“আমি আপনার সাথে প্রতি রাত কাটাবো হুজুর, কিন্তু আমি যিনাকারী হতে পারবো না। আমাকে উপপত্নী হিসেবে গ্রহণ করতে হবে আপনার”
ইরহানের মুখোভাব বদলে গেলো। বিস্ময়, আশ্চর্যে সে হেসে উঠলো। হুসনাতের গলার ধার থেকে এখনো তলোয়াড় সরে নি। হুসনাত দাঁড়িয়ে আছে। নির্ভীক তার দৃষ্টি। ইরহান তীক্ষ্ণ স্বরে বললো,
“তুমি জানো মেয়ে, তুমি কি বলছো?”
“আমি বুঝেই বলছি। ভাববেন না আমি ক্ষমতার লোভে এই শর্ত রাখছি। আপনার সুলতানা হবার ইচ্ছে আমার নেই। আমি আমার সীমা জানি। আমি কেবল আপনার দাসী। সেটাই আমার ভবিষ্যত। কিন্তু আমি নিজের কাছে পরিষ্কার থাকতে চাই”
“পরিষ্কার? হাসালে। দাসবৃত্তি যার রক্তে, সে নিজের সতীত্বের দোহাই দিচ্ছে? আমার সন্দেহ কত মানুষের বিছানায় গিয়েছো তুমি”
ইরহানের কথাতে ধিক ধিক করে জ্বলে উঠলো যেন হুসনাতের শান্ত চোখজোড়া। শান্ত নদী জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ডের রুপ নিলো যেন। নির্ভীক কণ্ঠে শুধালো,
“যদি আমি বিশুদ্ধ হই আমাকে উপপত্নীরুপে গ্রহণ করবেন আপনি?”
হুসনাতের কণ্ঠে কাঁপুনি নেই। ইরহানের রাগে মুখ শক্ত হয়ে আসছে। মেয়েটির স্পর্ধা তার সহ্যে বাঁধ ভেঙ্গে ফেলছে। ইচ্ছে করছে এখনি তার মাথাটা দু ভাগ করে ফেলতে। কিন্তু পারছে না। কারণ রাগের সাথে সাথে অসম্ভব কৌতুহল তাকে ঘিরে ধরছে। ইচ্ছে হচ্ছে এই দূর্বোধ্য মেয়েটিকে চেনা। মেয়েটি মুখে বললেও তার চোখে আনুগত্যের ছোঁয়া নেই। তার মধ্যে ইরহানের তলোয়াড়ের ভয় নেই। যা বিচলিত করছে এই পাষন্ড পুরুষকে। ফলে তলোয়াড়ের চাপটা একটু বাড়িয়ে বললো,
“আমি কাউকে আমার উপপত্নী বানাই না, জানো না?”
“তাহলে আমাকে মুক্ত করে আমাকে বিবাহ করুন”
“তোমার কুটিল চিন্তায় আমি হতবাক? এই বলছো তুমি সুলতানা হতে চাও না, এই বলছো তোমাকে আমি যেন বিয়ে করি?”
