অপরাহ্নের নিষিদ্ধ অনুভূতি - পর্ব ১১ - ইসরাত তন্বী - ধারাবাহিক গল্প


          তন্ময়ী ধীর পায়ে কেবিনের ভিতরে এগিয়ে গেল। এতক্ষণে ওকে খেয়াল করল মিরা। চোখ দুটো খুশিতে সকালের মৃদু রোদের মতো ঝলমল করছে। আননে উপচে পড়া খুশি। মুখটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে পেটের মধ্যে কথার সাগর বয়ে চলেছে। তন্ময়ীকে বলার জন্য আঁকুপাঁকু করছে মনটা। তন্ময়ী মুচকি হাসল। মিরার মা জারা হান্টস ওর কাছে আসলেন। বুকে জড়িয়ে নিলেন। মাথায় স্নেহের পরশে হাত বুলিয়ে দিলেন,

"কেমন আছ তনু মামনি? তোমার অপেক্ষায় ছিলাম। গতকাল বিকালে আসার কথা ছিলো তো তোমার। আসনি না কেন মামনি?"

তন্ময়ী ওনাকে দু'হাতে জড়িয়ে ধরেছে ততক্ষণে। বুকে মাথা রেখেই প্রত্যুত্তর করল, "শরীরটা ভালো ছিলো না আন্টি। একটু রেস্ট নিচ্ছিলাম বাসায়। আজ সকালে যে আসব সেই সুযোগ কোথায়? বৈরী আবহাওয়াতে বাবা তো কখনোই বাইরে বেরোতে দিতো না। কিন্তু দেখো বৃষ্টি থামতেই চলে এসেছি তোমার কাছে।"

তন্ময়ীর কথায় হাসলেন জারা হান্টস। জিজ্ঞাসা করলেন, "এখন কেমন আছ মামনি?"

"আলহামদুলিল্লাহ আন্টি।"

"আচ্ছা শোনো তোমার ফেভারিট বিরিয়ানি রান্না করেছিলাম আজ সকালে। খেয়ে বলো কেমন হয়েছে।"

"আন্টি তুমি বাসায় গেছিলে?"

"হ্যাঁ, সকালে গেছিলাম।"

"মিরার কাছে কে ছিলো?"

"আমার একটা ফ্রেণ্ড এর মেয়ে।"

কথাটা বলেই ওকে ছেড়ে দিয়ে মিরার বেডের পাশে পেতে রাখা টেবিলের দিকে অগ্রসর হলেন জারা হান্টস। তন্ময়ী আর কিছু বলল না। দু'জন এতক্ষণ ভুলতেই বসেছিল রৌহিশের উপস্থিতির কথা। জারা হান্টস গল্পগুজব পেলে দিন দুনিয়া ভুলতে বসেন। তার না হয় বয়স হয়েছে কিন্তু তন্ময়ী? এই প্রথম নিজের কাজে লজ্জা পেলো মেয়েটা। স্যারের সাথে এক প্রকার বেয়াদবি করা হলো বোধহয়। তা নয়তো কী? চোখ তুলে আর রৌহিশের দিকে তাকাল না। ফ্লোরে দৃষ্টি নিবিষ্ট রেখেই চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল। পায়ের নখ দিয়ে টাইলস খুঁটতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।

তন্ময়ীর এই নিশ্চুপতা, লজ্জাবোধে সকলের দৃষ্টির অগোচরে ক্ষীণ হাসল রৌহিশ। আজ একটা বাচ্চা তন্ময়ীর সাথে পরিচিত হলো। নতুন এক তন্ময়ী, নতুন এক সত্তা। একটা মানুষ আর কতগুলো সত্তা বহন করে কে জানে? এই মেয়ের মাঝে বোধহয় কোনো কিছুরই কমতি নেই। রাগ, ভালোবাসা, হিংস্রতা সবকিছুই সায়রের মতো সুবিশাল, অদ্রির মতো অটল। রৌহিশ বিড়বিড় করে আওড়াল,

"ওয়াইফ ম্যাটেরিয়াল।"

জারা হান্টস মুচকি হেসে রৌহিশের সামনে যেয়ে দাড়ালেন। একটু নমনীয় কণ্ঠে সম্মান রেখে বললেন,

"স্যার, আপনি হয়তো সকালের নাস্তা করেই বাসা থেকে বের হয়েছেন। তবুও একটা অনুরোধ। এই গরিবের হাতে রান্না করা বিরিয়ানি একটু খেলে খুশি হতাম।"

কথাটা বলেই এক বুক আশা নিয়ে রৌহিশের দিকে তাকিয়ে রইলেন। রৌহিশের অধরপল্লব দুদিকে অল্পস্বল্প প্রসারিত হলো। হাসল ছেলেটা। সেই হাসির দিকে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে রইল মিরা। এই প্রথম স্যারকে হাসতে দেখল ও। খুইয়ে বসল নিজেকে। ডুব দিলো অন্য জগতে। স্বভাবসুলভ প্যান্টের পকেটে হাত রেখে সটান হয়ে দাঁড়িয়ে আছে রৌহিশ। গম্ভীর অথচ শান্ত কণ্ঠে প্রশ্ন করল,

"আপনার গায়ে লেখা আছে নাকি আপনি গরীব?"

