দিতিয়া যেহেতু অসুস্থ সকালের নাশতাটা আমার বানানো উচিত কিন্তু সেই যোগ্যতা যে আমার নেই! এতকাল বিদেশে একা থাকলেও রান্নাবান্নার ধারেকাছে যাইনি। রেডি ফুড আর ড্রাই ফুড দিয়ে কাজ চালিয়েছি। বড়জোর চা কফি আর ডিম ওমলেট বানাতে পারি। আর না খেয়ে থাকাও সম্ভব না। তাই নাশতা কিনে আনলাম। চা বানালাম। খেতে খেতে ভাবতে লাগলাম গতকালও দিতিয়াকে নিয়ে কোনো অনুভূতি ছিল না আমার অথচ গতকাল রাত থেকে… ভালোবাসা কি সত্যিই এত হুট করে হতে পারে?
আমি হসপিটালে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিলাম। শার্টের হাতা ভাঁজ করতে করতে তাকিয়ে দেখি দিতিয়ার ঘুম ভেঙেছে। আমাকে রেডি হতে দেখে সে লাফিয়ে উঠল। কিছুটা বিধ্বস্ত লাগছে ওকে। বিছানা থেকে উঠতে উঠতে ব্ৰিত হয়ে বলল,
“সরি উঠতে দেরি হয়ে গেল। আমাকে ডাকলে না কেন?”
আমি হেসে বললাম,
“অসুবিধা নেই।”
“তোমার কি সময় আছে? একটু বসবে আমি তাড়াতাড়ি নাশতাটা বানিয়ে দেই? ধুর কী ঘুম যে ঘুমিয়েছি!”
“ঘুমের ওষুধ দিয়েছিলাম তাই এভাবে ঘুমিয়েছ। এত বিব্রত হওয়ার কিছু নেই। আমি নাশতা কিনে এনে খেয়েছি, চা বানিয়েছি। তুমি ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নাও। আমাকে এখনই যেতে হবে।
আমি ড্রয়িং রুমে দরজার পাশের সোফায় বসলাম জুতা পরব বলে। দিতিয়া পেছন পেছন এসে দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়িয়েছে। আমি জুতা পরছি তখন ও বলল,
“সরি কাল রাতে আমার মাথা ঠিক ছিল না। অনেক উল্টোপাল্টা বলে ফেলেছি। তুমি কিছু মনে করো না।”
আমি হেসে বললাম,
“ভাগ্যিস বলেছিলে না হলে জানতাম কী করে?”
“কী?”
“এই যে তোমার ভেতরে এত রাগ এত আগুন!”
দিতিয়া লজ্জায় দেয়ালের সাথে মিশে যাচ্ছিল। ও কিছু বলার আগেই আমি আবার বললাম,
“আর জানতাম কী করে এক মিনিটের মধ্যেও যে ভালোবাসা হতে পারে!”
শেষ কথাটা শুনে দিতিয়া একবার চমকে তাকালো তারপর আবার চোখ ফিরিয়ে নিল। লজ্জায় মুহূর্তেই লাল হয়ে গেল। ও বোধহয় কল্পনাও করেনি আমি এমন কিছু বলব! আমি দূর থেকেও টের পাচ্ছি ওর হৃৎস্পন্দন চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে! জুতা পরা শেষ হতেই আমি ওর কাছে গেলাম। ওর কোমরটা জড়িয়ে কাছে এনে বললাম,
“আজ ছুটির দিন হলে ভালো হতো তাই না?”
“ধেৎ!”
দিতিয়া আমাকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে আমাদের ঘরে চলে গেল। আমি চিৎকার করে বললাম,
“আজ ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করো, না হয় কিন্তু আজও…”
আমার কথা শেষ হওয়ার আগে দিতিয়া ভেতর থেকে অস্থির গলায় বলল, “উফ তুমি যাও তো।”
আমি হেসে বললাম,
“হ্যাঁ যাচ্ছি, দরজাটা লাগিয়ে দিও।”
—————
আমি চাইলে সেদিন হয়তো ছুটি নিতে পারতাম। ইচ্ছে করেই নিলাম না। দিতিয়াকে যা বোঝানোর বুঝিয়ে দিয়েছি এবার সারাদিন থাকুক অস্থিরতায়। আমারো যে সময় দরকার!
