স্টে উইথ মি - পর্ব ১৩ - নুসরাত জাহান বৃষ্টি - ধারাবাহিক গল্প


          মেহুল বিছানায় বসে আছে, কিন্তু দম বন্ধ হয়ে আসছে তার। শেরাজের রুম থেকে বেরিয়ে এসেও তার মন এখনো ওখানেই আটকে আছে। “তোর ভাই হতে কখনো চাই নি মেহুল, আমি তোকে বোনের চোখে দেখি না।”

এই কথাটা যেন বার বার ঘুরে ঘুরে বাজছে মাথার ভেতর। কিন্তু শেরাজ ড্রাগ নেয় এটা মানতে পারছে না। মেহুল জানত শেরাজ অন্যরকম, ভয়ানক রকমের একটা পুরুষ মানুষ। কিন্তু এতটা? মেহুলের মাথায় হাজারটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কেন শেরাজ ভাই এসব করে কেন? প্যারিসে এই পাঁচ বছর থাকাকালীন কিছু কি হয়েছে যার জন্য এই ড্রাগ নেওয়ার নেশায় নিজেকে মত্ত করে তুলেছে শেরাজ ভাই। মেহুল আর ভাবতে পারছে না তার মাথা যেন ব্যথায় ছিঁড়ে যাচ্ছে। মেহুল টেবিলের দিকে এগিয়ে গিয়ে ড্রয়ার খুলে ইনহেলারটা বের করল। বার কয়েকবার গভীর ভাবে ইনহেলারটা টান দিলো, যাতে করে শরীরে খানিকটা স্বস্তি আসে। তবুও ক্লান্তি কাটছে না, শরীর যেন অবসন্ন হয়ে আসছে। চোখের পাতা ভারী হয়ে আসছে ধীরে ধীরে। শেষবারের মতো এক দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে সে বিছানায় গা এলিয়ে দিলো। পরম শান্তির ঘুম এসে হানা দিলো দু চোখের পাতায়। যেই ঘুম একটা মানুষের ক্লান্ত মস্তিষ্ক আর অবসন্ন দেহকে স্বাভাবিক রাখে।

—————

নতুন দিনের সূচনা। পূর্বাকাশে উজ্জ্বল সোনালি আভা ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র জুড়ে। সূর্যের কোমল রুপালি আলো মেখে প্রকৃতি জেগে উঠেছে নবীন স্নিগ্ধতায়। চারপাশে পাখিদের সুমধুর কাকলি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। যার ধ্বনিতে পরিবেশে বিরাজ করছে শান্তিময় সুখ। বাতাসে এক প্রশান্তিময় আবেশ যেন নতুন দিনের আগমনে সবকিছুই আনন্দে উদ্বেলিত।

ঘড়ির কাঁটা সাড়ে সাতটার ঘরে। মেহুলের পড়ার টেবিলটা ঠিক জানলার পাশে। সকালের মিষ্টি সূর্যের সোনালি আভা তার টেবিলে এসে পৌঁছায় পুরোটা। সূর্যের সোনালি মিষ্টি আভা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়েছে টেবিল জুড়ে, বই-খাতার পৃষ্ঠায় যেন আলো-ছায়ার খেলা চলছে। সকালে ফুরফুরে বাতাস জানলার ফাঁক গলে ঘরে ঢুকছে বাধাহীন ভাবে। যা মেহুলের মনে এক স্বস্তির স্পর্শ ছুঁয়ে যাচ্ছে।
 
মেহুল দু চোখের পাতা বন্ধ করে পুরোটা উপভোগ করছে। নিজেই নিজেকে কথা দিয়েছে শেরাজের বিষয়টা নিয়ে আর অতিরিক্ত ভাববে না। অযথা মাথা ঘামাতে গেলে সে অসুস্থ হয়ে যাবে। আর সে অসুস্থ হয়ে গেলে আর যাই হোক কেউ তাকে সেবা করতে আসবে না। 

—————

মেহুল নিচে নেমেছে। তাকে ভার্সিটি যেতে হবে। নিচে নামতেই দেখা মিলল শেরাজের। শেরাজ সোফায় বসে আছে পায়ের উপর পা তুলে। একদম স্বাভাবিক ভঙ্গিতে চা খাচ্ছে আর ফোনে কিছু একটা দেখছে। কোনো অস্বাভাবিকতা নেই তার চেহারায়। কিন্তু এই দুটি চোখ ওগুলো যেন রাতের সেই ভয়ানক দৃষ্টি। মেহুল থমকে গেল। শেরাজ মেহুলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠল। চোখ তুলে মেহুলের দিকে তাকিয়ে বলল।

"গুড মর্নিং, দাদার নাতনি। ঘুম কেমন হলো?"