"না, স্যার। কিন্তু সত্য তো এটাই।"

"টাকা দিয়ে সবকিছুর হিসাব করা যায় নাকি? এই যে দেখুন আপনার চোখে আমার জন্য যে স্নেহ, যে ভালোবাসা আমি দেখছি এটা আমি অনেক বিলিওনিয়ার এর চোখেও দেখি না। তাদের চোখে দেখি কেবল ফর্মালিটিজ।"

তড়িৎ গতিতে দৃষ্টি তুলে সামনে তাকাল তন্ময়ী। কথাগুলো ভীষণ রকমের ভালো লেগেছে ওর। যেটা ওর চোখে মুখেই স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। রৌহিশ আড়চোখে একবার ওর দিকে তাকাল। মনে মনে হাসল। তবে বাহ্যিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাল না। জারা হান্টসের আঁখিতে পানি ভীড় জমাল। কাঁপা কাঁপা গলায় বললেন,

"সবাই যদি আপনাদের মতো হতো স্যার তাহলে আমাদের মতো মানুষগুলো এভাবে অবহেলিত থাকত না।"

জারা হান্টস কথাটা কোনদিক মিন করে বললেন উপস্থিত সবাই বুঝল। মিরার মুখটা ফ্যাকাসে দেখাল। হাসিখুশি সত্তাটা হঠাৎ করেই হারিয়ে গেল। বাস্তবতার জাঁতাকলে পিষ্ট রঙহীন জীবনের কাছে সবকিছুই ফিকে হয়ে আসলো।

"আমাকে তুমি বলে সম্বোধন করলেই খুশি হবো‌। সকল ফর্মালিটিজ ভার্সিটি পর্যন্ত করলেই চলবে। আর বিরিয়ানী এক লোকমা খেলে মন্দ হয় না।"

এতটুকু কথাতেই খুশি হয়ে গেলেন জারা হান্টস। ম্লান বদনেই হেসে ফেললেন। দ্রুত হাতে যত্ন নিয়ে খাবার সার্ভ করে প্লেটটা রৌহিশের দিকে এগিয়ে দিলেন। পরপরই চেয়ার এগিয়ে দিলেন বসার জন্য। ভীষণ ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। একটা পানির বোতল সহ বোল এগিয়ে দিয়ে বললেন,

"এখানেই হাত ধুয়ে ফেলো বাবা। ওয়াশ রুমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।"

রৌহিশ হাত ধুয়ে চেয়ারে বসল। আস্তে ধীরে ভাত মাখাতে শুরু করল। জারা হান্টস তন্ময়ীর দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়লেন, "তোমাকে ও এখনি দেই মামনি?"

"আমি পরে খাচ্ছি। আপনি ব্যস্ত হবেন না আন্টি।"

জারা হান্টস মেনে নিলেন ওর কথা। মাথা নেড়ে রৌহিশের পাশেই দাঁড়িয়ে রইলেন। কখন কিছু প্রয়োজন হয় কি-না? রৌহিশ এক লোকমা মুখে তুলে চিবোতে চিবোতে বলল,

"আপনার হাতের রান্না চমৎকার। অনেকটা মাম্মির মতো।"

রান্নার এই প্রশংসা টুকুই যথেষ্ট ছিলো জারা হান্টস এর মুখে প্রাণবন্ত হাসি ফুটিয়ে তোলার জন্য। মেয়েরা স্বভাবগত'ই একটু প্রশংসা শুনতে ভালোবাসে। আর কথা যদি হয় কষ্ট করে রান্নার প্রশংসা। সেখানে একটু বেশিই আহ্লাদি নারীজাতি। 

"অনেক ধন্যবাদ বাবা।"

রৌহিশ আর কোনো কথা বলল না। চুপচাপ কয়েক লোকমা খেল। খাওয়া শেষে আরও মিনিট পাঁচেক সময় পেরোতেই একবার হাতঘড়িতে সময় দেখে নিলো। বিশ মিনিট ধরে আছে এখানে। বাব্বাহ! অনেকখানি সময়। আর থাকল না। জারা হান্টসের থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেল। যাওয়ার আগে আশ্বস্ত করে গেছে যে এই কেসে রৌহিশ ওনাদের পাশে থাকবে। এর শেষ দেখেই ছাড়বে ও। মিরাকে বেশকিছু মোটিভেশন দিয়েছে কিন্তু পুরোটা সময় তন্ময়ীকে চোখে দেখেও যেন দেখেনি। মেয়েটার অজানা কোনো এক কারণে ভীষণ অভিমান হলো অর্ধপরিচিত মানুষটার উপর। কিন্তু কেন হলো? এই প্রশ্নের উত্তর ওর অভিধানে নেই।

