অন্তর্দ্বন্দ্ব - পর্ব ৫৭ - সাবরিনা ইমরান - ধারাবাহিক গল্প


সময় বহমান,পরিবর্তনশীল।সময়ের স্রোতে মানুষের জীবনের সমীকরণ বদলে যায়।দেখতে দেখতে পাঁচ মাস পার হয়ে গেছে।কতকিছু বদলে গেছে এই স্বল্প সময়ে!ভিনা এখন জমিরা বিবির পাশে বসে আছে।জমিরা বিবির লম্বা ধীর গতির নিঃশ্বাস জীবন সায়াহ্নের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে তীক্ষ্ণভাবে।এইতো,মাস দুয়েক আগেও মানুষটা ভালো ছিলো কত।মাহভিনের সাথে খেলতো,তার চোখ রাঙানি এবং ধমকে বাড়ির সবাই তটস্থ হয়ে থাকতো।সেই মানুষকে এভাবে নির্জীব হয়ে থাকতে দেখে ভিনার জীবনের সবকিছু বেরঙ লাগছে।ঘন্টাখানেক এভাবে বসে থাকার পর ভিনা চোখ মুছে উঠে দাঁড়ালো।ঘর থেকে বের হওয়ার সময় শুনলো,জমিরা বিবি ঘোরের মাঝে বলছেন-'আমার ভাই কি জামাইর বাড়িত যায়?'
ভিনা কীভাবে বোঝাবে তাকে,ঘর সংসার ওর কপালে নেই।নিজের ঘরে যেয়ে ডেস্ক গুছিয়ে পড়তে বসলো ঠিকি,কিন্তু মন পরে রইলো অন্য জায়গায়।ফোনের ভাইব্রেশনে ধ্যান ভাঙার পর দেখলো,প্রফেসর রুদমিলা ফোন দিয়েছেন।

-- হ্যালো ম্যাম
-- বেশি কথা বলবো না আমি,এপ্লাই করেছিলে?
-- না,এখনো করিনি।
-- আমি জানি তোমার মানসিক অবস্থা ভালো নেই।কিন্তু এভাবে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে তো হবে না।এপ্লাই করো জলদি।আমার বিশ্বাস হয়ে যাবে।
-- ঠিকাছে,কালকে করে ফেলছি।
-- কালকে না,আজকেই।তুমি এখনি এসো আমার বাসায়।আমার সামনে করবে।
-- আজকে না আসি?
-- কিছু বলবো না।
-- আমি আসছি।

ভিনা কোনোমতে জামা পরে বের হয়ে গেলো।ডেনমার্কে ইউনিভার্সিটি অফ আরহাসে ইকোনমিকস এ পড়ার ইচ্ছা ছিলো আগে থেকেই।নানা জটিলতায় ভিনা ভুলে গেলেও রুদমিলা ভোলেননি।ঠিকি উনি ভিনাকে দিয়ে এপ্লাই করিয়ে নিলেন।ভিনা বেশিক্ষণ থাকেওনি রুদমিলার বাসায়,আজকাল যতক্ষণ পারে ঘরেই থাকে।জমিরা বিবির শরীর খুবই খারাপ।যেকোনো সময়ে খারাপ খবর আসতে পারে।জমিরা বিবির শেষ ইচ্ছা ভিনার বিয়ে দেখে যাওয়া।জীবনের শেষ সময়ে ছেলে,ছেলের বউ বাচ্চার সাথে থাকার আশা ছিলো।সেটা পূরণ হয়ে গেছে এই কয় মাসে।এখন এই শেষ ইচ্ছা পূরণ হলেই উনি যেন শান্তিতে বিদায় নিতে পারবেন।
রুদমিলার বাসা থেকে ফেরার পর সোহেলের সাথে দেখা হলো ভিনার।চিন্তিতভাবে জিজ্ঞেস করলেন-

-- রুশানের সাথে দেখা হয়েছে?কিছু বললো?
-- না।ওর সাথে আমার কথা হচ্ছে না ঠিকমতো। 
-- এভাবে চললে কীভাবে হবে....কিছু তো জানানো উচিৎ। 
-- আমি বলেছি না ওর সাথে বিয়ের চিন্তা বাদ দাও?
-- কিন্তু গত সপ্তাহে আমার রেহানের সাথে কথা হয়েছে। প্রিতির শরীর খুবই খারাপ,ডায়বেটিস ও ধরা পরেছে।ডাক্তার বেড রেস্টে থাকতে বলেছে।এর জন্য আমি আর কথা বাড়াইনি।
-- ভালো করেছো।কথা বাড়িয়েও লাভ হতো না।কেন এত বিয়ে বিয়ে করছো বলোতো!
-- কেন করছি ভালোমতো জানিস।আম্মা বেশিদিন...