সন্ধ্যাবেলা বাসায় ফিরে দেখি বাসার সবাই গ্রাম থেকে চলে এসেছে। সাথে আরো আত্মীয়স্বজন এসেছে। দিতিয়া ও অনন্যা তাদের আপ্যায়নে ব্যস্ত। একবার শুধু চোখাচোখি হলো, তাতেই লজ্জায় যায় যায় অবস্থা দিতিয়ার। বাড়িতে এত লোকজন যে এরপর আর তার দেখা পাওয়া গেল না। হায় কপাল এত তাড়াতাড়ি ফিরে লাভটা কী হলো?
একসময় রাত ১২টা পেরিয়ে গেল। কিন্তু দিতিয়ার আসার নাম নেই। আমি ওর মোবাইলে মেসেজ দিলাম,
“কোথায় তুমি?”
ও প্রায় সাথে সাথেই রিপ্লাই দিল,
“ড্রয়িং রুমে, সবাই আড্ডা দিচ্ছে।”
মেসেজ চালাচালি হতে লাগল,
“দিক, তুমি চলে আসো।”
“সবার সামনে থেকে এভাবে উঠে আসি কী করে? সবাই কী ভাববে?”
“কিছুই ভাববে না। চলে আসো। সকালে আমার অফিস আছে।
“এখন থেকে কি শুক্রবারেও তোমার অফিস থাকে?”
“কালকে শুক্রবার নাকি?”
“ক্যালেন্ডার দেখো।”
“ওকে। কিন্তু আমি টায়ার্ড, ঘুম পাচ্ছে। যেকোনো সময় ঘুমিয়ে যেতে পারি।”
“ঘুমিও না আমি ওঠার পাঁয়তারা করছি।
“আচ্ছা? জেগে থাকলে কী পাব?”
“জানিনা প্লিজ আমাকে এত লজ্জা দিও না।”
“দেব, লাজুক দিতিয়াকে দেখতে আমার ভালো লাগে।”
“আর রাগি দিতিয়াকে?”
“আরো ভালো লাগে। যে কিনা আমার শার্টের কলার ধরে আমার কাছে আদর চায়।”
“ধেৎ…”
“দিতিয়া আসো।”
“চেষ্টা করছি।”
—————
দিতিয়া যখন ঘরে এল তখন প্রায় রাত একটা বাজে। আমি বিছানায় আধশোয়া হয়ে সিগারেট খাচ্ছিলাম। দিতিয়া ঘরে ঢুকে দরজা লাগাতেই আমি সিগারেটে টান দিয়ে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বললাম,
“শাস্তি দিলে?”
দিতিয়া আমার সামনে দাঁড়িয়ে বলল,
“কিসের শাস্তি?”
আমি দিতিয়ার হাত ধরে আমার কোলের কাছে বসালাম। তারপর বললাম,
“সাত বছর অপেক্ষা করানোর শাস্তি দিলে সাত ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে। তবে সাত বছরের তুলনায় সাত ঘণ্টা কিন্তু কম হয়ে গেল!”
“বিশ্বাস করো এরকম কিছু না। রান্নাবান্না খাওয়াদাওয়াতেই তো সময় চলে গেল। তারপর শুরু হলো আড্ডা। অনন্যা উঠে গেলে আবার আমিও উঠতে পারতাম। ও উঠছিল না তাই আমিও উঠতে পারছিলাম না। তার ওপর মা, চাচি সবাই ছিল সেখানে। সবার মাঝখান থেকে উঠে এলে কে কী মনে করত আবার তাই…”
আমি দিতিয়ার কোমর জড়িয়ে কাছে এনে কানে কানে বললাম,
“আমি তো দুষ্টুমি করছি পাগল!”