তন্ময়ীকে আর নিজে হাতে খেতে হলো না। জারা হান্টস নিজ হাতেই খাইয়ে দিলেন। আজ ওনার মনটা ভীষণ খুশি। মিরাকে খেতে সাধলে বলে খাবে না। কিছুক্ষণ আগেই নাকি খেয়েছে। খেতে, খেতে আড্ডায় মজে গেল সবাই। আড্ডার এক পর্যায়ে তন্ময়ী জানতে পারল ডিপার্টমেন্টের হেড, স্যার ও এসেছিলেন। কিন্তু ওনার কাজ পড়ে যাওয়ায় আগেই চলে গেছেন। আর রৌহিশ স্যার রয়ে গেছিলেন। রৌহিশ নামটা মনে পড়তেই তন্ময়ীর অভিমানের পাহাড় আরেকটু উঁচু হলো। নিজের সাথে ঘটে যাওয়া উদ্ভট ঘটনাগুলোর একাংশ ও কি মেয়েটা আঁচ করতে পারল? হয়তো! হয়তো না।

—————

বেলা পড়ে এসেছে। সূর্য ডোবার পথে। দুপুরের পরে আরও এক পড়ন বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পরে আকাশ এখন স্বচ্ছ। নীলাভ রঙে রাঙিয়েছে নিজেকে। পাখিদের দল ঘরে ফিরছে। হয়তোবা খাবারের সন্ধানে অনেক দূরে গেছিল। বইছে ঝিরিঝিরি শীতল পবন। পশ্চিমাকাশে লালাভ রেখার দেখা মিলেছে। গোধূলি লগ্নে বাবা, মেয়ে হাঁটতে বের হয়েছে। শেখ সাদমানের আজ নাইট ডিউটি। সারাটা দিন বাসায়'ই আছেন। কিছুদূর একটু হেঁটে এসে দু'জনের নজরে পড়ল একটা বসার জায়গা। এগিয়ে গেল সেদিকে। পেতে রাখা বেঞ্চটা ভেজা। শেখ সাদমান মেয়ের দিকে তাকালেন। তন্ময়ী কিছুক্ষণ ভ্রু কুঁচকে বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে থেকে প্যান্টের পকেট হাতড়াল। যেটা খুঁজছিল সেটা পেয়েও গেল। প্যান্টের পকেট থেকে একটা প্যাকেট বের করল। পকেট টিস্যু সবসময় ওর কাছেই থাকে। প্যাকেট থেকে কয়েকটা টিস্যু বের করে ফটাফট মুছে ফেলল বেঞ্চটার একাংশ। হাত মুছতে মুছতে বলল, "বসো বাবা।"

শেখ সাদমান মুচকি হেসে বসলেন বেঞ্চটাতে। তন্ময়ী হাত মোছা শেষে নোংরা টিস্যুটা পাশের ডাস্টবিনে ছুঁড়ে মারল। টিস্যুর প্যাকেটটা পুনরায় প্যান্টের পকেটে রেখে বাবার পাশের শুকনো জায়গাটায় বসল। বাবার ডানহাতটা জড়িয়ে বাহুতে মাথা রেখে নেত্র যুগল বুঁজে নিলো। প্রাণ ভোরে বড়ো একটা শ্বাস নিলো ও। মেয়ের কাণ্ডে শেখ সাদমানের মুখের হাসি প্রসারিত হলো। শুধালেন,

"মন ভালো নেই আম্মা?"

"আছে, বাবা।"

"আপনি মিথ্যা বলতে অপটু আম্মা।"

বাবার আদুরে কথায় তন্ময়ীর পাতলা ঠোঁটজোড়া তিরতির করে কেঁপে উঠল। দাঁত দিয়ে ওষ্ঠের একপাশ চেপে নিজেকে সামলাল। ভাঙা গলায় কোনোমতে বলল,

"আমি একটু শান্তি চাই বাবা।"

"কী করলে আপনার শান্তি মিলবে?"

