স্টে উইথ মি - পর্ব ১৪ - নুসরাত জাহান বৃষ্টি - ধারাবাহিক গল্প


          গাড়ি এসে থামে ঠিক শেরাজের সামনাসামনি। শেরাজ ঠোঁটের কোণে বাঁকা হাসি রেখে কয়েক পা সামনে এগিয়ে গেল। শেরাজের শরীরের ভাষা দেখে বোঝাই যাচ্ছে, ও পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত লড়তে। গাড়ির দরজা খুলতে শুরু করল একে একে। চারজন লোক বেরিয়ে এলো, প্রত্যেকের হাতে কিছু না কিছু অস্ত্র কারো হাতে লোহার রড, কারো কোমরে গোঁজা ছুরি আবার কেউ কেউ গ্লাভস পরেছে, যেন খালি হাতে মারলেও দাগ না থাকে। 

একজন একটু সামনে এসে দাঁড়াল। গলায় সোনার মোটা চেইন, চোখে ঠান্ডা হিংস্র দৃষ্টি। শেরাজ তাকে দেখে মুচকি হেসে চেঁচিয়ে বলল, "আসসালামু আলাইকুম।"

লোকটা অবাক হলো। শেরাজ লোকটার থেকে সালামের জবাব না পেয়ে রেগে বলল, "এই বেদুইনের বাচ্চা কেউ সালাম দিলে সালামের জবাব দিতে হয় জানিস না।"

লোকটা থতমত খেয়ে গিয়ে সালামের জবাব দিলো। শেরাজ হেসে হেসে বলল, "এই তো গুড বয়। তা গুড বয়েরা তোমাদের কে পাঠিয়েছে শুনি একটু?"

অন্য একটা লোক বলে উঠে, "ওই ওর সাথে এতো কিসের কথা হু যেই কাজটা করতে এসেছিস ওইটা কর। শালারে মার।"

শেরাজ দু কদম পিছিয়ে গিয়ে বলল, "এই‌ এই ওয়েট ওয়েট কথা নাই বার্তা নাই আমাকে মারতে চলে আসলি তোরা, এটা কি ধরণের ফাজলামি শুনি?" 

মেহুল গাড়ির ভেতর থেকে দম বন্ধ করে তাকিয়ে আছে। শেরাজ একা আর ওরা চারজন! মেহুলের মাথায় একটা প্রশ্নই ঘুরছে— শেরাজ ভাই যে হিরোদের মতো নামলো আদৌও পারবে তো মারামারি করতে এদের সাথে? যা ভয়ানক দেখতে এক এক জনের চেহারা-সুরত।

শেরাজ দু কদম এগিয়ে বুঝানোর স্বরে বলল, "ভাই, আমি মানুষটা শান্তিপ্রিয়। তাই আমি চাই না অশান্ত হতে। তোরা যেভাবে এসেছিস সেভাবেই ফিরে যা। আর যদি আমাকে অশান্ত হতে বাধ্য করিস, তাহলে তোদের কপালে তো শনি নাচবেই সাথে তোদের যে পাঠিয়েছে, তার কপালেও আমি শনির গ্রহণ লাগিয়ে দেবো।"

একটা লোক হুংকার দিয়ে বলে‌ উঠে, "ওই একদম ডায়লগ মারবি না তো। এসব ডায়লগ শুনতে ভালো লাগে না।"

"শুনিস না তাহলে। যেটা করতে এসেছিস সেটা করে বিদায় হ তো।"

লোকটা গলায় সোনার চেইন পরিহিত লোকটাকে ইশারা করলো। গলায় চেইন পরিহিত লোকটাও এগিয়ে এলো শেরাজের দিকে। এদিকে মেহুল চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। শেরাজ লোকটাকে একপলক দেখে দু কদম পিছিয়ে গিয়ে তারপর দ্রুত পায়ে সামনে এগিয়ে এক ধাক্কায় লোকটার মুখে এমন ঘুষি মারল যে সে সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। বাকি তিনজন চমকে গিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই ঝাঁপিয়ে পড়ল শেরাজের উপর। একজন লোহার রড দিয়ে মারতে আসছিল, কিন্তু শেরাজ দ্রুত পাশ কাটিয়ে তার কব্জি চেপে ধরল এবং কাঁধ মুচড়ে এমনভাবে ঘুরিয়ে দিল যে রড হাতে রেখেই সে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ল।

শেরাজ আরেকজনের দিকে তাকিয়ে হেসে বলল, "তুই কি নিয়ে এসেছিস?"