মেহুল কোনো উত্তর দিল না। মেহুলকে মৌন দেখে শেরাজ তার ঠোঁটের কোণ হাসি রেখে মেহুলের দিকে তাকিয়ে আছে। দু ভ্রু উপরে তুলে বলল।

"কি হলো? প্রশ্নের উত্তর দিবি না? এটা কিন্তু ব্যাড ম্যানারস। বয়সে বড় কেউ কোনো প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে হয়।"

মেহুল ঢোক গিলে গলা খাঁকারি দিয়ে বলল, "হুম। ভালো ঘুম হয়েছে।"

শেরাজ মৃদু হাসল। চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বলল, "হুমম, গুড। রাতে স্বপ্ন দেখিস নি তো আবার?"

মেহুল পা বাড়াতে নিলে শেরাজের কন্ঠ শুনে থেমে যায়। ভেবেছিলো উত্তর দিবে না কিন্তু সে নিজেকে শান্ত রেখে বলল, "স্বপ্ন দেখলে তাতেও সমস্যা? এখন কি সেটাও তোমার কন্ট্রোলে?"

শেরাজ এবার নিচু স্বরে হেসে ফেলল, "আমি চাইলে অনেক কিছু কন্ট্রোলে আনতে পারি দাদার নাতনি। তবে স্বপ্নের ওপর আমার কোনো হাত নেই।"

শেরাজের কথাটা শুনে মেহুল কিছুক্ষণ নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকল। শেরাজের কণ্ঠের মধ্যে যেন এক ধরনের অদ্ভুত দৃঢ়তা লুকিয়ে আছে, যা মেহুলকে আরও অস্বস্তিতে ফেলে দিচ্ছে বার বার। কিছু একটা বলার জন্য মেহুলের‌ ঠোঁট কাঁপল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছু না বলেই সোজা ডাইনিং টেবিলের দিকে চলে গেলো। সবাই নাস্তা করে ফেলেছে শুধু বাকি ছিলো সে। নাস্তা শেষ করে নানা ভাইয়ের রুমে গিয়ে নানা ভাইয়ের সাথে দেখা করে‌ বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসে মেহুল গভীর শ্বাস নিল।

ভার্সিটিতে যেতে হবে, কিন্তু মনটা আজ কিছুতেই স্থির হচ্ছে না। পায়ের নিচে শক্ত মাটির বদলে যেন কিছু নরম আর অস্থির জিনিস আছে, যেটায় দাঁড়িয়ে সে যেকোনো মুহূর্তে ডুবে যেতে পারে অতল গহ্বরে।

মেহুল গুটিগুটি পায়ে হেঁটে গেটের কাছে আসতেই পেছন থেকে গাড়ির হর্ন বাজল। চমকে উঠে পেছন ফিরে তাকাতেই দেখতে পেল শেরাজ নিজের গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে আছে। গাঢ় কালো শার্ট, চোখে কালো সানগ্লাস, ঠোঁটের কোণে সেই পরিচিত রহস্যময় হাসি।

"কোথায় যাচ্ছিস চাশমিশ?"

মেহুল "চাশমিশ" ডাকটা শুনে রেগে কিছু বলতে নিলে থেমে যায়। শেরাজ বাঁকা হাসলো মেহুল যে ঠোঁটের আগায় আসা কথাটা গিলে নিয়েছে তা দেখে। মেহুল ছোট্ট করে উত্তর দিল, "ভার্সিটি যাচ্ছি।"

"চল, আমি নামিয়ে দিচ্ছি।"

"না লাগবে না আমি রিকশা করে যেতে‌ পারব।"

শেরাজ একটু হেসে বলল, "রিকশায় গেলে দেরি হবে। আমি তোকে পৌঁছে দিচ্ছি উঠ।"

মেহুল জোর দিয়ে বলল, "বললাম না, লাগবে না!" 

শেরাজ ঠোঁট চেপে হাসল। মুখ দিয়ে "চ" সূচক শব্দ উচ্চারণ করে গলার স্বরে শীতলতা এনে মাথা ঝাকাতে ঝাকাতে বলল, "ওকে, যা খুশি কর তাতে আমার কি?"