ভিনা পুরো কথা না শুনেই ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলো।মাটিতে বসে কান্নায় ভেঙে পরলো।আর কত!ক্ষুদ্র এই জীবনে আর কত পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে?ঝাপসা চোখে মনে করলো তিন মাস আগের কথা।জীবনের দ্বিতীয় প্রেমের কথা।

যাবিরের ব্যাপারে যেসব তথ্য জেনেছিলো,সেটায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিলো এই মানুষকে আর ফিরে পাবার আশা নেই।এই অপেক্ষা শুধু সত্য জানার,ফিরে যাওয়ার না।বিশেষ করে যখন মানুষ নিজেই নিজেকে সামনে আনতে চায়না,তখন তাকে না খোঁজাই ভালো।ভিনা অপেক্ষা করছিলো যাবিরের নিজে থেকে সামনে আসার।ভাঙা মন নিয়ে যখন অনুতাপের মাঝ নদীতে ডুবেছিলো,তখনই রুশান ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আরো আকুলভাবে।মানসিক আঘাত পাওয়া এবং হৃদয় ভাঙা মানুষগুলোর মন ভেজা মাটির মতো থাকে।তখন যেই আসে,তার ছাপ পরে যায় মনে।নাজুক সেই অবস্থায় ভিনা না চাইলেও রুশানের উপর নির্ভরশীল হয়ে পরছিলো।নিয়মিত একসাথে ভার্সিটি যাওয়া,ভার্সিটি শেষ এ হাঁটতে বেরোনো,জীবনের গল্প করা....।ছেলেমানুষী রুশান হুট করেই বড় হয়ে গেলো।ভরসার জায়গা তৈরি করলো ভিনার জন্য।কথা বার্তায় গাম্ভীর্য এবং আচরণে ভারিক্কি।যেন ভিনার ছাঁচেই নিজেকে বদলে ফেলেছিলো আমূল।তবে বদলায়নি ভালোবাসার প্রকাশভঙ্গী।রুশান কোনো সুযোগ ছাড়তো না নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করার,কখনো সুযোগ না থাকলেও সুযোগ তৈরি করে নিতো।এই ছেলে ভালোবাসা আদায় করে নিতে জানে।

হই হুল্লোড় এবং জনা দশেক বন্ধু নিয়ে সবসময় চলা ছেলেটাকে দিনশেষে লাইব্রেরির কোণায় বইয়ে ডুবে থাকতে দেখা যেত প্রেয়সীর সাথে।রুশান আক্ষরিক অর্থেই ভিনাকে নিজের জীবনের কেন্দ্রবিন্দু বানিয়ে ফেলেছিলো।ভিনা কখনো নিজের থেকে ভালোবাসি না বললেও,রুশানের অনুপস্থিতি পীড়া দিতো ভেতরে।দিনশেষে রুশানকে না দেখলে ভেতরটা ফাঁকা লাগতো।সাধারণত প্রেমের খবর যাদের ঘিরে থাকে,তাদের আগে আশপাশের মানুষ জেনে যায় আগে।পুরো ভার্সিটিতেই গুঞ্জন চলতে থাকে ভিনা আর রুশানকে নিয়ে।অনেকেই এদের আদর্শ জুটি হিসেবে পছন্দ করতো ভিনা-রুশানকে।ভিনার কানে এসব গুঞ্জন আসলেও কেন যেন কাউকেই খোলাসা করে বলেনি,ভুল ধারণা ভাঙেনি।বলতে ইচ্ছে হয়নি।মানুষ ভালোবাসার কাঙাল,যতই কঠিন হোক বাস্তবতার জন্য ভালোবাসা পেতে কে না চায়।তার চেয়েও বড় কথা,রুশানের ব্যাপারে ওর পরিবার জানে,রুশানের পরিবারের ও অনেকে জানে।স্বচ্ছতা আছে সম্পর্কে,এর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কিছুই নেই।দিন পার হয়ে যাচ্ছিলো এভাবেই।ছুটির পরে হাঁটার মাঝে ধীরে ধীরে হাত ধরা জায়গা করে নিলো।রুশান পরম যত্নে নিজের হাতে ভিনার হাত নিয়ে দূর দূরান্তে হেঁটে যেত।ভিনা বাধা দিতো না,কেউ আছে পাশে এই অনুভূতি চোখে পানি এনে ফেলতো।

ভিনা ভেজা চোখে নিজের হাতের দিকে তাকালো।বুকের কাছে শক্ত করে এনে ধরলো হাত দুটো।পারলো শেষমেশ কঠিন থাকতে,মনের কাছে বাধা পরলোই।

