রুশান কোর্সের ফ্যাকাল্টির সাথে দেখা করার জন্য বসে আছে।সোজা সাব্জেক্ট ছিলো,তারপরো সিজিপিএ ভালো আসবে না।রিটেক নিবে না কী করবে ভেবে পাচ্ছে না,ফাইনাল যদিও এখনো বাকী।একে তো পরপর সেমিস্টার ড্রপ দিয়ে পিছিয়ে গেছে অনেক,এরপর যদি রিটেক নিতে হয়,পড়াশোনা করাই মুশকিল হয়ে যাবে।এত শিক্ষিত বাবা মা এর মেধাবী ছেলে হয়েও গ্র্যাজুয়েশন কম্পলিট করতে পারবে না ভেবে ভেতরটা মুচড়ে উঠলো রুশানের।ভিনার জন্য নিজের জীবনে সোজা এবং সঠিক পথ থেকে এক ধাক্কায় ছিটকে পরেছে।রেহান সবসময় বলতো,সফলতা ধরে রাখা যায় যদি পথটা চেনা হয়ে যায়,কিন্তু একবার ছিটকে পরলে উঠে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব। কারণ দূর্ঘটনা সত্যিকার অর্থে একা আসে না,দল বেধে আসে,একটার সাথে আরেকটা শেকল দিয়ে আসে।তাই যত যাই হোক,পথচ্যুত হওয়া মানে স্বপ্নের সাথে বিচ্ছেদ হওয়া।
ফ্যাকাল্টি ভেতরে ডেকে পাঠালে রুশান বড় করে নিঃশ্বাস ফেলে উঠে দাঁড়ালো।হাত পা অসাড় হয়ে আসছে।পাহাড়সম চাপ থেকে দৌড়ে পালাতে ইচ্ছে করছে।কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে রুশান তাই করলো।কোর্স ইন্সট্রাক্টর এর সাথে দেখা না করেই চলে এলো দ্রুত হেঁটে।বাইরে গাড়ি দাঁড়ানো,ড্রাইভার সম্ভবত লাঞ্চ করতে গেছে।রুশান সেদিকে খেয়াল না করে ফুটপাত ধরে হাঁটছে।আগের বন্ধুবান্ধব কেউই নেই।ক্লাবের সিনিয়রদের সাথে অনেক ভালো সম্পর্ক ছিলো।বেশিরভাগই দেখলে এড়িয়ে যায়,কেউ কেউ জানতে চায় কী হয়েছে।টিচারদের মাঝেও ভালো পরিচিতি ছিলো। দুই একজন বাদে সবাই ভুলে গেছে।সেই দুই একজন সহানুভূতি প্রকাশ করে মোটিভেশনাল কথা বলে।রুশান শুনেই যায়,শুনেই যায়...।মানুষ একবার ভেঙ্গে পরলে ভালো কিছু গ্রহণ করার ক্ষমতাও নষ্ট হয়ে যায়।অসম্ভব ধৈর্য্য লাগে হতাশায় ডুবে যাওয়া মানুষকে টেনে তুলতে। সবাই সহমর্মিতা দেখালেও ধৈর্য্য ধরে পাশে থাকতে পারে না।ফলাফল?ধ্বংস অথবা মৃত্যু।
মধ্যদুপুরে তপ্ত রোদের মাঝে রুশান নিজেকে হারিয়ে ফেললো।জীবনের সবসময় যা চেয়েছে তাই পেয়েছে,তাই এক না পাওয়ার ধাক্কা সামলানো যাচ্ছে না।পুরো জীবন তছনছ মনে হচ্ছে।বিত্ত-বৈভব,মেধা,মানুষের মনোযোগের মধ্যবিন্দু সব ফিকে হয়ে গেছে।এই কষ্ট থেকে উঠে দাঁড়ানো অসম্ভব। ভিনাকে হারিয়ে ফেলার অনুভূতি যে এতখানি বিধ্বংসী হবে,জানলে নিজেকে সামলে রাখতো হয়ত।তবে সত্যি হলো ভালোবাসা পরীক্ষা নেয়,এই পরীক্ষা অনেক কঠিন হয়।এই পরীক্ষায় সফল হওয়া সহজ না।এধরনের কথা জীবনে অনেক শুনেছে।আমলে নেয়নি,উপলব্ধি করেনি।সেই সাধারণ কথাগুলো এখন গুরুবাক্য মনে হচ্ছে,চরম সত্যের মতো কঠিন মনে হচ্ছে।পারছে না এত চাপ নিতে।ধীর গতিতে হাঁটলেও রুশানের নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হতে লাগলো,মাথা হালকা হয়ে বুকের আশেপাশে চিনচিন ব্যথা শুরু হলো।কিছু বুঝে উঠার আগেই আশেপাশের মানুষ একজন কম বয়সী যুবককে রাস্তায় অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পাঠালো হাসপাতালে।
