চারপাশ মুখরিত করে দূর থেকে ভেসে আসছে ফজরের আজানের ধ্বনি। চিত্রলেখার ঘুম হালকা হয়ে এলো। কয়েক মিনিট পেরোতেই পিটপিট করে নেত্র যুগল মেলে তাকাল। ঘুমু ঘুমু চোখেই উঠে বসল। বেশ রাত করেই আঁখি জোড়ায় ঘুম ধরা দিয়েছিল। চোখে বার কয়েক আলতো হাতে ডলা দিয়ে বিছানা থেকে নেমে দাঁড়াল। আলগোছে জানালাটা খুলে দিলো। দেখল অন্ধকার এখনো বিরাজমান তবে আস্তে ধীরে নিজেদের বিদায় বেলা সাজাচ্ছে। পূর্ব আকাশে সফেদ রঙা কয়েকটা রেখে দাগ কেটে গেছে। ও বেরিয়ে গেল ঘর থেকে।
চুলোর কাছটাই এসে কয়লা খুঁজতে শুরু করল। দাঁত মাজতে হবে তো। তারপর অজু সেরে নামাজ পড়তে হবে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও কয়লা পেলো না। এখানেই তো থাকে সবসময় তাহলে এখন নেই কেন? মা কোথায় রেখেছে? হতাশ হলো মেয়েটা। অন্য কোথাও খুঁজতে উদ্যত হলো। তৎক্ষণাৎ পিছন থেকে শুনতে পেলো ভাইজানের গলা,
"এই নে।" চিত্রলেখা পিছু ফিরল। দেখল ভাইজান দাঁত মাজছে। বাম হাতের উপর আরও একটা কয়লার টুকরো দৃশ্যমান। যেটা ওর দিকে এগিয়ে দিয়েছে। ও হেসে ওটা তুলে নিলো। জানতে চাইল,
"কনে পাইলা ভাইজান?"
"লাকড়ি ঘরে ছিল। তোর পিয়ারের মা ওখানে লুকিয়ে রেখেছে। তোকে বড্ড ভালোবাসে কি-না!"
ভাইজানের এমন কথাতে চিত্রলেখার হাসি মুখটা মিইয়ে এলো। মুখটা নামিয়ে নিলো। নামাজের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। চৈত্রিক তখনো ঠাঁয় দাঁড়িয়ে। দিনের আলো ফুটতে শুরু করেছে। সেই আবছা আলোয় খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বোনকে দেখতে ব্যস্ত। গায়ের শ্যামবর্ণ রঙটা আরও চেপে গেছে। এক প্রকার কালোই বলা চলে। দেহখানা শুকিয়ে কঙ্কালসার হয়ে এসেছে। শরীরে জড়ানো একটা ছেঁড়া লাল পাড়ের সুতি শাড়ি। বিবাহিত অথচ নাকে একটা স্বল্প মূল্যের নাকফুল ব্যতীত কিছুই নেই। তবুও সেটা সোনার তৈরি অলংকার নয়। চৈত্রিক পাশে থুথু ফেলে বেশ ব্যঙ্গ করে বলল,
"তোর শ্বশুরেরা নাকি অনেক বড়োলোক। লোকমুখে শুনেছি শহরে কাপড়ের বড়ো ব্যবসা আছে তাদের। কিন্তু বাড়ির একমাত্র বউমার কপালে একটা ভালো শাড়িও জুটেনি?"
চিত্রা মুখ তুলে চাইল। চোখজোড়া ছলছল করছে। ভাইজানের ঠোঁটে লেগে থাকা তাচ্ছিল্যের হাসি ওর লজ্জা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিলো। ফের নজর নামিয়ে নিলো। তা নিবিষ্ট রইল মাটির দিকে। সময় নিয়ে ছোট্ট করে অকপটে মিথ্যা বলে দিলো মেয়েটা। আজকাল মিথ্যাটা যেন একটু বেশিই বলছে। নিজের সম্মান রক্ষার্থে এমন কিছু সত্য থাক না ঢাকা। এতে ক্ষতি তো নেই। আর থেকে থাকলেও সেই সবে উদাসীন চিত্রলেখা।
"মোর ভালা শাড়ি আছে ভাইজান। মুই ইচ্ছে কইরা মোর সনে লইয়া আনি লাই। বাক্সে তুইলা রাখছি।"
বোনের বলা মিথ্যাটা খুব সহজেই ধরে ফেলল চৈত্রিক। এটাও বুঝল সত্যটা ধরে ফেলাতে ওর বোন ভীষণ লজ্জা পেয়েছে। নিজেকে দমিয়ে নরম কণ্ঠে ফের প্রশ্ন ছুঁড়ল,
"তিনবেলা খাবার জুটে?"