বলেই গাড়িতে উঠে বসলো। মেহুল আর এক মুহূর্ত দাঁড়াল না, দ্রুত পা চালিয়ে রাস্তায় নেমে গেল।

—————

ক্লাসের পুরোটা সময় মেহুলের মন অন্য কোথাও পড়ে ছিল। কলি, ইকরা, লামিয়া তিন বান্দরনী আজ আসে নি। এক সাথে তাদের কাছে সমস্যা এসে বাসা বেঁধেছে। মেহুল বইয়ের পাতায় চোখ রাখলেও কিছুই মাথায় ঢুকছে না। পাশে বসা রিয়া মেহুলকে অন্যমনস্ক দেখে বলল, "কি হয়েছে, তোকে এমন উদাস দেখাচ্ছে কেন? কিছু কি হয়েছে?"

মেহুল ছোট্ট করে বলল, "কিছু হয় নি।"

ক্লাস শেষ হতেই মেহুল ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে এলো। ভার্সিটি থেকে বের হতেই পেছন থেকে একটা গলা শুনতে পেল, "মেহুল!"

মেহুল পেছন ফিরে দেখে রাজিব। রাজিব এক ক্লাস সিনিয়র তার। রাজিব তার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। মেহুল জিঙ্গাসা করল, "কিছু বলবেন রাজিব ভাইয়া?"

"হুম! পায়ে ব্যথা পেলে কি করে?"

"ওই আসলে পায়ের উপর কাচের ফুলদানি পড়ে গিয়েছিল।"

"ইস সাবধানে চলাফেরা করবে তো। তুমি বাড়ি যাবে তো? চলো একসাথে যাই আমার বাইক আছে।"

"না না ভাইয়া তার কোনো দরকার নেই আমি রিকশায় যেতে পারব।"

রাজিব একটু বিরক্ত হয়ে বলল, "আরে সমস্যা নেই চলো তো।"

"আমি বাইকে কমফোর্টেবল না রাজিব ভাইয়া।"

রাজিব কিছু বলতে যাবে, ঠিক তখনই গম্ভীর এক পুরুষালী কন্ঠ ভেসে এলো, "ও কি বলছে শুনো নি? ও বাইকে কমফোর্টেবল না।"

রাজিব চমকে উঠে পেছন ফিরে তাকালো। মেহুল অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে শেরাজের দিকে। এই লোক এখানে কী করছে? রাজিব শেরাজকে খুব ভালো করেই চিনে জানে। রাজিব সামান্য অপ্রস্তুত হয়ে বলল, "আসলে আমি তো ওর সুবিধার জন্যই বলছিলাম। পায়ে ব্যথা তাই আর কি।"

শেরাজ ঠাণ্ডা গলায় বলল, "ও ওর সুবিধা অসুবিধা ও নিজে বোঝে নেবে।"

রাজিব বিব্রত হয়ে মেহুলের দিকে তাকালো, যেন মেহুলের প্রতিক্রিয়া বোঝার চেষ্টা করলো। কিন্তু মেহুল তো নিজেই হতবাক। শেরাজ এবার একটু সামনে এগিয়ে এলো, চোখ সরাসরি রাজিবের দিকে রেখে বলল, "আরও কিছু বলার আছে তোমার?"

"না কিছু বলার নেই।"

"তাহলে যাও আর একটা কথা বাইকটা সাবধানে চালাবে। বলা তো যায় না কখন কি হয়ে যায়।"

রাজিব এক পলক শেরাজকে দেখে চলে যায়। শেরাজ মেহুলের দিকে তাকায়। মেহুলকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থাকতে দেখে শেরাজ খোঁচা মেরে বলল, "কি হয়েছে এমন পাতা টুকারির মতো তাকিয়ে আছিস কেন?"

মেহুল হতভম্ব হয়ে যায় শেরাজের কথা শুনে। এই লোক কি সব উল্টাপাল্টা কথা বলছে? পাতা টুকারি মানে? মেহুলের ইচ্ছে করছে হাজারটা কথা শুনিয়ে দিতে কিন্তু সে কোনো সিনক্রিয়েট করতে চায় না পাবলিক প্লেসে তাই সামনে পা বাড়ানোর জন্য উদ্যত হতে নিলে শেরাজ হুকুম করল, "চুপচাপ‌ গাড়িতে গিয়ে বস ভালো মেয়ের মতো।" 

মেহুল স্থির চোখে শেরাজের দিকে তাকালো। শেরাজ চারপাশটা নজর বুলিয়ে কন্ঠ নিচু করে বলল, "গতকালকের কথাটা মনে আছে তো কিভাবে তোকে নিয়ে গিয়েছিলাম।"

মেহুল শেরাজের কথার অর্থ বুঝতে পারলো। তাই আর বেশি বাড়াবাড়ি না করে গাড়ির দরজা খুলে চুপচাপ গাড়িতে উঠে বসে। শেরাজও ড্রাইভিং সিটে বসে সিট বেল্ট লাগিয়ে মুচকি হেসে বলল, "বুদ্ধিমতী মেয়ে। এবার চুপচাপ বসে থাক।"

