“আমাকে নাকে খত দিতে বললেও আমি দিতাম, কিন্তু তোর সাহস কি করে হয় আমার চিংকিকে নিয়ে উলটাপালটা মন্তব্য করার”
পাভেল হতবিহ্বল চোখে তাকিয়ে আছে। চিরচেনা জাওয়াদ হামিদের এমন রুপ তাকে বিস্মিত করছে। এতো দিনের বন্ধুকেও অচেনা লাগছে। এটা জাওয়াদই তো? যে নিজের ব্যক্তিত্বকে অমলিন রাখতে সর্বদা একটি মুখোশ পড়ে থাকে। তার রাগ, জেদ, অপছন্দ কখনোই প্রকাশ করে না সে। নিজেকে সর্বদা “পার্ফেক্ট জেন্টালম্যান” হিসেবেই অংকন করেছে। অথচ সেই পার্ফেক্ট জেন্টালম্যানের খোলসটা আজ খসে পড়েছে। নিজের অন্তরের রাগ উগরাতে সে ব্যস্ত। স্থান, কাল জ্ঞান যেন হারিয়ে ফেলেছে সে। এটা হাসপাতাল। আদিব এই নামকরা হাসপাতালের একজন ডাক্তার। এখানে এমন গুন্ডাদের মত মারপিট করলে জাওয়াদের হিতে বিপরীত হবে। কিন্তু সেদিকে পরোয়া নেই তার। সে নিজের গায়ের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে আরোও দুটো ঘুষি মারলো আদিবকে। আদিব ছিটকে পড়লো মেঝেতে। তার ঠোঁট ফেটে রক্ত পড়ছে। জাওয়াদ আরোও কয়েকটা ঘুষি মারতে হাত উঁচালেও থেমে যেতে হলো। হুট করেই আদিব এবং তার মাঝে উপস্থিত হলো চিংকি। চিংকি তার হাত টেনে উৎকন্ঠিত স্বরে বললো,
“পাগল হয়ে গেছেন জাওয়াদ সাহেব”
চিংকির এখানে আসার কথা ছিল না। তার আজকে ভিন্ন পরিকল্পনা ছিলো। কলেজ বন্ধ বিধায় সারাদিন ভিডিও বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সে। কিন্তু নিরুপমা জোর করে তাকে পাঠিয়েছেন। চিংকির হুট করেই দুদিন যাবৎ দাঁতের মাড়ি ফুলে গেছে। হয়তো আক্কেল দাঁত উঠবে। দাঁতের মাড়ির ব্যথায় মুখও ফুলে গেছে। কথাটা আদিব জানার পর নীরুপমাকে বুদ্ধি দিয়েছে চিংকি যেন তার হাসপাতালে চলে আসে। তার পরিচিত ভালো দাঁতের ডাক্তারের সিরিয়াল নিয়ে রাখবে। চিংকির অনিচ্ছাস্বত্তেও আসতে হল। দাঁতের ব্যথাটা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গিয়েছে। সেকারণেই চিংকির আসা। আদিব তার দাঁতের ব্যথার কথা কি করে জানে সেটা একটা রহস্য। বড়খালা হয়তো জানিয়েছেন। সে নিয়ে চিংকির কোনো মাথাব্যথা নেই। মাথাব্যথা বর্তমান অবস্থা নিয়ে। জাওয়াদের এমন রুদ্ররুপ তাকে চিন্তিত করছে। চিংকিকে দেখে থেমে গেলো জাওয়াদ। নিজের রাগ সংযত করার চেষ্টা করলো। চিংকির সম্মুখে নিজের কুৎসিত রুপ সে দেখাতে চায় না। ফলে আদিবকে সতর্ক করে জাওয়াদ কঠিন স্বরে বললো,
“এই মারটা মনে রাখিস। আজ আমাদের হিসেব শেষ হলো”
আদিবের কপালের শিরা দপদপ করছে। নিজের পৌরুষে অপমানের হাতুড়ির প্রহার অনুভূত হলো। কেউ তার কর্মস্থলে তাকেই মারবে সহ্য হলো না। শুধু কর্মস্থলে ঘটনা ঘটলে মানা যেত। এখানে দীপশিখাও উপস্থিত। নিজের পুরুষত্বের পরিচয় দিবে সে। ফলে নিজেকে সামলে জাওয়াদকে মারতে উদ্ধত হলো সে। তবে মুষ্টিগত হাতটা জাওয়াদের গায়ে লাগলো না, লাগলো একুশ বর্ষীয়া তরুনীর গায়ে। এতোটাই জোরে আঘাত লাগলো যে তরুণীর ঠোঁটের কাছটা কেটে রক্ত গড়িয়ে পড়লো। মুখের ভেতরের অংশও হয়তো কেটে গিয়েছে। দীপশিখার ঠোঁটের কাছের কাটা অংশটা দেখতেই দৃষ্টি শিথিল হয়ে গেলো জাওয়াদের। তার মস্তিষ্কের নিউরণকোষগুলো উত্তেজিত হলো মুহূর্তে। সংযম ভেঙ্গে গুড়িয়ে গেলো পরক্ষণেই। গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে প্রহার করতে লাগলো আদিবকে। আদিবও এলোপাথারি লাথি ঘুষি দিচ্ছে। বিশ্রী ব্যপার। জাওয়াদের হাত থেকে লহুরেখা গড়াচ্ছে। তাতে তার কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। শুধু একটা লাইন ই আওড়াতে লাগলো,
“আমার চিংকিকে তুই মারলি কি করে?”