সেদিন ছিলো কালচারাল ফেস্ট।ভিনা বরাবরের মতো লিটারেচার ক্লাবের ভলান্টিয়ার হিসেবে সব তদারকি করছে।ব্যস্ততা মাঝে চোখ পরলো অডিটোরিয়ামের দরজার দিকে।মুহূর্ত থমকে গেলো,গাড় নীল রঙ্গের পাঞ্জাবি পরে এসেছে রুশান।খুবই সাধারণ সিল্কের পাঞ্জাবি।তবু এত আকর্ষণীয় লাগছিলো যে ভিনা কিছুক্ষণ চোখ সরাতে পারলো না।এই আকর্ষণ পোষাকের জন্য না,সাধারণ পোষাকের মাঝে থাকা মানুষটার ব্যক্তিত্বে।রুশানকে নিখুঁত সুপুরুষ লাগছে,ভিনার ক্ষণিকের জন্য নিজেকে পৃথিবীর সুখী মানুষের একজন মনে হলো।ভিনা কাজে আবার মনোযোগ দেয়ার চেষ্টা করলো।জুনিয়র একজন মেয়েকে ইন্ট্রোডাক্টরি স্পিচ বুঝিয়ে দিচ্ছে।রুশান চেয়ার টেনে ভিনার পাশে বসলো।এরপর একটা কাঠগোলাপ ভিনার কানের পাশে গুঁজে দিলো।ভিনা শুধু একবার প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকালো রুশানের দিকে,এরপর ব্যাগ থেকে আয়না বের করে নিজেকে দেখলো।রুশানের এই ছোট আবেদনগুলোই ভীষণ ভালো লাগে ভিনার।ফুল আরো ভালোভাবে কানে গুঁজ ভিনা আবার মেয়েটাকে বোঝাতে লাগলো।রুশানও চলে গেলো নিজের ক্লাবের কাজে।কিন্তু ভিনার জন্য আরো বিস্ময় অপেক্ষা করছিলো।

অনুষ্ঠান শেষে ভার্সিটির বর্তমান শিক্ষার্থীদের অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য পুরষ্কার বিতরণীর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।পুরষ্কার বিতরণ শেষে আসে বিশেষ ঘোষণা।কলকাতার বিখ্যাত সাহিত্য পত্রিকায় ভিনা ইনজামামের লেখা 'অন্তর্দ্বন্দ্ব' কবিতা প্রকাশিত হয়েছে।একটি বাৎসরিক সাহিত্য প্রতিযোগিতার জন্য কবিতাটি নির্বাচিতও হয়েছে।ভিনা স্তব্ধ হয়ে গেলো এনাউন্সমেন্ট শুনে।পরিচিত সবাই ভিনার দিকে উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।ভিনা কয়েক মুহূর্ত কিছুই বুঝতে পারলো না,পুতুলের মতো হেঁটে স্টেজে উঠে কথা বললো।অনুষ্ঠান শেষে রুশানকে হাত ধরে টেনে ক্যাফেটেরিয়ায় টেনে নিয়ে আসলো ভিনা।

-- আমার ডায়রিতে কেন হাত দিয়েছিস!
-- তোমাকে জানার জন্য।
-- এটা চুরি!
-- আমি চোর।কিন্তু কপিরাইট দেয়া চোর।এথিক্স ঠিক রাখি।
-- এসব ঠিক না রুশান।
-- যে মানুষ নিজের মেধাকে ইন্ট্রোভার্ট হওয়ার কারণে লুকিয়ে রাখে,তার জন্য শুধু একটা মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছি।
ভিনা যুক্তিতে না পেরে রুশানের হাত ছেড়ে দিলো। 

কালচারাল ফেস্ট শেষ হতে রাত হয়ে গেলো।অভ্যাসমতো ভিনা রুশান হাঁটতে বের হলো ছুটির পর।কিছুদিন পরই শীত নেমে যাবে।বাইরে হালকা ঠান্ডা বাতাস।রুশান আলতো করে ভিনার হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে নিলো।কিছুক্ষণ পর শুরু হলো ঝড়ো বাতাস।দুইজনের গাড়িই দূরে পার্ক করায় ভার্সিটির এন্ট্রেন্স গেটের কাছে আসলো দৌড়ে।ততক্ষণে আচমকা বৃষ্টিতে জামা ভিজে গেছে দুইজনেরই।ড্রাইভারকে ফোন করে ভিনা উঠে গেলো গাড়িতে।

-- মিস ভিনা,আজকে আমিও আপনার সাথে যাবো।
-- কেন?বাসায় চিন্তা করবে তো।
-- তুমি যেখানে,সেখানেই আমার বাড়ি।
-- ধ্যাৎ রুশান।
-- আচ্ছা সরো,বসবো আমি।

রুশান ভিনার পাশে বসে পরলো।বাড়িতে পৌঁছানোর পর রুশান ভিনাকে ডাক দিলো।

-- একটু ছাদে আসবে?প্লিজ?