—————

গাড়ি চলছে আপন গতিতে। শেরাজ স্টিয়ারিং ধরে সামনে তাকিয়ে, ঠোঁটের কোণে অমলিন এক হাসি। যেন কিছু একটা নিয়ে বেশ মজা পাচ্ছে। মেহুল প্যাসেঞ্জার সিটে বসে আছে চুপচাপ। শেরাজ গাড়ির রিয়ারভিউ মিররে চোখ রেখে বলল, "আচ্চা মেহুল তোর কি মনে হয় কেউ আমাদের ফলো করতে পারে?"

মেহুল কপাল কুঁচকে তাকালো, "মানে?"

শেরাজ গাড়ির গতি সামান্য কমিয়ে ফেলল, "পেছনে তাকিয়ে দেখ তো কিছু দেখতে পাস কিনা?"

মেহুল পেছনে তাকাল। একটা কালো এসইউভি ওদের পিছু নিয়েছে অনেকক্ষণ ধরে। দূর থেকে গাড়িটা একদম সাধারণ মনে হলেও ভালোভাবে খেয়াল করলে বোঝা যাচ্ছে গাড়িটা তাদের গাড়িকে ফলো করছে। মেহুল ভয় মিশ্রিত কন্ঠে বলল।

"ওরা কারা?" 

শেরাজ একপলক মেহুলের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসল, "জানি না। তবে খুব জানতে ইচ্ছে করছে।"

কথাটা বলে শেরাজ গাড়ির গতি বাড়িয়ে দিল। সঙ্গে সঙ্গেই পেছনের গাড়িটাও গতি বাড়াল পুরোদমে। শেরাজ এখন আরও নিশ্চিত হলো ওরা তার পেছনেই লেগেছে। কিন্তু কি উদ্দেশ্য এদের? 

মেহুলের ভয়ে অন্তর আত্মা কাপছে। কি হবে কিছু বুঝতে পারছে না। এরা কারা? তাদের পিছু নিলো কেন? কি চায় এরা? মেহুল শেরাজের দিকে তাকায়। শেরাজ একদম স্বাভাবিক ভঙ্গিতে স্টিয়ারিং ধরে ড্রাইভ করে যাচ্ছে মুখে বিন্দুমাত্র ভয় বা উদ্বেগের ছাপ নেই। মেহুল বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গেল। কিভাবে শান্ত আছে এই লোক? 

কিছু দূর গিয়ে শেরাজ হঠাৎ একটা গলি দিয়ে বাঁ দিকে ঢুকে গেল। জায়গাটা নির্জন, মানুষ জনের আনাগোনা তেমন নেই। পুরো রাস্তা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বালু আর ভাঙা ইটের টুকরো পড়ে আছে। শেরাজ গাড়ি ব্রেক কষে। গাড়ি আচমকা থেমে যাওয়াতে মেহুল ভড়কে যায়। আতঙ্কিত কণ্ঠে বলল, "কি হলো গাড়ি থামালে কেন? ওরা তো আমাদের ধরে ফেলবে।"

শেরাজ ঘাড় ফুটিয়ে বলল, "অনেক দিন হলো এক্সারসাইজ করি না। শরীরটা কেমন জানি ভারী লাগছে। একটু হাত চালিয়ে মারামারি করে আসি তাহলে মন শরীর উভয় ভালো থাকবে।"

মেহুল হতভম্ব হয়ে বলল, "মানে তুমি কি প্রতিদিন মারামারি করো নাকি?"

শেরাজ মুচকি হেসে ফিসফিস করে বলল, "তোকে একটা গোপন কথা বলি শোন, আমি প্যারিসে যখন ছিলাম তখন একটু আধটু মারামারি করতাম।" 

মেহুল উদগ্রীব হয়ে প্রশ্ন করল, "কাদের মারতে?"

"উমম! এটা তো বলা যাবে না এটা সিক্রেট।" 

"তুমি আর কি কি গোপন করে রেখেছো সেটা বলবে একটু আমায়?"

"এতো কৌতূহল ভালো নয় কৌতূহলের রাণী। এখন শুধু এটাই মাথা রাখবি যাই হয়ে যাক না কেন গাড়ি থেকে নামবি না। চুপচাপ গাড়িতেই বসে থাকবি।"

শেষ কথাটা শেরাজ জোর গলায় বলে দরজা খুলে গাড়ি লক করে নেমে পড়লো। ঠোটে তার বাঁকা হাসি।
·
·
·
চলবে...................................................................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

WhatsApp