******
লকাপের শিক ধরে দাঁড়িয়ে আছে জাওয়াদ। আদিব, পাভেল এবং চিংকি বসে রয়েছে সাব ইন্সপেক্টরের সামনে। জাওয়াদের রুদ্ররুপের কোনো পরিবর্তন নেই। চোখে যেন আগুন জ্বলছে। নিজের আচরণের সামান্য অনুতাপ নেই। হাসপাতালের স্টাফ পুলিশে খবর দিয়েছে। তাদের ধারণা হয়েছে তাদের ডাক্তারকে কেউ অন্যায়ভাবে প্রহার করছে। পুলিশ এসে তাই জাওয়াদের হাতে হাতকড়া পরালো। জাওয়াদ হামিদের হাতে হাতকড়া, পাভেল স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারে নি। চিংকির অপমানে যে তার বন্ধু প্রলয়ংকররুপ ধারণ করবে সে ভাবে নি। জাওয়াদ সংযত পুরুষ, নিজের সংযম সে হারায় না। রাগ, ক্রোধ দমিয়ে রাখা তার স্বভাবে বিশেষ গুন। অথচ সেই গুনকে সে ত্যাগ করেছে। চিংকি বসে আছে চুপ করে। পাভেল পুলিশকে বোঝানোর চেষ্টা করছে,
“স্যার আমার বন্ধু সজ্জনব্যক্তি। আপনি খোঁজ নিন, সে কখনো এমন কাজ করে নি”
“আপনার কি মনে হয়? আমার স্বপ্নে এসেছিলো আপনার বন্ধু গুন্ডা? কমপ্লেইন এসেছে বলেই তাকে উঠিয়ে আনা হয়েছে”
আদিবের মুখে মারে দাগ। চোখ ফুলে গেছে। ঠোঁট ফেঁটে গেছে। কাপড় চোপড় অবিন্যস্ত, এলোমেলো। সে ক্ষিপ্ত স্বরে বললো,
“আপনারা না আসলে আমাকে তো মেরেই ফেলতো”
“বাজে কথা বলবি না আদিব, ঝামেলা তুই শুরু করেছিস”
“জাওয়াদের চামচা তুই, ওর পক্ষই তো নিবি। আমার মুখের এই অবস্থা কে করেছে?”
“তোর থোবড়ানো খ্যামাই এমন, জাওয়াদ একটু শুধরে দিয়েছে”
পাভেলের অপমান কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিঁটের মতো লাগলো আদিবের। কঠিন স্বরে বললো,
“তোর বন্ধুকে জেলের ভাত না খাওয়ালে আমার নাম আদিব না”
“মেয়ে মানুষের গায়ে হাত তুলে বড় বড় কথা! স্যার দেখুন শয়তানটা আমার ভাবীর গায়েও হাত তুলেছে”
দীপশিখা একটু নড়েচড়ে উঠলো। তার মুখে মারের দাগ স্পষ্ট। এস.আই তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তার মুখের দিকে তাকালেন। ঠান্ডা স্বরে শুধালেন,
“আপনাকে মেরেছেন উনি?”
দীপশিখা চুপ করে রইলো। পাভেল সাথে সাথেই বলে উঠলো,
“ও তো ভয়ে কিছু বলতে পারছে না, আপনি দেখতে পারছেন না? আমার বন্ধু সহ্য করতে না পেরে এই শয়তানটাকে মেরেছে। আর করবে না, ওকে ছেড়ে দিন”
পাভেলের কথায় পুলিশ বিরক্ত হয়ে বললেন,
“চোপা বন্ধ, আমি পুলিশ না আপনি?”
“আপনি, কিন্তু কিছু করছেন না তো”
“বেশি কথা বললে কিন্তু আপনাকেও জেলে ঢুকাবো”
পাভেল বাধ্য হয়ে থেমে গেলো। জাওয়াদকে ছাড়ানোর চিন্তায় মাথা কাজ করছে না। দীপশিখাও কিছু বলছে না। সে চুপ করে বসে রয়েছে। পাভেল দীপশিখাকে অনুরোধ করে বললো,
“চিংকি, প্লিজ। জাওয়াদকে ছাড়বে না ওরা। কিছু বলো”
“আমি তো মারতে বলি নি”
“কিন্তু জাওয়াদ তো তোমার জন্যই হাত তুলেছে”
দীপশিখা চুপ করে রইলো। পাভেল নিশ্চিত জাওয়াদকে আজ ছাড়বে না। আদিব মোটামোটি প্রস্তুত এফ.আর.আই করার জন্য। আব্দুল হামিদ সাহেবকে জানানোও মুশকিল। উনি উলটো পাভেলকে গালমন্দ করবে। এত দ্রুত উকিলের খোঁজ নেওয়াও কঠিন। জাওয়াদ বরাবর যন্ত্রণা বাঁধিয়ে তার কাঁধে তুলে দেয়। আজও তাই ঘটলো। তন্মধ্যে একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটলো। পরিচিত স্বর কানে এলো,
“এস.আই সাহেব আছেন কেমন?”