“হুজুর, ক্ষমা করবেন যদি ধৃষ্টতা দেখাই। আমি আপনার সুলতানা হতেই চাই না। আমি চাইও না আপনি আমাকে বিয়ে করুন। তবে আমি আমার স্বামী ব্যতীত কারোর সাথে সহবাস করতে চাই না। আমি আপনাকে আমার জীবন সপে দিয়েছি। আপনি চাইলে আমাকে এখন শাস্তি দিতে পারেন। কিন্তু দাসী হলেও কিছু অধিকার আমারো আছে”
জড়তাহীন উত্তর। ইরহান তার তলোয়াড়টি ফেলে দিল। হুসনাত বসে ছিলো মেঝেতে। তার নির্ভীক দৃষ্টি ছিলো ইরহানের দিকে। ইরহান ক্ষিপ্র বাজপাখির মতো তার বাহু ধরে তাকে টেনে ধরলো। গলার কাঁটা অংশ জ্বলছে। অথচ বিষয়টাকে একেবারেই পাত্তা না দিয়ে তার মুখ চেপে ধরলো শক্ত হাতে। দাঁতে দাঁত পিষে বললো,
“তোমার কোনো ধারণা নেই, তোমার এই বেয়াদবির পরিণতি কি হতে পারে? আমি ইরহান আলী শাহ, নারীর সৌন্দর্যে নিজেকে বিকিয়ে দেই না। আমার স্ত্রী হবার শখ যে কতটা ভয়ংকর সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝবে। নিজ হাতে আমি আমার চার স্ত্রীকে হত্যা করেছি বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্য”
হুসনাতের স্বচ্ছ দৃষ্টিতে কোনো ভয়ের লেশ নেই। স্থির চাহনী তার ইরহানের মুখের দিকে। খুব স্বাভাবিক স্বরে বললো,
“আপনি আমার গলায় তলোয়াড় ধরে রেখেছেন, এর থেকেও ভয়ংকর কিছু হতে পারে বুঝি”
ইরহানে ঠোঁটে হাসি খেলে গেলো। যে নারী তলোয়াড় গলায় তাকে উপপত্নী হবার শর্ত দিতে পারে সেই নারীকে নিয়ে তীব্র কৌতুহল জাগলো তার মনে। যেন মেয়েটি কোনো অজানা কিতাব আর ইরহানকে তার প্রতিটা পাতার রহস্য জানতেই হবে। সামান্য দাসী তাকে শর্ত দিচ্ছে। মনে মনে নিজেকে ধিক্কার জানালো। সাথে সাথে বললো,
“বেশ, আজ থেকে তুমি ইরহান আলী শাহর একমাত্র উপপত্নী”
“আমাকে স্বাধীন করার আগে বেঁচে দেবার বা অন্যকে দেবার অধিকার আপনার নেই। সেই সাথে আমার প্রাণ বাঁচানোও আপনার কর্তব্য”
ইরহান বিদ্রুপ মিশিয়ে বললো,
“তুমি চিন্তা করো না, তোমার মৃত্যু আমার হাতেই দাসরাজ্ঞী”
বলেই ধাক্কা দিয়ে পালঙ্কে ফেলে দিলো হুসনাতকে। ছিড়ে ফেললো তার শরীরের কাপড়। হিংস্রভাবে ঝাপিয়ে পড়লো তার পেলব শরীরের উপর। হুসনাতের শরীরের প্রতিটি অংশে ইরহানের স্পর্শ। অথচ সেই স্পর্শে কোনো ভালোবাসা নেই, কোমলতা নেই। সেরাতটা ছিলো যন্ত্রণাময়। সুঠাম দেহের নিচে কেবল পিষছিলো হুসনাত। রাতের গভীরতার সাথে বাড়ছিলো হিংস্রতা। আর জড়বস্তুর মতো শুয়ে রইলো। চোখ থেকে গড়াচ্ছিলো অশ্রু। যন্ত্রণাগুলো সহ্য করলো নিঃশব্দে।
!!১০!!
উমার নিজের ঘরে মৃদু আলোয় কিছু কাগজে সিলগালা করছে। এই কাগজগুলো যাবে বিভিন্ন রাজ্যে। দীর্ঘ তিন বছর পর অবশেষে মঙ্গোলীয়দের সাথে একটা আপোষ হয়েছে খবরটা সতর্কবাণী হিসেবে জানাতে হবে বাকিদের। তাদের বোঝা দরকার মেহমুদ সাম্রাজ্যের শক্তি। ভবিষ্যতে এই রাজ্য এশিয়া ছাড়িয়ে ইউরোপেও নিজের বিস্তার ঘটাবে। ভূমধ্যসাগরকে তারা জয় করবে। ভারতীয় উপমহাদেশের সুলতান ফিরোজ শাহকেও বন্ধুত্বের চিঠি পাঠানো হবে। যদি সে সেটাকে অগ্রাহ্য করে তবে আস্তে আস্তে ভারতীয় উপমহাদেশেও বিস্তার করবে মেহমুদ সাম্রাজ্য। এর মধ্যেই দরজায় কড়া নাড়লো কেউ। উমার ধীর স্বরে শুধালো,
“কে?”
