মেঘফুল - পর্ব ২৯ - মিশু মনি - ধারাবাহিক গল্প


আজ অফিসে জাহ্নবীর সঙ্গে একটা অদ্ভুত ব্যাপার ঘটতে চলেছে। অন্য কারও জন্য বিষয়টা অত্যন্ত স্বাভাবিক। কিন্তু এ ধরনের পরিস্থিতিতে প্রথমবার পড়ছে জাহ্নবী। তাই তার কাছে বিষয়টা খানিকটা বিব্রতকর। তাকে অফিসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে নাদির স্যারের বাসায় যেতে হবে। নাদির ইনজুরিতে আছে। তাকে কাগজগুলো দেখিয়ে স্বাক্ষর করে নিতে হবে। একা একা যেতে পারবে কী না সেই আতংকে জাহ্নবী অনেক্ষণ দম আটকে বসে রইল। 

সিএনজিতে উঠে জাহ্নবী ফোন করল ভায়োলেটকে। ওর সঙ্গে কথা বললে ভেতর থেকে সাহস সঞ্চারিত হয় জাহ্নবী'র। ভায়োলেট ফোন রিসিভ করলো না। তীব্র নার্ভাসনেস নিয়ে জাহ্নবী নাদির স্যারের বাসায় ঢুকল।
বেশ বড় ড্রয়িংরুমের এক কোণায় জড়োসড়ো হয়ে বসল জাহ্নবী। একটা মহিলা ওকে শরবত দিয়ে গেলেন। মহিলা মানুষ দেখার পর ওর আতংক কিছুটা কমেছে। তবুও মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে, সে বেশ আড়ষ্ট।
মহিলা কিছুক্ষণ পর এসে জানালেন, 'আপনি আমার সঙ্গে আসেন। ওনার রুমে নিয়ে যাইতে বলছে।'
জাহ্নবী উঠে দাঁড়াল। গলা শুকিয়ে যাচ্ছে ওর। ফিসফিস করে মহিলাকে বলল, 'রুমে আপনিও থাকবেন।'

অবাক চোখে মহিলা জাহ্নবী'র দিকে তাকালো। কুঁচকানো ভ্রু দেখে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করল জাহ্নবী। রুমে ঢোকার আগ মুহুর্তেও সে মহিলাকে বলল, 'আপনিও থাকবেন রুমে কিন্তু।'

দরজা ঠেলে নাদিরের রুমে ঢুকে জাহ্নবীর ইতস্তত বোধ পুরোটাই কেটে গেল। নাদির বিছানায় শুয়ে আছেন, হাঁটু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত ব্যান্ডেজ। চোখেমুখে অসুস্থতার ভয়ংকর ছাপ। পাশেই একজন তরুণী চিন্তিত মুখে ওনার সেবা করছে। চেয়ারে বসে রয়েছেন একজন বয়স্ক ভদ্রমহিলা। জাহ্নবী লজ্জায় পড়ে গেল। তার ভয় পাওয়ার কোনোই কারণ ছিল না। মহিলাটি এখনও চোখ বড়বড় করে জাহ্নবীর দিকে তাকিয়ে আছে দেখে জাহ্নবী লজ্জায় মুখ তুলতে পারল না।

তরুণী সহাস্যে জাহ্নবীকে বলল, 'প্লিজ বসুন। সরি আমি আপনাকে রিসিভ করতে পারলাম না বলে। ও একটু পরপর এত অস্থির হয়ে যাচ্ছে, তাই ওকে রেখে এক মুহুর্ত সরতে পারছি না।'
'কী হয়েছে ওনার?'

আন্তরিক ভঙ্গিতে জানতে চাইলো জাহ্নবী। আড়ষ্টতা আপনা আপনি কেটে গিয়েছে। 
মেয়েটি উত্তর দিলো, 'একটা সিএনজির চাকা পায়ের ওপর দিয়ে চলে গেছে। বড় ধরনের কিছু ঘটতে পারত। এখনো ভয়েই কুঁকড়ে আছে ও। মা, আপনি রুমে যান। আমি দেখছি। উনি আমার শাশুড়ী মা।'

চেয়ারে বসে থাকা বৃদ্ধা ভদ্রমহিলার সঙ্গে আলাপ হল জাহ্নবী'র। তরুণী তাহলে নাদির স্যারের স্ত্রী! মিছেমিছি আতংকে মরে যাচ্ছিল সে। এখানে সবকিছু তার কল্পনার চাইতেও সুন্দর!