লোকটা দ্রুত কোমর থেকে ছুরি বের করল, চোখে খুনের ঝলক। লোকটা এক দৌড়ে ছুরি চালাতে আসছিল, কিন্তু শেরাজ যেন মুহূর্তেই ওর গতিপথ পড়ে ফেলল। সে সরে গিয়ে এক লাথিতে ছুরিটা ছিটকে দিল, তারপর হাত ধরে এমনভাবে মুচড়ে দিল যে ছুরির মালিক যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠল। এদিকে যাকে প্রথমে মেরেছিল, সে ধীরে ধীরে উঠে এসে আবার পেছন থেকে হামলা করতে গেল কিন্তু শেরাজ যেন সেটা আগেই টের পেয়ে গেল।

সে পিছন ফিরে এক ঝটকায় ঘাড় ধরে এমনভাবে মাটিতে ফেলল যে ধাক্কাটা এতটাই জোরালো ছিল, লোকটা উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলল। বাকি একজন তখনো দাঁড়িয়ে ছিল ভয় আর অবিশ্বাসে মুখ থমথমে। শেরাজ বুঝে নিলো লোকটা উদ্দেশ্য পালিয়ে যেতে চাইছে যেন। শেরাজ ঠাণ্ডা গলায় বলল।

"কিরে তুই কি মনে করেছিস আমি তোকে যেতে দেব এখানে থেকে?"

লোকটা থেমে গেল। এক পা পেছনে সরানোর চেষ্টা করল, কিন্তু শেরাজ এক ধাক্কায় ওর বুকের ওপর এমন একটা ঘুষি মারল যে লোকটা পড়ে গিয়ে কাশতে লাগল। চারজনই এখন ছড়িয়ে ছিটিয়ে মাটিতে পড়ে আছে। মেহুল অবাক চোখ দেখলো সবটা। এ যেন পাকাপোক্ত একজন ফাইটার।

শেরাজ ধীর পায়ে হেঁটে গিয়ে প্রথম লোকটার ওপর ঝুঁকল। বাঁকা হেসে বলল, "কে পাঠিয়েছে তোদের আমাকে মারতে একটু শুনি।"

লোকটা কাতরাতে কাতরাতে বলল, "কেউ‌ না।"

শেরাজ বোকা বোকা চাহনি ফেলে বলল, "ওমা তাহলে আমায় এমনি এমনি মারতে চলে আসলি। এটা তো ঠিক না, এটা তো খুব অমানবিক কাজ।"

শেরাজ চুপ করে যায়। গলার স্বর এবার রুক্ষ করে বলল, "যে তোদের পাঠিয়েছে তাকে গিয়ে বলবি, আমি শিকার না‌ আমি শিকারি। আবার যদি কখনো লোক পাঠায় আমাকে‌ মারতে, তাহলে লাশ দেখার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলবি।"

শেরাজ ধুলো ঝেড়ে উঠে দাঁড়াল। ঠিক তখনই একটা ফোনের রিংটোন বেজে উঠল। কানের কাছে পরিচিত কোনো সুর নয়। নিজের ফোনে তো এমন বস্তাপচা রিংটোন দিয়ে রাখে না, তাহলে? চারপাশে চোখ ঘুরিয়ে দ্রুত একটা ফোন খুঁজে বের করল সে এই চার জনের মাঝ থেকে কারো ফোন হবে। ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে ভেসে এলো গম্ভীর এক পুরুষ কণ্ঠ।

"ওই শালার হাত-পা ভেঙে দিয়েছিস তো? এমনভাবে ভাঙবি যেন দাঁড়াতেও না পারে!"

শেরাজ ঠোঁটের কোণে হাসি চাপল, যেন কোনো মজার কৌতুক শুনেছে। ওপাশের লোকটা কোনো সাড়া না পেয়ে আবার বলল, "কি হলো? বোবা হয়ে গেলি নাকি? বল কাজ শেষ?"

শেরাজ এবার ঠান্ডা গলায় বলল, "আরে দুলাভাই, আপনার শালা একদম অক্ষত আছে। হাত-পা ভাঙতে পারল না আপনার দুর্বল পোলাপান।"

লোকটা হতভম্ব হয়ে বলল, "কে?"

শেরাজ নিঃশ্বাস ছেড়ে হাসল, "কে আবার? তোর শালারে শালা। আচ্ছা তুই কেরে বল তো?"

"খুব তাড়াতাড়ি জানতে পারবি আমি কে?"