________________
রাত আড়াইটা,প্রিতি ঘুম ঘুম চোখে কেবিনে বসে আছে।চেষ্টা করছে সজাগ থাকার,জেবা ফারুক দুইজনই সামনে বসা।এদের সামনে ঘুমিয়ে পরা লজ্জাজনক। ফারুক প্রিতির দিকে তাকালেন।
-- তুমি আর রেহান বাসায় চলে যাও জেবাকে নিয়ে।আমি আছি এখানে।
-- না না বাবা!আমি থাকবো।আম্মা বাসায় যাক রেহানের সাথে।রেহানের কালকে মিটিং আছে অফিসে,আম্মার ও শরীর ভালো না।
-- তোমাকেও ক্লান্ত দেখাচ্ছে।
-- ক্লান্ত না বাবা।আমি ঠিক আছি।
প্রিতি টেবিলে রাখা পানির বোতল থেকে পানি খেলো।এরপর সাবধানে বাথরুম থেকে চোখে পানি দিয়ে এসে আবার বসলো সবার সাথে।রুশান আজকে বিকেল থেকে হস্পিটালে ভর্তি।ভর দুপুরে রাস্তায় অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলো।মানুষজন ধরাধরি করে হাস্পাতালে নিয়েছিলো।ব্যাগ,মোবাইল,মানিব্যাগ সব চুরি গেছে।একজন ছেলে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড দেখে প্রথমে রুশানের ভার্সিটিতে যোগাযোগ করেছে,সেখান থেকেই পরিবারের সবাই জানতে পেরেছে রুশানের অবস্থা।ফারুক সাহেব এবং জেবা দ্রুত হস্পিটালে এসে রুশানকে দেখে ভেঙে পরেছিলেন।ইন্টার্ন একজন ডাক্তার এটেন্ড করেছে কিন্তু কিছুই বলতে পারছে না।ভালো কোনো সিনিয়র ডাক্তার এ্যটেন্ড করেনি।ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা তিন তলা ছোট খাটো নোঙরা বিল্ডিং এ হাস্পাতালের নামে ব্যবসা চলছে।ডাক্তার নার্সের পরিবর্তে দালালরা ঘুরঘুর করছে,কোনো আনাড়ি কেউ হাতে স্যালাইনের জন্য যে ক্যানোলা লাগিয়েছে,সেখানে রক্ত উঠে এসেছে। জেবা সবকিছু দেখে চিৎকার করলেন জোড়ে।এরপর হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে গালাগাল শুরু করেছিলেন।ফারুক সাহেব কোনোমতে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে দ্রুত অন্য হাস্পাতালে নিয়ে আসেন রুশানকে।ওদিক থেকে রেহান প্রিতি এবং সায়বা কাইফ দ্রুত আসে।ডাক্তার পরীক্ষা নিরিক্ষা করে প্রথমে জানায় খুব সম্ভবত হার্ট এ্যটাক হয়েছে।এত কম বয়সী ছেলের হার্ট এ্যটাক শুনে আকাশ থেকে পরে সবাই। ইসিজি এবং বাদবাকী পরীক্ষার পর সব জানা যাবে জানিয়ে ডাক্তার চলে যায়।ফারুক মাথায় হাত দিয়ে বসে পরেন।নিজে হার্টের অসুখে ভুগে ছেলের হার্ট এ্যটাকের খবর পেতে হলো তাকে।জেবার হুশ জ্ঞান কিছুই না।কিছুক্ষণ পরপর কেঁদে উঠছেন।এরপর রুশানকে আইসিউতে রেখে মধ্যরাতে কেবিনে শিফট করা হয়।
পরেরদিন দুপুর বেলা একজন কার্ডিওলজিস্ট এসে সব রিপোর্ট চেক করে ফারুক সাহেবকে কথা বলার জন্য ডাকেন।তাকে যা জানানো হয়,সেটা শুনে ফারুক সাহেবের বিস্ময়ের সীমা থাকে না।আপাত দৃষ্টিতে রুশানের সব সিন্ড্রোম হার্ট এ্যটাকের সাথে মিললেও রুশানের হার্ট এ্যটাক হয়নি।ইসিজি,এনজিওগ্রাম এবং ব্লাড টেস্ট রিপোর্টে এটা স্পষ্ট যে রুশানের হার্ট সুস্থ এবং কোনোধরনের ব্লকেজ নেই।চিকিৎসার ভাষায় এ ধরনের অসুস্থতাকে ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম বলে।হাইপার ভেন্টিলেশন,চেস্ট পেইন,অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এর প্রধান লক্ষ্যণ।