দিতিয়ার কানে আমার ঠোঁটের ছোঁয়া লাগতেই ও কেঁপে উঠল। আমার মানসীর
কথা মনে পড়ে গেল। একটা ছোট্ট দীর্ঘশ্বাস খুব সন্তর্পণে লুকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
“সেই সাতটা বছর তোমার অনেক কষ্ট হয়েছে তাই না দিতিয়া?”
ও আমার বুকের সাথে মিশে যাচ্ছিল। কাঁপা গলায় বলল,
“হুঁ।”
“তোমার কি মনে হতো আমি একদিন ফিরে আসব?”
দিতিয়া আমার দিকে না তাকিয়েই কথা বলছিল,
“নাহ। উল্টো আমার মনে হতো তুমি কখনো ফিরবে না।”
“এমন কেন মনে হতো?”
“জানি না।”
“কিসের আশায় ছিলে তাহলে?”
“কোনো আশা ছিল না আমার। তবে অপেক্ষা করতাম তোমার ফোনের। কবে তুমি ফোন করবে আর কবে তোমার কন্ঠ শুনতে পাব!”
“আমাকে ফিরতে বলোনি কেন কখনো?”
দিতিয়া আমার দিকে চেয়ে অভিমানী সুরে জিজ্ঞেস করল,
“আমি বললেই যেন ফিরতে?”
“না, তবে তোমার অধিকার ছিল বলার।”
“অধিকার দিয়ে কি আর ভালোবাসা পাওয়া যায়?”
“ভালোবাসা চাও?”
দিতিয়া আমার বুকে মুখ লুকাল। আমি দুষ্টুমি করে বললাম,
“গতকালকের মতো করে একটু বলো তো।”
“সুস্থ স্বাভাবিক থাকলে কখনো ওসব কথা বলতাম না।”
“আঁচল ফেলে দিয়ে কী বলেছিলে মনে আছে?”
দিতিয়া মৃদুস্বরে বলল,
“প্লিজ লজ্জা দিও না।”
আমি দিতিয়ার মুখটা তুলে ওর ঠোঁটে ঠোঁট বসালাম। আমি চুমু খেতে শুরু করতেই ও আমাকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরল। এরপর যখন ছাড়লাম ও আবার আমার বুকে মুখ লুকাল। দিতিয়ার নরম শরীর যেন আরো নরম হয়ে গেল। মনে হচ্ছিল গরম তুলোর বালিশ জড়িয়ে রেখেছি! আমি ওর খোঁপাটা খুলে ফেললাম, চুলগুলো পিঠময় ছড়িয়ে পড়ল। এবার ওর আঁচলটা টেনে ফেলে দিলাম। গতকাল যে নিজেই নিজের আঁচল ফেলে দিয়ে আবদার করেছিল সে আজ লজ্জায় দুহাতে নিজেকে ঢেকে ফেলল। চোখ দুটো বন্ধ। ওকে ভালোভাবে জড়িয়ে ধরে বিছানায় উঠিয়ে শুইয়ে দিলাম। মেয়েটা ব্লাউজ পরাই আছে তবু দুহাত দিয়ে ওর বুক ঢেকে রেখেছে। এদিকে ওর সেই গুপ্ত সম্পত্তি যা দেখে সাত বছর আগে একদিন মাথা খারাপ হয়েছিল আমার সেই ঢেউ খেলানো মসৃণ গোলাপি পেট ও নাভিকূপ যে আমার চোখের সামনে রয়েছে এবং হাঁ করে আমি তা গিলছি সেই খবর কি আছে ওর কাছে? নেই আমি নিশ্চিত। সেই খবরটা ওকে দেয়ার জন্যই ওর নাভিতে চুমু খেলাম। ও সর্বাঙ্গে কেঁপে উঠল। নিজের চুল নিজেই খামচে ধরল। ওর গায়ের রঙ ফর্সা না বরং গোলাপি, তার মধ্যে এই মুহূর্তে ওর গাল, কপাল, গলা সবকিছুতে রক্ত জমে আরো গাঢ় হয়েছে। ওর সেই চুল খামচে ধরা, বন্ধ চোখের পাপড়ির কাঁপাকাঁপি, ওর ঠোঁটের ভাঁজ, গলার কাঁপন, নিশ্বাসের ওঠানামা এবং ওর অস্থিরতা সবকিছু মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখছিলাম আমি। হঠাৎ করেই বেডসুইচে হাত বাড়িয়ে লাইট নিভিয়ে দিলাম।
ওর ওই বাড়াবাড়ি রকমের সৌন্দর্য সেদিন আমি দেখতে চাইনি। কারণ সেদিন শুধু দিতিয়াকেই ভালোবাসতে চেয়েছিলাম, দিতিয়ার সৌন্দর্যকে না। সে রাতে অন্ধকারে হাতড়ে হাতড়েই আমি আমার দিতিয়াকে আবিষ্কার করেছিলাম!