দৃষ্টি নত রেখে, এবার সাথে সাথেই জবাব দিলো চিত্রলেখা, "এখানকার থেইক্যা ওখানে মুই ভালা খাওন পাই ভাইজান।"
"মানসিক অশান্তির থেকে ক্ষুধার জ্বালা খুব বেশি পীড়া দেয় তাই না নায়িকা চিত্রলেখা?"
চৈত্রিকের কণ্ঠস্বর বেজায় নিস্তেজ শোনাল।চিত্রলেখা চকিতে চোখ তুলে তাকাল। দেখল ভাইজান উদাস চিত্তে ওই দূরাকাশে তাকিয়ে আছে। নিজেও সেদিকে তাকিয়ে প্রত্যুত্তর করল,
"হ্যাঁ, ভাইজান। খাওন না জুটলে ওইসব অশান্তি আরও বাইড়া যায়। মরণ যন্ত্রনা দেয়।"
থামল ও। কিন্তু চৈত্রিকের মাঝে কোনো হেলদোল দেখা গেল না। সেভাবেই আকাশের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। কথাটা কি তবে শুনল না? হয়তো! হয়তো না! বুকে সাহস জুগিয়ে চিত্রলেখা ধীরে একটা প্রশ্ন করল,
"ভাইজান তুমি ভাবীর লগে ভালা নাই?"
"ভালো থাকার জন্য তোর ভাবীকে বিয়ে করেছিলাম নাকি?"
ভাইজানের এমন প্রত্যুত্তরে চিত্রলেখা একটু অবাক হলো বৈকি! কিংকর্তব্যবিমূঢ় ও। বিষ্ফারিত নয়নে ফ্যালফ্যাল করে ভাইজানের দিকে চেয়ে রইল। চোখ দুটো অক্ষিকোটর থেকে বেরিয়ে আসার উপক্রম। এইবার এখানে এসে ও যেন এক নতুন চৈত্রিককে দেখছে। তবে কি ওর ধারণাই সঠিক? এখানেও মা নিজ স্বার্থে নতুন চাল চেলেছে? আর কত নিচে নামবে মানুষটা? অবাকের চরম পর্যায়ে যেয়ে কথাটাও বলতে ভুলে গেল মেয়েটা। চৈত্রিক এতক্ষণে ঘাড় ঘুরিয়ে পাশে চাইল, "আজই চলে যাবি নায়িকা চিত্রলেখা?"
ভাইজানের কথায় চিত্রলেখা হুশে ফিরল। জবাব দিলো, "আজই চইলা যামু ভাইজান।"
"আচ্ছা, তুই এখানে দাড়া আমি পানি এনে দিচ্ছি। দিনকাল ভালো না। পুকুরপাড়ে একা যেতে হবে না।"
মুখের কথাতে সমাপ্তি টেনে আর দাঁড়াল না চৈত্রিক। একটা মগ হাতে তুলে নিয়ে চলে গেল বাড়ির পাশের পুকুরের উদ্দেশ্যে। চিত্রলেখা ভাইজানের প্রস্থানের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে রইল। গাল বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল টপটপ করে। দিনশেষে ওর ভাইজান ও ভালো নেই। কেবল শক্ত মনের মানুষটা কাউকে বুঝতে দেয় না। আফসোস এদের কষ্ট দেখার জন্য, শোনার জন্য কেউ নেই এত্ত বড়ো ধরিত্রীতে। কারণ একটাই ওরা অন্যদের কাছে নিজেদের সম্পূর্ণরূপে খুলে প্রকাশ করতে পারে না। যার দরুন দিনশেষে খারাপই রয়ে যায় সকলের নিকট। যেমন ওর ভাইজান।