ভিনা মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিলো।শাড়ির কুচি ধরে ধীর গতিতে ছাদে উঠলো।রুশান ছাদে যেয়েই ভিনাকে নিয়ে সেই জায়গায় চলে গেলো,যেখানে বহুদিন আগে ভিনাকে অনেক কঠিন কিছু কথা বলেছিলো।ভিনাকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে হাঁটু গেড়ে বসলো রুশান।ভিনার দুই হাত শক্ত করে ধরলো। 

-- আমাকে ক্ষমা করে দাও ভিনা।
-- ক্ষমা করে দিয়েছি অনেক আগেই।
-- আমাকে বিয়ে করো।আমি তোমাকে ভালোবেসে সারাজীবন থাকতে চাই।বিয়ে করে ফেলো।কারো পিছুটানে আমাকে ছেড়ে যেও না ভিনা।আমি পারবো না তোমাকে ছাড়া থাকতে।

ভিনা লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললো।এই আকুল আবেদন ফেলে দিতে পারলো না।রুশান ভিনার হাতে চুমু খেয়ে উঠে দাঁড়ালো।রাতের তারা ভরা আকাশের নিচে দুই হাতে ভিনার গাল ধরলো আলতো করে।গভীর আবেগ নিয়ে অধরবন্দী করতে চাইলো প্রেয়সীকে।ভিনার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে এলো,মাথা নিচু করে ফেললো।রুশান ভিনার থুতনি আলতো করে ধরে মাথা উঁচু করলো,এরপর ভিনাকে চমকে দিয়ে চুমু খেলো নাকে।ভিনা নিষ্পলক তাকিয়ে থাকলো রুশানের দিকে।

-- তুমি যেটা চাবে না আমি সেটা কখনোই করবো না ভিনা।তুমি জানো না আমি কত ভালোবাসি তোমাকে।এখন বাসায় যাও,সবাই চিন্তা করছে।

যাওয়ার আগে কপালে চুমু দিয়ে রুশান দৌড়ে নিচে নেমে গেলো।ভিনার কান্না করলো অনেক্ষণ। এত ভালোবাসা!সত্যিই কি ভাগ্যে এত ভালোবাসা জুটবে?

সেদিনের পর রুশানের সাথে সম্পর্ক স্থায়ীভাবে বদলে গিয়েছিলো।বন্ধুত্ব ছাপিয়ে ভালোবাসার অধিকার জন্মেছিলো দুইজনের প্রতিই।

ভিনা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ভুলেই গিয়েছিলো সময়ের কথা।রুশানের কলে হুশ ফিরলো।

-- বলো।
-- অনেক কিছু হয়ে গেছে।নিচে নামো,বলছি।
-- পারবো না।
-- প্লিজ ভিনা,তুমি না আমার ভালোবাসা?প্লিজ নিচে নামো।তোমাকে দেখবো,প্লিজ!
-- কী খবর?সুরাইয়াকে বিয়ে করছো?ঐ মেয়ে তাহলে পার্মানেন্টলিই তোমার ঘরে থাকবে।
-- আহারে পাখি!সে ব্যাপারে বলার জন্যই তো ডাকছি।নিচে নামো।
-- এসব কী নাম রুশান?
-- মানুষ প্রেমে পরলে এমন আউলা হয়ে যায়।
-- ধ্যাৎ 

ভিনা মুখ হাত ধুতে চলে গেলো।নিজের এমন কান্নায় ভেসে যাওয়া চেহারা দেখানোর ইচ্ছে করছেনা।ভিনার এই মন খারাপের কারণ,জেবা ভাইয়ের মেয়ে সুরাইয়াকে সপ্তাহ দুয়েক হলো বাসায় এনে রেখেছেন।যে মহিলা মহিলা কাজের মানুষই ঘরে এলাউ করেন না,তিনি ভাইয়ের যুবতী অবিবাহিতা মেয়েকে ঘরে তুলেছেন।ভিনা ভালোমতো ধরতে পেরেছে কেন।সেদিন থেকেই মন মেজাজ খারাপ হয়ে আছে।অতীত অভিজ্ঞতা থেকে ধরেই নিয়েছে এবারো পরিণতিহীন সমাপ্তি হবে। নিচে নামার পর একজন সিকিউরিটি গার্ড ভিনাকে ডাক দিয়ে হাতে একটা খাম দিলো।জানালো পিয়ন এসে এই চিঠি দিয়ে গেছে ভিনার নামে।চিঠি খুলতেই ভিনার পায়ের নিচে মাটি সড়ে গেলো।
.
.
.
চলবে..........................................................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

WhatsApp