু?
-অন্যের জন্য নিজের সুখের সাথে কম্প্রোমাইজ করিস না।
-আমি ঠিক বুঝলাম না।
-বুঝবি। সময় হলে বুঝবি। এখন যা,চকো কে নিয়ে আয়।ব্ল্যাকবেরির সাথে খেতে দেই।
.
.
.
চলবে........................................................................