“হুজুর আমি”
কণ্ঠটা তার সহোচর কাশেমের। উমার সব চিঠি গুলো গুছিয়ে দরজা খুললো। সাথে সাথেই একটি ঘোমটা দেওয়া নারী ডুকে পড়লো তার ঘরে। হঠাৎ নারী ঢুকে পড়ায় বিচলিত হয়ে উঠলো উমার। কঠিন স্বরে শুধালো,
“কে তুমি? আর আমার ঘরে ঢুকলে কোন সাহসে? কাশেম, কাশেম?”
সাথে সাথেই নারী তার ঘোমটা খুলে বললো,
“আমার বুঝি এখন তোমার ঘরে ঢুকতে অনুমতি নিতে হবে শেহজাদা?”
মিষ্টি স্বর শুনতেই সব রাগ গলে গেলো উমারের। সাথে সাথেই নারীকে জড়িয়ে ধরলো। চুমুতে ভরিয়ে দিলো তার মুখশ্রী। আবেগপ্রবণ স্বরে শুধালো,
“কেমন আছো হামিদা?”
হামিদা কিছু বললো না। শুধু তৃষ্ণার্তের মত লুফে নিলো উষ্ণ আদরগুল। দু হাতে ছুঁলো উমারের মুখশ্রী। নীরব চোখে তাকিয়ে রইলো অনেক ক্ষণ। উমার অধৈর্য্য স্বরে শুধালো,
“বলছো না কেন?”
“খুব খারাপ ছিলাম। তোমাকে দেখে নিয়েছি। এখন খুব ভালো আছি”
উমারের হৃদয় কেঁপে উঠল যে। মেয়েটিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। মাথায় থুতনি ঠেকিয়ে বললো,
“আমি ভালো নেই হামিদা। আমি ভালো নেই”
উমারের কাতর স্বরে নড়েচড়ে উঠলো যেন হামিদা। মাথা তুলে শুধালো,
“কি হয়েছে?”
“তুমি আমাকে ভালোবাসো হামিদা?”
“হঠাৎ এমন প্রশ্নে?”
“খুব জানতে ইচ্ছে করছে”
“আমি তোমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি, শেহজাদা”
“উমারকে নাকি শেহজাদাকে?”
হামিদা বুঝতে পারলো না। বেকুবের মতো চেয়ে রইলো কিছু সময়। অধৈর্য্য হয়ে বললো,
“এ কেমন বোকা প্রশ্ন? দুজন তো একই মানুষ”
“দুজন এক নয় হামিদা। আমরা আলাদা। সত্যি করে বল তো, তুমি কি এই দ্বিধাদ্বন্দেভোগা, ভীত উমারকে ভালোবাসো? নাকি ভালোবাসো শুধু মেহমুদ সাম্রাজ্যের শেহজাদাকে?”