তরুণী নাদিরকে ডেকে বললো, 'এই ওঠো তো। লক্ষিটি, দেখো কে এসেছে।'

ধীরেধীরে চোখ মেলল নাদির স্যার। শুকনো মুখে হাসার বৃথা চেষ্টা করে বলল, 'আপনাকে অযথা কষ্ট দিতে হল মিস জাহ্নবী।'
'না, স্যার। আমি আসলে বুঝতে পারিনি আপনি এতটা অসুস্থ। আমি ভেবেছিলাম ইমেইলে সবকিছু স্ক্যান করে পাঠালেই তো হয়ে যাবে। সরি স্যার, আমি বুঝতে পারিনি।'
'আরে ধুর। দেখেছ তন্বী, মেয়েটা কত সাধাসিধে? জাহ্নবী, আমি তো মরেই যেতে বসেছিলাম। রাস্তা পার হওয়ার সময় একটা বাস দ্রুত স্পিডে এসে ধাক্কা দিতে যাচ্ছিল। অল্পের জন্য চাপা পড়িনি। কিন্তু জান বাঁচলেও সিএনজির চাকার নিচে পা পড়ে গেছে।'

তন্বী নরম গলায় বলল, 'প্লিজ নাদির। এই দৃশ্য বারবার মনে করো না। তাহলে তুমি আরও ভয় পাবে। ভুলতে চেষ্টা করো। তোমার কিচ্ছু হয়নি।'

নাদির বলল, 'জাহ্নবীর জন্য নাস্তার ব্যবস্থা করো। আমি কাগজপত্র গুলো দেখতে একটু সময় লাগতে পারে। আপনার অসুবিধা নেই তো?'

জাহ্নবী আন্তরিক ভঙ্গীতে উত্তর দিলো, 'না স্যার। কোনো অসুবিধা নেই। আপনি সময় নিয়েই দেখুন।'
'আমি কাজের ব্যাপারে অনেক সিন্সিয়ার বুঝেছেন? আমি চাইলেই এখন কাজটা আটকে রাখতে পারতাম। কিন্তু একটা সাইন দিলেই যখন হয়ে যাবে, তখন এতগুলো টাকার ডিল আটকে রাখার মানে হয় না।'
'আপনার মতো ভালোমানুষদের জন্যই পৃথিবীটা টিকে আছে।'
'ভালোমানুষ কিন্তু বেশিদিন টিকে না জাহ্নবী। এরা তারাতাড়ি পরপারে চলে যায়।'

তন্বী চোখ পাকিয়ে কাঁদোকাঁদো সুরে বলল, 'আর একবার এসব উলটা পালটা কথা বললে আমি কিন্তু চলে যাবো। যেদিকে চোখ যায় চলে যাবো।'

মুখের ওপর আঙুল রাখলো নাদির। তন্বী পেছনে দাঁড়ানো মহিলাকে বলল, ' খালা, আপনি ওনার নাস্তার ব্যবস্থা করুন।'
সেই মহিলাটি জাহ্নবীর দিকে এক পলক দৃষ্টিপাত করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। জাহ্নবী বলল, 'স্যার, আমি বাইরে বসি?'
' এখানে বসতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে?'
'না স্যার।'

তন্বী বলল, ' ঠিক আছে আপু, আপনি ড্রয়িং রুমে বসুন। আমি জরুরি দরকার হলে ডাকবো আপনাকে।'
জাহ্নবী ঘর থেকে বের হওয়ার পর শুনতে পাচ্ছিল তন্বীর গলা, ' বাবু প্লিজ কাগজপত্র রাখো, রেস্ট নাও। সারাদিন সময় পাবে এগুলো দেখার।'
'মেয়েটাকে বসিয়ে রাখবো সারাদিন?'
'ওকে চলে যেতে বলো। কাজ শেষ হলে আমরা ফাইল অফিসে ওনার কাছে পৌঁছে দেবো।'
'আমাকে এত ভালোবাসো কেন তন্বী?'
আর কোনো কথা শোনা গেল না। জাহ্নবী ড্রয়িং রুমে চলে এসেছে। একদিকে বিশাল কাঁচের দেয়ালের ওপাশে শহুরে বিল্ডিং মাথাচাড়া দিচ্ছে গর্বিত ভঙ্গিমায়। সোফার ওপর কেউ একজন বসে আছেন। 
জাহ্নবী দৃষ্টি সরিয়ে অন্যপাশে রাখা সোফায় এসে বসলো। কয়েক মুহুর্ত কেটে গেল নিরবে। মোবাইলের স্ক্রিনে চোখ রাখল জাহ্নবী। 
'খালা, চায়ে আরেকটু চিনি লাগবে।'
'আনতেছি।'

খালা এবার জাহ্নবীকে চা দিতে এলেন। ফোনের স্ক্রিন থেকে চোখ তুলে খালার দিকে তাকালো জাহ্নবী। সেই মহিলা! যাকে জাহ্নবী তার সঙ্গে ঘরে থাকতে বলেছিল। লজ্জা পেয়ে ম্লান হাসল জাহ্নবী। চায়ের কাপ নিয়ে দৃষ্টি ঘোরাতেই দেখল তার সামনের সোফায় বসে আছে 'পান্নাবাহার'!