ভালোবাসার মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য মানুষ কী না করে! তার সব কথা মানতে চায়। বিনীত থাকে, কিন্তু তারপর যখন ভালোবাসা পেয়ে যায়, তখন থেকে শুরু হয়ে যায় কর্তৃত্ব, অধিকারবোধ আর আবদার। আমি এগুলোকে নেগেটিভ বলছি না। এগুলো খুবই ন্যাচারাল। ভালোবাসলে এগুলো আসবেই। কিন্তু দিতিয়ার এমন হয়নি। আজ আমার ভালোবাসা পেয়েও ঠিক তেমনটি আছে যেমনটি ছিল ১৭ বছর আগে। একটুও অশান্তি করে না। কোনো অভিযোগ নেই। ওর মধ্যে কেমন যেন একটা জড়তা কাজ করে এখনো। আমি কাছে না টানলে নিজ থেকে কাছে আসে না। কিন্তু আমি যখন কাছে টেনে নিই তখন সব উজাড় করে দেয়। পৃথিবীর অন্য কোনো মেয়ে হলে বোধহয় এভাবে অপেক্ষা করত না। আর আমিও আবার ভালোবাসার সুখ পেতাম না। অন্যসব স্বামী-স্ত্রীদের মতো আমাদের ঝগড়া হয় না, তাই দাম্পত্যটা আমাদের পানসে। কিন্তু ভালোবাসাটা খুব গভীর।
কথায় বলে একসাথে দুটো মানুষকে ভালোবাসা যায় না। আমি নিজের জীবন দিয়েই বুঝলাম কথাটা ভুল। আমি আজও মানসীকে ভালোবাসি। আমি ওর মৃতদেহ দেখিনি, তাই আজও ইচ্ছে করলে বিশ্বাস করতে পারি ও আছে। আবার দিতিয়াকেও ভালোবাসি। এরা দুজনেই এমন যে এদের ভালো না বেসে পারা যায় না।
দুজনের জন্য ভালোবাসা দুরকমের। মানসীকে না দেখলেই যেরকম অস্থির লাগত। দিতিয়ার জন্য সেরকম হয় না। হয়তো মানসী আমার অল্প বয়সের প্রেম, তখন আবেগ বেশি ছিল তাই ওরকম অস্থিরতা কাজ করত। আর দিতিয়া তো আমার বুড়ো বয়সের প্রেম। এখন এত আবেগের জায়গা তো নেই।
মানসীর সাথে যেমন পাগলামি করা হতো দিতিয়ার সাথে ওরকম পাগলামি করা হয় না। মানসীর সাথে যেমন অনেক স্বপ্ন দেখা হতো, দিতিয়ার সাথে তেমন কোনো স্বপ্ন দেখা হয় না। স্বপ্ন দেখারও অবশ্য আলাদা একটা সুখ আছে, তা সেই স্বপ্ন পূরণ হোক আর না হোক। তবু কেন যেন হয়ে ওঠে না, তাছাড়া স্বপ্ন দেখব কী করে, সব ইচ্ছা পূরণ করার মতো ক্ষমতা তো এখন হয়েছেই।
মানসীকে হাজারবার বলেছি ভালোবাসি, কিন্তু দিতিয়াকে কোনো দিন বলা হয়নি ভালোবাসি। দিতিয়া অবশ্য বুঝে নিয়েছে। মানসী চলে যাওয়ার পর থেকেই আমি কথা কম বলি। আমার সব কথা বলার মানুষ ছিল ও। কিন্তু দিতিয়ার সাথে আমার কথা হয় হৃদয়ে হৃদয়ে।