প্রচন্ড মানসিক চাপ এবং হতাশা থেকে এরকম হয়ে থাকে।শরীরে হরমোনাল ইমব্যালেন্সের কারণে হার্টবিটে ইরেগুলারিটি আসে এবং হাইপার ভেন্টিলেশনের জন্য শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।হার্ট এ্যটাক না হয়ে থাকলেও এ বিষয়কে সহজে নেয়া যাবে না।কারণ এ ধরনের এ্যটাক শরীরে অনেক চাপ পরে। ভালো একজন সাইকিয়াট্রিস্টের সাথে আলোচনা করে চিকিৎসা শুরুর পরামর্শ দিলেন ডাক্তার।ফারুক সাহেব শুধু শুনে গেলেন সবকিছু।তার পাশে প্রিতিও ছিলো।প্রিতির এমনিও গতকাল রুশানদের বাসায় যাওয়ার কথা ছিলো ভিনার বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে। হুট করে বিয়ের খবর পাওয়ার চেয়ে আগেই জানিয়ে দেয়া উচিৎ মনে করেছিলো।এছাড়াও মনের কোণে সুক্ষ্ম আশা ছিলো,যদি রুশান সব ঠিক করে ফেলে ভিনার সাথে,তাহলে অনেক ভালো হবে।তবে এখানে এসে যা দেখছে,ভিনার বিয়ের প্রসঙ্গ তোলাই যাবে না।শুধু তাইনা,বিয়ের পর পুরো বিষয়টা লুকিয়ে রাখতে হবে।সব দেখে প্রিতি দীর্ঘশ্বাস ফেললো।ভিনার উপর রাগ ও উঠলো ভীষণ। মনে মনে ভিনাকে যাচ্ছেতাই বলে গেলো। হাজার হোক,আজকে ভিনার জন্যই রুশানের এই করুণ অবস্থা।
______________
নাদিম অনেক্ষণ ধরে ফোন দিচ্ছে।ভিনা ফোন সাইলেন্ট করে করে পাশে রেখে দিয়েছে।একে তো কথা বলার ইচ্ছে নেই,দ্বিতীয়ত রুদমিলা মানা করেছেন আলাদা দেখা করতে।নাদিম দেখা করার জন্যই বারবার ফোন দিচ্ছে।এর মাঝে আরো অনেক ঘটনাই ঘটেছে।নাইদা ঝামেলা করেছে,তাও আবার যৌতুক নিয়ে।বাজে পরিস্থিতির চূড়ান্ত।ত্রিশ ভরি সোনার গয়না,ছেলেকে সোনার ঘড়ি,একটি নতুন মডেলের নিসান গাড়ি চেয়েছে।এখন বাকী ফ্ল্যাট চাওয়া।অদ্ভুত হলো এসব নিয়ে তামাশা তখনই হয় যখন ভিনা বাসায় থাকে না।সব খবরাখবর চুমকি এবং মোমেনা খালাই দেয়।মুনা বা সোহেল এসব নিয়ে কখনো কোনো কথা বলেনা।ভিনা নাইদা এবং হবু শ্বাশুড়ি নয়নিকার সাথে সরাসরি এ বিষয়ে কথা বলতে চেয়েছিলো।কিন্তু নাদিম দেয়নি।সে কথা দিয়েছে যৌতুকের মতো জঘন্য বিষয়ে আর কোনো ঝামেলা করবে না নাইদা।তবু বোনের বিরুদ্ধে একটা শব্দ ও উচ্চারণ করেনি।বরং 'ইম্যাচিওর' আখ্যায়িত পুরো বিষয়কে চাপা দিয়ে দিয়েছে।ভিনা কথায় বুঝাতে চেয়েছিলো এ বিয়েতে অমতের কথা।সোহেলের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখে কথা আর আগাতে পারেনি।
এদিকে রুদমিলা কী নাদিমের ব্যাপারে কী জেনেছেন সরাসরি কিছুই বলেননি।শুধু বলেছেন দূরত্ব বজায় রাখতে।ভিনা সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে।অবশ্য এ উপদেশ মেনে চলার মূল কারণ যাবির।ভিনা সাইফুলের সাথে কথা বলে যা জেনেছে,সেটার সত্যতা যাচাই করা আবশ্যিক। শোনা কথা সবসময় সত্য হয় না।'যা রটে তার কিছু তো বটে' বলে একটা কথা আছে।ভিনার এই প্রবাদকে খুবই অযৌক্তিক মনে হয়। কারণ এখানে 'কিছু'র উৎপত্তি ও মানুষের উর্বর মস্তিষ্কের অযাচিত এবং মনগড়া হয়।মানুষ এমন এক প্রাণি,যে নিজের কল্পনা এবং ধারণাকে মুখের ভাষা দিয়ে সত্যতার ট্যাগ লাগাতে পারে।