জাহ্নবী প্রথমে এটাকে মনের ভুল ভেবে অবজ্ঞা করার চেষ্টা করেও পারল না। দিনদুপুরে আলোয় ঝলমলে এই ঘরে তার দৃষ্টিবিভ্রম হতে পারে না। উনি সত্যিই পান্নাবাহার। পরনে বাদামী রঙা শার্ট, চোখে চশমা। 
জাহ্নবী'র বুক কাঁপছে। এক চুমুক চা খেয়ে বাইরের দিকে তাকালো সে। শান্তিমত বসে থাকতেও পারছে না আর।
তন্বী এসে পান্নাবাহারকে জিজ্ঞেস করল, 'কতক্ষণ হল এসেছেন?'
'একটু আগেই।'
'রুমে যান।'
'চা শেষ করে যাচ্ছি।'

পান্নাবাহারের গলার স্বর টুকুও মাথায় গেঁথে গেল জাহ্নবী'র। তাকে জোর করে ভুলতে চেষ্টা করেছিল সে। চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে মনকে বুঝিয়েছিল, তার সঙ্গে দেখা হওয়ার ব্যাপারটা পুরোটাই ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। আমি আর তাকে নিয়ে ভাবতেও চাই না।
ভাগ্য কী তবে এই চেয়েছিল! কাজের সূত্রে নাদির স্যারের বাসায় এসে এভাবে আচমকা দেখা হয়ে যাবে দুজনের, তারপর? আবারও জাহ্নবী কষ্ট পাবে দীর্ঘ কয়েকটা দিন।

তন্বী জাহ্নবীকে বলল, 'আপু, আপনি অফিসে চলে যান। কাজ শেষ হলে আমি ফাইলটা অফিসে পাঠিয়ে দেবো। স্যার আপনাকে কিছু বলবে না। ওটা নাদির ম্যানেজ করে নেবে।'
'আচ্ছা।'
'আর আপু, আপনি লাঞ্চ করে যাবেন। আমি রান্নাবান্না করতে পারছি না। খালা রান্না করছে। আপনার খেতে অসুবিধা নেই তো?'
'সরি, আমি আজকে খেতে পারবো না। অন্য একদিন না হয়..'

জাহ্নবী কথাটা বলেই পান্নাবাহারের দিকে তাকাল। ইচ্ছেকৃত ভাবে তাকিয়েছে, তা নয়। অজান্তেই দৃষ্টি চলে গিয়েছে তার দিকে। পান্নাবাহার টি - টেবিলের ওপর খানিকটা ঝুঁকে এসে চামচ দিয়ে ধীরেধীরে চায়ের কাপে চিনি মেশাচ্ছে, ঝুনঝুন আওয়াজ উৎসারিত হচ্ছে সেখান থেকে। নরম ধোঁয়ায় তার চশমার কাঁচ ঝাপসা হয়ে উঠছে ধীরেধীরে। চোখ থেকে আলগোছে চশমা খুলে টেবিলে রাখল পান্নাবাহার। তারপর পরম যত্নে চায়ের কাপে চুমুক দিলো। জাহ্নবীর মনে হল, এতটাও নান্দনিক ভাবে কাউকে চা খেতে দেখেনি কখনো সে!

তন্বী বলল, ' খেয়ে যাবেন আপু। আপনাকে না খেয়ে আমি যেতে দিচ্ছি না। আমার শাশুড়িকে আসতে বলি, ওনার সঙ্গে কথা বলুন।'

তন্বী ভেতরে চলে গেল। পান্নাবাহারের চা'ও যেন ফুরিয়ে গেল দ্রুত-ই। সে নাদিরের ঘরের দিকে পা বাড়াল।
জাহ্নবী'র হৃদয় ভরে গেল এক শুভ্র নির্মল আনন্দে। ভাললাগার অমোঘ স্রোতে ভেসে যেতে লাগল তনু মন। কিছুক্ষণ আগেও যে অজানা আতংক বিরাজ করছিল তার মনে, মুহুর্তেই তা রূপ নিলো শুদ্ধ খুশির জোয়ারে। 
নাদির সাহেবের মা সোফায় এসে বসলেন। মুখটা মলিন। ছেলের শোকে তিনি ভীষণ ভেঙে পড়েছেন। জানতে চাইলেন, 'তোমার নাম কি মা?'
'জাহ্নবী।'
'ভাত খেয়ে যেও।'
'আচ্ছা।'
'তুমি করে বলাতে কিছু মনে করোনি তো?'
'না আন্টি। আপনি নিশ্চিন্তে বলতে পারেন।'
'তোমার বয়সী আমার একটা মেয়ে আছে, বড় মেয়ে। ও কানাডায় থাকে। ভাইয়ের একসিডেন্টের কথা শুনে পাগল হয়ে গেছে।'