"আমি একটামাস এই জগতের সবকিছু থেকে দূরে থাকতে চাই। ভ্রমণে বেরোতে চাই বাবা। পাহাড়, সমুদ্রের সাথে নিজেকে মিশিয়ে বাঁচতে চাই। ওরা আমায় হাতছানি দিয়ে ডাকছে বাবা। আমি এভাবে এক দণ্ড স্বস্তি পাচ্ছি না। এভাবে চলতে থাকলে আমার দ্বারা খারাপ কিছু হয়ে যাবে বাবা।"

"আপনাকে একা ছাড়তে মন সায় দেয় নাতো আম্মা। এই পৃথিবী আমাদের জন্য খুব নিষ্ঠুর।আপনি ছাড়া আপনার বাবা এই পৃথিবীর বুকে অস্তিত্বহীন, শূন্য আম্মা।"

"প্যারিসের বাইরে কোথাও যাব না বাবা। আপাতত একটা মাস আমাকে একটু নিজের মতো করে ছেড়ে দিবে প্লিজ? আমি বাঁচতে চাই।"

মেয়ের এহেন আবদারের পৃষ্ঠে কিয়ৎসময় চুপ রইলেন শেখ সাদমান। তন্ময়ী কী করতে চাইছে উনি বুঝছেন। কিন্তু এটা সত্যি মেয়েটার সত্যিই একটু মানসিক শান্তির প্রয়োজন। তন্ময়ীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। বুকে মাঝে জড়িয়ে নিলেন নিজের আদরের কন্যাকে। তন্ময়ী যেন এটার'ই অপেক্ষায় ছিলো। বাবার বুকে অদ্ভুত এক শান্তি মিলে ওর। যা পৃথিবীর কোথাও ও খুঁজে পায় না। বাবা মানেই ওর কাছে এক আকাশসম শান্তি। বাবা মানেই ওর কাছে একটা বটবৃক্ষ যা ওকে সবসময় পৃথিবীর সব খারাপ থেকে আগলে রাখে। তাই তো তন্ময়ী এমন উড়নচণ্ডী প্রকৃতির মেয়ে। যে কোনোকিছুকে পরোয়া করে না। কারণ ও জানে বাবা ওকে কখনো কোনো খারাপের সম্মুখীন হতে দিবে না। হয়েছেও ঠিক এমনটাই। জীবনের পঁচিশটা বসন্ত কাটিয়েছে ঠিক এই ভাবনা, চিন্তা নিয়েই। নিরবতায় মোড়ানো পরিবেশে শোনা গেল শেখ সাদমানের মলিন গলার স্বর,

"আপনার ভার্সিটির কী হবে আম্মা?"

"যদি আমিই না থাকি তাহলে এইসব ডিগ্রি দিয়ে কী হবে বাবা?"

মেয়ের এমন কথায় শেখ সাদমানের বুকটা ধক করে উঠল। তৎক্ষণাৎ বিচলিত কণ্ঠে বললেন, "আমার জীবনে আপনার ঊর্ধ্বে কিছু নেই। সব তুচ্ছ। আপনি ভালো থাকুন। যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই ভালো থাকুন আম্মা।"

"তুমি সাইক্রিয়াটিস্ট এর কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছিলে বাবা।"

"জি, আজ রাতে নিয়ে যাব আম্মা।"

"ভার্সিটিতে ডক্টরের দেওয়া রিপোর্ট শো করলেই খুব বেশি ঝামেলা হবে না বাবা।"

"আপনি যেটা চাচ্ছেন সেটাই হবে আম্মা। তবে নিজের খেয়াল রাখতে ভুলবেন না কিন্তু। মনে রাখবেন আপনার গায়ে একটা আঁচড় ও লাগলে আপনার বাবার ভালো থাকাটা হারিয়ে যায়।"

তন্ময়ী কেঁদে দিয়েছে এই পর্যায়ে। বাবার বুকের কাছের শার্টটা দিব্যি চোখের জলে ভিজিয়ে চলেছে। ক্রন্দনরত স্বরে উত্তর দিলো,

"প্রমিস বাবা নিজের খেয়াল রাখব।"

বাম হাতের তালুর উল্টো পিঠের সাহায্যে চোখের কোণে জমে থাকা অশ্রু টুকু মুছে নিলেন শেখ সাদমান। মেয়ের চুলের ভাঁজে ঠোঁট ছুঁইয়ে বসে রইলেন। নীরবে, নিভৃতে বাবা মেয়ে চোখের জল ঝরাল। মেয়ে ছাড়া যে ওনার একটুও চলে না। ভার্সিটিতে থাকলে আধাঘণ্টা, বিশ মিনিট পরপর'ই কল দিয়ে খোঁজ নেন। কিংবা উনি হসপিটালে থাকলেও এক'ই কাজ করেন। বাবার ভালোবাসার কাছে তন্ময়ীর জীবনের সবকিছু তুচ্ছ। বাবা নামক মানুষটিকে নিজের থেকেও অনেক বেশি ভালোবাসে তন্ময়ী।
·
·
·
চলবে........................................................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

WhatsApp