সেদিন সাইফুলের প্রতিটা কথাই ভেতরটা ভেঙে দেয়ার মতো ছিলো।এক মাস হয়ে গেছে সেই কথপোকথন এর।ভিনা সত্যি খুঁজে বের করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে।কিন্তু কেউ জানে না,যাবির এর নামে কোন থানায় মামলা ছিলো,কোন জেলে ছিলো,ছাড়া পেয়েছে নাকি অথবা ছাড়া পেলেও কোথায় আছে।কেউ জানে না,মানে কেউই না।একজন মানুষ এই ব্যস্ত শহরে দিন দুপুরে যেন হারিয়ে গেছে।যৌক্তিকভাবে চিন্তা করলে এটা অসম্ভব।বোঝাই যাচ্ছে কেউ ইচ্ছে করেই এসব করছে।এছাড়াও নারী নির্যাতন মামলায় যদি প্রতারণার উল্লেখ থাকে অন্য মেয়ের সাথে,তাহলে সেখানে স্পষ্টই ভিনার নাম থাকার কথা।জেরিন মামলা করে থাকলে ভিনার নাম থাকবেই!আর ভিনাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই থানায় যাওয়া লাগতো।যেহেতু ভিনাকে ডাকা হয়নি,সেক্ষেত্রে প্রতারণার মামলায় অন্তত জেল হওয়ার কথা না।আর শারীরিক নির্যাতনে কোন ধরনের এবং কোন পর্যায়ের নির্যাতন ছিলো?কতদিনই বা জেল হতে পারে।জেরিন যাবিরকে অন্ধের মতো ভালোবাসতো।রাগের বশে জেলে পাঠালেও দীর্ঘদিন সেখানে ফেলে রাখার মানুষ ছিলো না।সব মিলিয়ে অন্তত এটা বোঝা যায়,যাবিরের জেলে থাকার সম্ভাবনা খুব কম।আরেকটা বিষয় যেটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে সেটা হলো মিডিয়া।যাবির নামকরা পাব্লিক ভার্সিটির ছাত্র ছিলো।নারী কেলেঙ্কারির মতো বিষয়ে পাব্লিকের স্টুডেন্ট জড়ালে সেটা ঢালাও করে মিডিয়ায় প্রচার হওয়ার কথা। যদি নাও হয়,তাও ছোট খাটো আঞ্চলিক পত্রিকা বা নিউজ পোর্টালেও আসার কথা। যাবিরের এত শক্ত ব্যাকগ্রাউন্ড ছিলো না যে এসব ধামাচাপা দিবে।তাই ভিনা তন্নতন্ন করে তৎকালীন সময়ে সব নিউজ পেপার,অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঘাটিয়েছে,কিন্তু এক বাক্যও উদ্ধার করতে পারেনি।কেউ জানে না,অথচ সাইফুল এতকিছু কীভাবে জানলো?ভিনা না চাইতেও সাইফুলকে আবার নক দেয় দুইদিন আগে।প্রশ্ন করতে ইতস্তত লাগছিলো।শেষে জিজ্ঞেস করেই ফেলেছিলো কীভাবে জেনেছে,উৎস কী।সাইফুলের উত্তর ভিনাকে আরো বড় গোলক ধাঁধায় ফেললো।সাইফুল সবকিছু জেনেছে তানভির নামের যাবিরের এক বন্ধু থেকে।তানভির আর যাবির প্রায়ই একসাথে আড্ডা দিত।সেখান থেকে তানভিরকে চিনে সাইফুল।যাবির নিখোঁজ হওয়ার পর যখন কেউ কিছু জানাতে পারেনি,তখন তানভিরের সাথেই যোগাযোগ হয়।ভিনা সব শুনে নিরুপায় হয়ে তানভিরকে খুজে বের করে এরপর ফেসবুকে মেসেজ দেয়।সেই মেসেজ সিন হয় তিনদিন পর।ভিনা রাখঢাক না করেই যাবিরের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে।তানভির ভাবলেশহীনভাবে উত্তর দেয়-
নওমিকে ফিরিয়ে দিতে পারলেই সবকিছু জানাবে।ভিনার ইচ্ছা করছিলো মোবাইল ভেঙে ফেলতে।মানুষ এতটাও নীচ হয়?স্বার্থের কারণে এখানে নওমিকে টেনে আনা কি উচিৎ হবে?ভিনা অন্তর্দ্বন্দ্বে ডুবে গেলো।শেষে কঠিন সিদ্ধান্ত নিলো এর থেকে পরিত্রাণের জন্য।
.
.
.
চলবে.........................................................................