হামিদা কি উত্তর দিবে বুঝতে পারলো না। উমার তার হাতজোড়া নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে বললো,
“যদি তুমি এই উমারকে ভালোবাসো, তবে চলো আমরা পালিয়ে যাই”
সাথে সাথে হাত ছাড়িয়ে নিল হামিদা। অবাক স্বরে শুধালো,
“কি রসিকতা করছো রাত বিরাতে? তুমি শেহজাদা। এসব কথা তোমাকে শোভা পায় না”
“সুলতান আমার বিয়ে ঠিক করছেন আফগান শেহজাদীর সাথে। যদি আমি বিয়ে না করি তবে আমি কখনোই সুলতান হতে পারবো না। আমার চাইও না সালতানাত। এর চেয়ে বরং আমরা পালিয়ে যাই। অন্য কোনো রাজ্যে। যেখানে কেউ আমাকে চিনবে না। আমাদের একটা ছোট সংসার হবে। আমি আর তুমি সাধারণ মানুষের মত বাঁচবো। চলো হামিদা”
“পাগল হয়ে গেছো তুমি শেহজাদা? তোমাকে রাজ্যের সবাই ভালোবাসে, সমীহ করে। কিছুদিনের মধ্যে তুমি হবে সুলতান উমার। সেখানে এমন বাচ্চামো তুমি করছো কি করে?”
হামিদার কঠিন কথাগুলো বোধগম্য হলো না উমারের। কিছুসময় তাকিয়ে রইলো সে হতবাক দৃষ্টিতে। অবাক স্বরে বলল,
“তাহলে যে আমাকে শেহজাদীকে বিয়ে করতে হবে”
“করবে, সমস্যা কোথায়?”
“কি বলছো তুমি হামিদা? আমার সুলতানা কেবল তুমি হবে। আর কেউ না?”
হামিদা হাসলো। দু হাতে আগলে ধরলো উমারের সুদর্শন মুখখানা। মৃদু স্বরে বললো,
“আমি জানি, তোমার সুলতানা কেবল আমি হব”
“তাহলে কি করে আমাকে অন্যকে বিয়ে করতে বলছো? আমি সুলতানের বিরোধিতা করতে পারবো না। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি এই মহল ছেড়ে দিব”
হামিদা শান্ত স্বরে বললো,
“তোমার কি ধারণা আমার কষ্ট হচ্ছে না? তোমাকে অন্য নারীর সাথে দেখতে আমার ভালো লাগবে? আমার ভেতরটা জ্বলেপুড়ে যাবে উমার। কিন্তু এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাই না। তুমি ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছো না। উমার, আজ যদি তুমি সুলতানের বিরোধিতা কর, তুমি সব হারাবে? তোমার কি মনে হয় সুলতান আমাদের শান্তিতে থাকতে দিবে? কখনো না। কিন্তু যদি তুমি যুবরাজ ঘোষিত হও তখন তুমি হবে আগাম সুলতান। তখন তুমি যা বলবে সেটাই হবে। তুমি বরং বিয়েতে রাজী হও। এরপর আমাকে তোমার উপপত্নী হিসেবে গ্রহণ কর”
“ছিঃ ছিঃ কি বলছো তুমি?”
রেগে গেলো উমার। তার মুখে বিতৃষ্ণা। হামিদা তার বাহুতে হাত বুলিয়ে বলল,
“যা বলছি ভেবে বলছি। আমি তোমার উপপত্নী হলে সুলতান বেঁচে দিতে পারবেন না। তারপর যখন তুমি সুলতান হয়ে যাবে তখন আমাকে মুক্ত করে আমাকে বিবাহ করবে তুমি। আমি হব তোমার সুলতানা”
“আর ওই নির্দোষ মেয়েটার ওর কি হবে?”
উমারের কথায় চোয়াল শক্ত হলো হামিদার। সে খুব শীতল স্বরে বললো,
“উমার তোমার সবচেয়ে বড় দূর্বলতা তুমি সবার কথা ভাবো? এতো ভালো কেন তুমি? মাঝে মাঝে স্বার্থপর হও। এই জালিম দুনিয়া ভালোদের নয়। আর আমাকে বিয়ে করলেও শেহজাদী তার মতো থাকবে। তুমি তাকে সকল প্রকার সুবিধা দিবে”
“যেমন আমার মা পেয়েছে? তাই তো? বিশাল প্রাসাদে তাকে একা থাকতে হবে?”