ওদের বাড়িটার চারপাশের পরিবেশ খুব সুন্দর। পিছন দিকে চোখ যতদূর যায় মাঠের পর মাঠ। বাম পাশে একটা পুকুর তার ওপাশে আবার ফসলের ক্ষেত। ডান পাশে একটু জায়গা জমি পড়ে আছে। ওটা গ্রামের মোড়লের। যেখানে আপাতত ফুলের চাষ করছেন তিনি। তারপর থেকে আবার বসত বাড়িঘর। আর সামনে দিয়ে চলে গেছে একটা রাস্তা। রাস্তার ওপাশে বয়ে চলেছে বড়ো একটা বিল। খুবই মনোরম দৃশ্য। চোখ, মন, প্রাণ জুড়িয়ে যাওয়ার মতোই একদম। চিত্রলেখা কয়েক পা এগিয়ে এসে ওই বিলের স্বচ্ছ পানির দিকেই একনজরে তাকিয়ে রইল। ততক্ষণে কয়লা দিয়ে বারকয়েক ঘষা দিয়েছে দাঁতে। বেশ ভালো লাগছে ওর। বয়ে চলা পানির কলকল ধ্বনি মনটা সতেজ করে তুলছে।
চৈত্রিক পানি নিয়ে এসে ওর হাতে মগটা ধরিয়ে দিয়ে চলে যেতে নিলেই চিত্রলেখা বলে উঠল,
"ভাইজান আল্লাহ তুমার দুক্কের ভাগিদ্বার মোরে বানাইয়া দিক। তবুও তুমি ভালা থাইকো।"
থেমে গেল চৈত্রিকের চলন্ত পদ যুগল। পিছনে ফিরে বোনের মলিন বদনে তাকিয়ে রইল ক্ষণকাল। পরক্ষণেই হেসে ফেলল, "আগে তোর নিজের দুঃখ কমা তারপর না হয় আমার দুঃখের ভাগ নিলি।"
মাথা নেড়ে হাসতে হাসতে ওখান থেকে চলে গেল চৈত্রিক। চিত্রলেখাও আর দাঁড়াল না। বিষাদগ্রস্ত মনে অজু সেরে ঘরের দিকে অগ্রসর হলো।
••••••••••
বেলা দুপুর। চিত্রলেখা বোরকা, নিকাব পরে নিজেকে তৈরি করে ঘরে বসে আছে। গরমে অস্থির হয়ে আছে মেয়েটা। ভাবীর থেকে একটা হাত পাখা এনে একনাগাড়ে নেড়ে চলেছে। তবুও যেন একদন্ড স্বস্তি মিলছে না। সকালে ভাবী ভাত আর আলু ভর্তা দিয়ে গেছিল সেটাই খেয়েছে। আর কিছু খায়নি। দুপুর গড়িয়ে চলল এখন। এখনো তো আব্বা ফিরল না। তবে কি টাকা জোগাড় হয়নি? বাসা থেকে বেরোনোর পূর্বে আব্দুল সাত্তার বারবার করে চিত্রলেখাকে ওনার ফেরার অপেক্ষা করতে বলে গেছেন। তাই ও অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় প্রহর গুনে চলেছে। অসুস্থ মানুষটা সেই সকালে বেরিয়েছে। এখনো তো ফিরল না। মনে মনে একরাশ চিন্তায় ফেটে পড়ল। তবে ওকে আর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না। কিয়ৎসময় পেরোতেই হন্তদন্ত পায়ে ঘরে প্রবেশ করলেন আব্দুল সাত্তার। মেয়ের হাতে টাকা ধরিয়ে দিয়ে বললেন,
"আম্মা দেড়ডা হাজার টেকা জোগাড় হইয়াছে। সামনের মাসে মুই বাকি টেকাডা দেয়া দিমু। তুমি এখনি রওনা দাও। তুমার মা আইলে ভ্যাজাল পাকাইবো।" টাকাগুলো হাতে নিয়ে থমকে দাঁড়িয়ে রইল চিত্রলেখা। একবার হাতের দিকে তাকাচ্ছে তো আরেকবার বাবার ক্লান্ত মুখের দিকে তাকাচ্ছে। বুকটা যন্ত্রণায় দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। হঠাৎ করেই টাকাটা নিতে মন সায় দিচ্ছে না। এগিয়ে এসে ওড়নার একাংশ তুলে বাবার ঘর্মাক্ত মুখমণ্ডল যত্ন সহকারে মুছিয়ে দিলো, "কিন্তু আব্বা এতগুলো টেকা কই পাইলা?"