আবেগঘন হয়ে উঠল মায়ের গলা। জাহ্নবী বলল, 'আন্টি, উনি আল্লাহর রহমতে দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন। আল্লাহ ওনাকে বড় ধরনের বিপদ থেকে বাঁচিয়েছেন।'
'সেটাই শোকরিয়া। দোয়া কোরো আমার ছেলের জন্য। অফিস থেকে ছুটি দিয়েছে। তাও সে কাজ করবেই। এমন পাগল ছেলে।'
'আসলে বড় একটা প্রজেক্ট তো, স্যার এতদিন দেখাশোনা করেছেন। তাই..'

নাদির সাহেবের মা একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। কাজের মেয়েকে ডাকলেন তিনি, 'সাহিদা, রান্না হলে মেহমানকে খেতে দাও।'
সাহিদা ছুটে এলো, 'পরায় হয়ে গেছে। আমি রেডি করতেছি।'
জাহ্নবী বলল, 'এত ব্যস্ত হবেন না প্লিজ। আমার খিদে নেই।'
'তুমি তাহলে খেতে বসো মা। এই টেবিলে বসো। আমাকে থাকতে হবে?'
'না, আন্টি৷ আপনি ভেতরে যান।'

সাহিদা খাবার রেডি করছে। টেবিলে বসে অস্বস্তি হল জাহ্নবী'র। এই মহিলা তার সম্পর্কে কী যে ভাবছে, আন্দাজ করেই ওর দমবন্ধ লাগে। একদিকে পান্নাবাহার হৃদয়াঙ্গনে বসে দোতারা বাজিয়ে চলেছে। এমনই মন কেমনের ক্ষণ এসেছে তার জীবনে!

খাবার ঠিকমতো খেতে পারল না জাহ্নবী। বারবার চমকে উঠছে, এই বুঝি পান্নাবাহার এসে পড়ে। কিন্তু না, আর দেখা হল না তার সাথে। খুব সম্ভবত লোকটা জাহ্নবী'র দিকে তাকায়ও নি। সে একা একাই তাকে নিয়ে জল্পনা কল্পনা বুনে চলেছে। হায়রে ভাগ্য! কেন আবার দেখা করালি..
জাহ্নবীকে বিদায় দিতে তন্বী নিজেই এসেছিল ড্রয়িংরুমে। শেষবারের মতো পান্নাবাহারকে দেখার আক্ষেপ নিয়ে জাহ্নবী ফিরে এলো অফিসে।

ব্যস্ততায় কেটে গেল পুরোটা দিন। আনন্দ বেদনার কাব্য চলছে মনের থিয়েটারে। কাজকর্ম ভালো লাগছে না, ইচ্ছে করছে বাসায় গিয়ে লম্বা ঘুম দিতে। 
নামাজকক্ষ থেকে আসরের নামাজ পড়ে বেরিয়ে জাহ্নবী ডেস্কের দিকে এগোচ্ছে, এমন সময় পান্নাবাহারকে দেখে থমকে দাঁড়াল। 
সে এগিয়ে এসে বলল, 'আপনাকেই খুঁজছিলাম। ফাইলটা দিতে এসেছিলাম আমি।'
জাহ্নবী অনেক্ষণ কথা বলতে পারল না। ওড়নায় আবৃত তার মাথা, কেবল উন্মুক্ত মুখমণ্ডল, ভীষণ বিশুদ্ধ দেখাচ্ছে তাকে। কী করবে বুঝে উঠতে পারল না সে।

পান্নাবাহার নিজেই বলল, 'নাদির আপনার ফোনে কল করেছিল, পাচ্ছিল না।'
অনেক্ষণ পর ইতস্তত গলায় জাহ্নবী বলল, 'ড্রয়ারে ছিল ফোন। আমি আসলে..'
'নিন।'
জাহ্নবী ফাইলটা হাতে নিয়ে বলল, 'ধন্যবাদ।'
'ওয়েলকাম।'
ফাইলটা দিয়ে চলে যেতে উদ্যত হল পান্নাবাহার। জাহ্নবী'র গা শিউরে উঠল। ধীরপায়ে ডেস্কে এসে বসলো সে। মুহুর্তের জন্য চারপাশ থেকে সবকিছু ভীষণ অপরিচিত হয়ে উঠল তার কাছে। দুহাতে মুখ ঢেকে আপনমনে জাহ্নবী বলল, 'কেন আমার সঙ্গে এমন হচ্ছে? এত বছর কেন মন তুই অবাধ্য হোসনি? এই বয়সে এসে তোর কী এমন করা মানায়?'
.
.
.
চলবে.........................................................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

WhatsApp