বলেই ফোন কেটে দেয়। শেরাজ ফোনটা চোখের সামনে ধরে হতভম্ব হয়ে বলল, "যাহ বাবা কেটে দিলো। রাগ করলো নাকি আমার উপরে? সে যাক গে কোনো ব্যাপার না রাগ করতেই পারে। মানুষ মানেই রাগশীল।" 

শেরাজ নিজের ফোনটা প্যান্টের পকেট থেকে বের করল। যেই নাম্বার থেকে কল এসেছিলো সেই নাম্বারটা সে তার ফোনে ডায়াল করল তবে কল দিলো না। নিজের ফোনে নাম্বারটা তোলা হলে বাটন ফোনটা ছুড়ে দিলো পড়ে থাকা একটা লোকের সামনে আর আদেশের স্বরে বলল, "ওই রাস্তা তাড়াতাড়ি ক্লিয়ার কর না হলে আমার গাড়ি কিন্তু তোদের উপর দিয়ে যাবে।"

লোকগুলো এখন কাতরাচ্ছে, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে তাদের। তবু আহত শরীর নিয়ে কোনোমতে গাড়িতে গিয়ে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিলো। শেরাজ ফিরে এলো নিজের গাড়িতে। মেহুল স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে। ওর গা শিউরে উঠছে শেরাজের এই রূপ দেখে। শেরাজ ড্রাইভিং সিটে বসে মেহুলের দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসল।

"কী? ভয় লাগছে?"

মেহুল কিছু বলল না। ওর মুখে কোনো শব্দই বের হচ্ছে না। শেরাজ হাসল, "ভালো, ভয় পাওয়া উচিত।

মেহুল ভ্রু কুঁচকে বলল, "আজব আমি ভয় পেতে যাবো কোন দুঃখে।"

শেরাজ মেহুলের দিকে ফিরে অবিশ্বাস্য কন্ঠে বলল, "আরে ব্যস! এতক্ষণ তো মুখে একটাও কথা ছিল না, এখন কেমন জানি তেড়েফুঁড়ে উঠছিস?"

মেহুল কপাল কুঁচকে তাকাল, কিন্তু মুখে কিছু বলল না। শেরাজ এবার ঠোঁটের কোণে বাঁকা হাসি রেখে গর্বের সহিত বলল, "দেখেছিস কেমন হিরোর মতো মারামারি করলাম‌ ওদের সাথে?"

মেহুল মুখ ফিরিয়ে নিল, "না দেখি নি।" 

শেরাজ কপট রেগে বলল, "কি বলিস দেখিস নি মানে। চোখে কি ঠুলি পড়ে ছিলি নাকি। না তুই তো চোখে চশমা পড়ে ছিলি তাও দেখিস নি। এটা কেমন কথা? আর একটা চশমা লাগাতে হবে নাকি।"

মেহুল ঠিক কি রকম প্রতিক্রিয়া দেখাবে ও নিজেও কনফিউজড। একটু আগে চার জন জলজ্যান্ত মানুষকে কুকুরের মতো পিটিয়ে এলো আর সেই মানুষটার মধ্যে কোনো রকম প্রতিক্রিয়া নেই। শেরাজ এবার স্টিয়ারিং ধরে গাড়ি চালাতে শুরু করল। একহাতে স্টিয়ারিং, অন্যহাতে অন্যমনস্কভাবে হালকা টোকা দিচ্ছে গাড়ির গ্লাসে। কয়েক মিনিট কোনো কথা নেই, শুধু গাড়ির হালকা গর্জন।

তারপরই শেরাজ হঠাৎ বলল, "আমার হাতে মরার লোকের সংখ্যা কিন্তু কম না কিন্তু বিশ্বাস কর, আমি শুধু দরকারে মারি।"

মেহুল এবার চোখ সরু করল, "দরকারে মানে? নিজের সুবিধার জন্য?"

শেরাজ এক গাল হাসল, "হুম, নিজের সুবিধার জন্যও। আবার কখনো কখনো অন্যের উপকারের জন্যও। আজকের ঘটনাটা কোন ক্যাটাগরিতে পড়ল বলে তোর মনে হয়?"

মেহুল কিছু বলল না। শেরাজ আবার নিজে থেকেই বলল, "আচ্ছা, যাকগে। এখন চুপচাপ বসে থাক। আজকে অনেক কিছু দেখে নিয়েছিস তুই এগুলোর চাপ আগে সামলা।"

গাড়ি চলতে থাকল শহরের ব্যস্ত রাস্তায়, কিন্তু গাড়ির ভেতরে যেন একটা অদৃশ্য ভারী নীরবতা নেমে এসেছে। কেউ কোনো কথা বলছে না।

কিছুক্ষণ পর গাড়ি এসে থামল মির্জা বাড়ির সামনে। মেহুল শব্দ না করেই দরজা খুলে নেমে গেল। শেরাজ গাড়ির ভেতরেই বসে রইল, এক দৃষ্টিতে সামনের দিকে তাকিয়ে। মেহুল একপলক শেরাজের দিকে তাকিয়ে গেট পেরিয়ে ভেতরে ঢুকে গেল।