"চৈত্রিক জানে আম্মা। তুমি রওনা দাও। ভালা থাকবা। কুনো সমস্যা হইলেই মোর এইখানে চইলা আইবা। তুমার আব্বা এহনো বাইচা আছে। তুমারে ভালা খাওয়াইতে না পারলেও, না খাওয়াই রাখমু না। এই বাড়ির দরজাডা তুমার জন্য আজীবন খুলা রবে আম্মা। আমি না রইলেও চৈত্রিক রবে। ও তুমারে ফেরাইবে না।"
চিত্রলেখা ফুঁপিয়ে উঠে বাবাকে জড়িয়ে ধরল। কাঁদতে কাঁদতেই বাচ্চাদের মতো আওড়াল,
"মোর জন্যি আপনের খুব কষ্ট হইয়া যায় আব্বা। মোরে ক্ষমা করবেন। মোর ভাগ্যডাই পোড়া।"
"কাঁইদো না। চলো তুমারে মোড় অবধি আগাইয়া দিয়া আসি।"
"না, আব্বা আপনে বিশ্রাম নিন। মুই একাই চইলা যাইতে পারুম।"
আব্দুল সাত্তারের শরীরটাও আর সায় দিচ্ছে না। সেই সকাল থেকে অসুস্থ শরীর নিয়ে খুব ছোটাছুটি হয়ে গেছে। এখন একটু বিশ্রামের বড্ড প্রয়োজন।উনি মেয়ের কথা মেনে নিলেন। সম্মতি দিলেন,
"আইচ্ছা আম্মা। দেইখ্যা শুইনা যাইবা।"
চিত্রলেখা মাথা নাড়িয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ল। রাস্তা পর্যন্ত আব্দুল সাত্তার পিছু পিছু গেলেন। রাস্তায় উঠতেই কমলা বেগমের সাথে দেখা হলো চিত্রলেখার। মুখোমুখি হলো দুজন। কিন্তু আজ নিজেই কোনো কথা বলল না চিত্রলেখা। অদৃশ্য এক ঘৃণা জন্মেছে মানুষটার প্রতি। পাশ কাটিয়ে মোড়ের দিকে এগোতে শুরু করল ও। চিত্রলেখার এমন ব্যবহারে কমলা বেগমের কপালে ভাঁজ পড়ল। পরক্ষণেই মুখ ঝামটা দিয়ে একপলক আব্দুল সাত্তারের দিকে তাকিয়ে বাড়ির ভেতরে চলে গেলেন। উনি যেতেই চিত্রলেখা থমকে দাঁড়িয়ে পড়ল। পিপাসার্ত চোখদুটো চারপাশে দৃশ্যমান হলো। ভাইজানকে খুঁজে চলল। কিন্তু তার দেখা মিলল না। আব্বাকে ইশারায় বাড়ির ভেতর চলে যেতে বলল। কিন্তু আব্দুল সাত্তার গেলেন না। ছলছল নেত্রে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রইলেন। চিত্রলেখা বুঝল ও না যাওয়া অবধি আব্বা যাবে না। একবুক হাহাকার নিয়ে মোড়ের দিকে অগ্রসর হলো মেয়েটা।
বিশ মিনিট মতো হেঁটে মোড়ে পৌঁছাতেই দেখল একটা গরুর গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। ও সেদিকে এগিয়ে যেয়ে ভাড়া মিটিয়ে উঠে বসল। গরুর গাড়ি চলতে শুরু করল। এই প্রথম বুকটা কেমন অদ্ভুত যন্ত্রণায় পিষ্ট হচ্ছে। মনে হচ্ছে আর হয়তো কখনো এই গ্রামে আসা হবে না। এটাই শেষ বারের মতো নিজ গ্রামে পদযুগল রাখা হলো। চোখের কার্নিশ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল। পরমুহূর্তেই চিত্রলেখা সন্তর্পণে তা মুছে নিলো। তক্ষুনি কোথায় থেকে চৈত্রিক দৌড়িয়ে এসে একটা প্যাকেট ধরিয়ে দিলো ওর হাতে। মুখে বলল, "নায়িকা চিত্রলেখা এতে শুকনো খাবার আছে। যেতে যেতে খেয়ে নিস।"
চৈত্রিক থেমে গেল। দাঁড়িয়ে বোনকে বিদায় জানাল। গুটি গুটি পায়ে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে চলল গরুর গাড়ি। চিত্রলেখা একচিত্তে ভাইজানের দিকে তাকিয়ে রইল। চৈত্রিকের শরীরে জড়ানো একটা কালো একরঙা শার্ট যার হাতাটা কনুই পর্যন্ত গোটানো এবং একটা শুভ্র রঙা চেক চেক লুঙ্গি। ফর্সা দেহে রঙটা খুব মানিয়েছে। মুখে ছোট ছোট করে রাখা চাপ দাড়ি। দেখতে নায়কের থেকে কোনো অংশে কম নয় ওর ভাইজান। একই মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া সত্বেও দুই ভাই বোনের দেহের রঙে আকাশ পাতাল পার্থক্য। কিন্তু মুখের আদলে ঠিক সাদৃশ্য আছে।
একটা সময় পেরিয়ে চোখের পর্দা থেকে মুছে গেল চৈত্রিকের অস্তিত্ব। চিত্রলেখা চোখজোড়া বুঁজে নিলো। গাড়ির ছাউনীর সাথে হেলান দিয়ে ঘাপটি মেরে বসে রইল। চোখ দিয়ে বর্ষণ নেমেছে ততক্ষণে। ঝরে পড়ছে তার নিজ ধারায়। মেয়েদের জীবন এমন অদ্ভুত কেন? নিজের পরিচিত একটা গ্রাম, পরিচিত মানুষগুলো একটা সময় অপরিচিত হয়ে যায়। আর যারা আগের মতোই থেকে যায় তাদের কাছে থাকার সৌভাগ্য হয় না। হাহ্! নারী জীবন বড়ো বৈচিত্র্যময়!
·
·
·
চলবে………………………………………