মানসীকে আজও খুব মিস করি। যখনই ওর কথা মনে হয় এলমেলো হয়ে যাই আমি। বুকের ভেতর একটা কিছু পুড়ে ছাই হয়ে উড়ে যায়, যা আমি ছাড়া আর কেউ দেখতে পায় না। পোড়া গন্ধটা বোধহয় একমাত্র দিতিয়া পায়। আর তাই কীভাবে কীভাবে করে যেন ও আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।
কাকে বেশি ভালোবাসি, কাকে কম ভালোবাসি তা বলতে পারব না তবে দুজনকেই আমি মনেপ্রাণে ভালোবাসি। আর তাতে আমার কোনো অপরাধবোধ নেই!
নীরব ইশতিয়াক
২৮ এপ্রিল, ২০১৬
—————
ডায়েরিটা বন্ধ করে দুই বোন পরস্পরের দিকে তাকিয়ে হেসে দিল। পরক্ষণেই অদ্রি গম্ভীর গলায় বলল,
“আচ্ছা আমার তো খেয়ালই নেই। আন্ডার এজড হয়ে তুই এই শেষ অংশটা পড়লি কেন?
“এহ আন্ডার এজড! আমি মোটেও ছোট নই। সব বুঝি আমি। আর হ্যাঁ মনে রাখিস শুধু আমার জন্যই এত কাহিনী জানতে পারলি!”
“হুহ!”
অর্পি হঠাৎ উদাস হয়ে বলল,
“আপ্পি রে, আমি হ্যাপি যে চাচ্চু চাচির মধ্যে ভালোবাসা হয়েছে। কিন্তু আমার না মানসী আন্টির জন্য খুব খারাপ লাগছে। সবাই সব পেল। কিন্তু বেচারি নিজেকে বিসর্জন দিয়ে দিল এভাবে! আর চাচ্চুও শেষ পর্যন্ত ভালোবাসাটা দুভাগ করেই ফেলল।”
“এটাই স্বাভাবিক। আমারো মানসী আন্টির জন্য পরাণ পুড়ছে। কিন্তু তবুও বলব যা হয়েছে ভালোই হয়েছে। একজন তো গেছেই বাকিরাও যাবে কেন? সাতটা বছর চাচ্চু একা থেকেছে। সেটাও অনেক কঠিন ছিল।”
“তা ঠিক।”
“দিতিয়া চাচি ডিজার্ভস ইট। তাছাড়া সে যা পেয়েছে তা সে অর্জন করে নিয়েছে!”
—————
আমরা এই পার্থিব জীবনে প্রতিনিয়ত অনেক মানুষের সাথে পরিচিত হই, মিশি। অনেকেই থাকে আমাদের আশেপাশে, আমাদের পরিবারে। যাদের জীবনযাত্রা আপতদৃষ্টিতে মনে হয় খুবই সাধারণ। কিন্তু তাদের প্রত্যেকের জীবনেই হয়তো থাকে অজানা কোনো অসাধারণ গল্প যা বন্দি থেকে যায় কোনো ডায়েরির পাতায় অথবা মনের গহীনে।
·
·
·
সমাপ্ত........................................................................