দোতলার জানালা থেকে আতাউর মির্জা সব কিছু খেয়াল করলেন। শেরাজকে অনেকবার সাবধান করার পরও সে মেহুলের কাছাকাছি আসছে! এই ছেলেকে থামাতে হবে, যেকোনো উপায়ে। আতাউর মির্জার চোখ ধীরে ধীরে কঠিন হয়ে উঠল। তিনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন—শেরাজকে মেহুলের জীবন থেকে সরিয়ে দেবেন। যদি সেটা করতে মেহুলের বিয়ে তাড়াতাড়ি দেওয়াও লাগে, তাহলেও তিনি পিছপা হবেন না! 

শেরাজ হাতে ফোন নিয়ে কাউকে‌ একটা ফোন করলো, "একটা নাম্বার ট্রাক করতে হবে আর তার চৌদ্দ গুষ্টির সম্পর্কে জানতে হবে।"

শেরাজ নিজের ফোনটা হাতে তুলে নিল। আঙুলের এক টানে নির্দিষ্ট নম্বর ডায়াল করল। কয়েকবার রিং হওয়ার পর ওপাশ থেকে গম্ভীর কণ্ঠ ভেসে এলো।

"বল।"

শেরাজ ঠান্ডা গলায় বলল, "একটা নাম্বার ট্র্যাক করতে হবে। শুধু ট্র্যাক না, ওর চৌদ্দ গোষ্ঠীর তথ্যও লাগবে। কোথায় থাকে, কী করে, কার সঙ্গে ওঠাবসা সব জানতে চাই।"

ওপাশের ব্যক্তিটি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকল, তারপর বলল, "ঠিক আছে কাজ হয়ে যাবে?"

শেরাজ চোয়াল শক্ত করে উত্তর দিল, "যত দ্রুত সম্ভব।"

—————
 
শেরাজ এখনো ফেরে নি। ওই যে মেহুলকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে গিয়েছিলো এরপর আর শেরাজের পাত্তা নেই। মেহুলের মনে ভেতরে কেন জানি অজানা এক আতঙ্ক কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। কেন জানি মনে হচ্ছে কিছু একটা ঘটতে চলেছে। হাতে থাকা কলমটা দিয়ে টেবিলে কয়েকবার টোকা দিয়ে ঘড়ির দিকে তাকাল মেহুল। রাত পনেরো মিনিট কম দশটা। ঠিক তখনই ফোনে নোটিফিকেশনের শব্দ হলো। প্রথমে মেহুল পাত্তা দিল না ওতোটা, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই একের পর এক নোটিফিকেশন আসতে থাকল। বিরক্ত হয়ে ফোনটা হাতে নিতেই দেখল, গ্রুপে অনেকগুলো মেসেজ এসেছে। মেসেঞ্জারে ঢুকতেই দেখতে পেল সবাই একটাই কথা বলছে "রাজিব ভাইয়ার বাইকে আগুন লেগেছে‌ শুনেছিস তোরা? "

মেহুল অবাক হয়ে স্ক্রল করতে করতে এগোতে লাগল। কেউ কেউ আফসোস করে বলছে "ইস এতো সুন্দর বাইকটা পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে!" মেহুল এাব হতভম্ব হয়ে পড়ে। রাজিব ভাইয়ার বাইকে আগুন লেগেছে মানে? দুপুরেই না ঠিক ছিলো সব কিছু। এর মাঝে কখন এসব ঘটলো। এর মাঝে কেউ একজন ভিডিও পাঠিয়েছে। মেহুল ধীরে হাতে ভিডিওতে ক্লিক করল। স্ক্রিনে আগুনের ভয়ংকর লেলিহান শিখা ফুটে উঠল। রাজিবের বাইকটা সম্পূর্ণ জ্বলছে। আশেপাশের মানুষ দৌড়ে আসছে, কেউ পানি দিচ্ছে, কেউ আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পানি পেয়ে যেন আগুন আরও ভয়ংকর রূপ ধারণ করছে।

মেহুল স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে রইল। শরীর কেমন জানি নিস্তেজ লাগছে। এটা কী হলো? রাজিব ভাইয়ার বাইকে আগুন লাগল কীভাবে? মেহুলের মাথায় একটাই নাম ঘুরপাক খেতে লাগল শেরাজ! শেরাজ ভাই নেই তো এই‌ আগুন লাগার পেছনে?
·
·
·
চলবে....................................................................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

WhatsApp