হামিদার রাগ হলো। সে উমারের হাত ছেড়ে বললো,
“তোমাকে আমি বিয়ে করতে বলেছি, ওকে নিয়ে ভাবতে বলি নি। মনে রেখো তোমার কেবল আমি? এই মনে যদি অন্য কাউকে ঠাঁই দাও, আমি আ-ত্ম-হ-ত্যা করবো”
হামিদার চোখ ছলছল করছে। উমার তার চোখ মুছিয়ে বলল,
“আমি তোমাকে ভালোবাসি হামিদা। আমার হৃদয়ে সর্বদা তুমি ই থাকবে”
—————
মালেক শাহর বুকে শুয়ে রয়েছে তাবিয়া। ক্লান্ত মালেক শাহ ক্ষীন শ্বাস ফেলছে। তাবিয়া লাস্যময়ী নারী। সেই সাথে তীক্ষ্ণ বুদ্ধি তার। যেকারণে মালেক শাহর হৃদয়ে তার স্থান আলাদা। সে তাবিয়ার ঘন চুলে হাত ডুবিয়ে বললো,
“তোমার রুপ এখনো আমার মোহিত করে”
“সেটা আপনার বদান্যতা। এই তুচ্ছ নারীর একটা আবদার ছিলো”
“বলো, কি আবদার?”
“শুনেছি আফগান শেহজাদী নূরের বিবাহ প্রস্তাব এসেছে। আবু সাঈদের থেকে সুদর্শন পুরুষ এই সাম্রাজ্যে নেই। কেননা তার সাথেই বিয়েটা হোক? কি বলেন জাহাপনা?”
মালেক শাহ বুকের উপর থেকে তাবিয়াকে সরিয়ে দিলো। কাফতানটা গায়ে জড়িয়ে বললো,
“আমি চিঠিতে উমারের কথা জানিয়েছি”
কথাটা শুনতেই তাবিয়ার মুখ থেকে হাসি খসে গেলো। সে প্রসন্ন হল না একেবারেই। কিন্তু প্রকাশ না করে বললো,
“শেহজাদা উমার?”
“হ্যা, ওর এখনো বিবাহ হয় নি। আফগান শেহজাদীর সম্পর্ক এমন পুরুষের সাথে করার ইচ্ছে আমার ছিলো না, যাকে সাম্রাজ্য চিনেই নারীবাজ হিসেবে”
তাবিয়ার মুখ শক্ত হয়ে গেলো। একেই উমারের পক্ষে আরবরা রয়েছে, এখন আফগানরাও চলে এলে দল ভারী হয়ে যাবে। ফলে সে বললো,
“আবু সাঈদের সম্পর্কে সেগুলো বানোয়াট রটনা”
“জানি, কিন্তু রটনার জোর অনেক। উমার সুলতান হবে। আফগানরা ভাববে এটা তাদের জন্য সুসংবাদ। তারা আমাদের মান রাখবে। আর মেহমুদ সাম্রাজ্যের বাণিজ্য অনেক সরল হবে”
“কিন্তু শেহজাদা উমার কি রাজী হবে?”
“ও রাজী হয়ে গেছে। তুমি হারেম সামলাও। এদিকটা আমি সামলে নিচ্ছি”
তাবিয়া মুখ কালো হয়ে গেলো। অনেক কষ্টে নিজেকে সংযত করলো সে। ঠোঁটে হাসি আঁকিয়ে বললো,
“আপনি যা ভালো মনে করবেন জাহাপনা”
বলেই মাথা রাখলো জাহাপনার কাঁধে। মালেক শাহ তাকে জড়িয়ে ধরলো।
!!১১!!
সকালে যখন ঘুম ভাঙলো ইরহানের, সে চমকে উঠলো তার ঘর দেখে। পাশে হুসনাত নেই। কেবল এক দলা রক্ত বিছানায় লেগে আছে। যা শুকিয়ে কালো হয়ে গেছে।
·
·
·
চলবে........................................................................