কণ্ঠ অনুসরণ করে পেছনে ফিরলো। এস.আই সাহেবের চোখমুখ উজ্জ্বল হয়ে গেলো মানুষটিকে দেখে। সে চেয়ারি ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে বিনয়ী স্বরে বললেন,
“ভালো আছি, আপনি কেমন আছেন বাবা?”
মানুষটি আর কেউ নয় পড়াবাবা। পড়াবাবাকে দেখে পাভেলের মুখ হা হয়ে গেলো। এই মানুষের দেখে আবার থানায়ই পাবে ভাবতে পারে নি। সেদিনের পর পড়াবাবা ছাড়া পেয়ে গিয়েছিলো বলেই সে জানে। অথচ আবার তাকে থানায় দেখে অবাক হলো পাভেল। পড়াবাবার সাথে এস.আই সাহেবের সখ্যতা অনেক। তিনি পড়াবাবাকে দেখতেই একটি গদি চেয়ারের ব্যবস্থা করলেন। বেশি দুধ দিয়ে কড়া চা আনানোর ব্যবস্থা করলেন। এতোটা আপ্যায়ন একজন জেলে দিন কাটানো মানুষের জন্য কেনো সেটা বুঝতে বাকি রইলো না পাভেলের। নিশ্চয়ই ব্যাটা তার ট্রিক্স আর মাইন্ড গেম দিয়ে এই মানুষটিকে নিজের মুরিদ বানিয়েছে। পড়াবাবার পক্ষে অসম্ভব কিছু নয়। পড়াবাবা একবার জাওয়াদের দিকে তাকালেন। কিছু বললেন না, শুধু হাসলেন। তিনি চা খেলেন। কেকও এনেছিলো হাবিলদার। কিন্তু সেটা খেলেন না। পাভেলের মনে হল এটা থানা না, কোনো হোটেল। পড়াবাবা কিছু হাবিজাবি কথা বললেন। এস.আই তার কথা হ্যা, হ্যা করলো। যেনো তার এই পরামর্শগুলোর উপর এস.আই এর জীবন আটকে আছে। পড়াবাবা পকেট থেকে বের করে কিছু হাবিজাবি এস.আই এর হাতে দিলেন। তারপর তিনি উঠে বললেন,
“আসি এস.আই সাহেব”
“আপনার আসার প্রয়োজন ছিলো না। আমি বেইলের কাগজটা আপনার আড্ডা থেকেই নিয়ে আসতাম”
“না না, হাজিরা দেওয়া আমার কর্তব্য। আপনি আপনার দায়িত্ব পালন করুন, আমি আমার। পৃথিবীতে আমরা নিজের দায়িত্বের কাছেই বাঁধা। হিসেব তো সেটারই দিতে হয়”
এস.আই নিজে পড়াবাবাকে এগিয়ে দিলেন থানার বাহির অবধি। এসে কিছুক্ষণ গম্ভীরমুখে বসে রইলেন। তারপর হাবিলদারকে বললেন,
“ছেড়ে দেও ওই ছেলেকে”
আদিব অনেক চেঁচামেচি করলেও অবশেষে ওয়ার্নিং পেয়ে ছাড়া পেলো জাওয়াদ। পাভেল স্বাক্ষর করলো বন্ধুর হয়ে। মুখ খিঁচিয়ে বললো,
“একমাত্র আমার জ্যোতির জন্য আজ তোর দায়ভার নিলাম। এরপর কোনো ঝামেলায় জড়ালে আমি তোকে চিনি না, তুই আমাকে চিনিস না”
******
থানা থেকে বের হয়ে চিংকিকে কোথাও দেখতে পেলো না জাওয়াদ। মেয়েটি কি চলে গেলো? চিংকির সামনে নিজের এমন কুৎসিত রুপটাকে দেখানোর ইচ্ছে কখনোই ছিলো না জাওয়াদের। জাওয়াদ কবে থেকে এতোটা বেসামাল হলো? কবে থেকে সে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললো? হয়ত এবারো নিয়ন্ত্রণ হারা হত না যদি না এখানে দীপশিখা জড়িত থাকতো। দীপশিখার ব্যপার আসলেই জাওয়াদ বিচক্ষণতার সাথে ভাবতেই ভুলে যায়। চোখ বুজে দীর্ঘশ্বাস ফেললো সে। হতাশ লাগছে তার। দীপশিখা তাকে হয়তো নিকৃষ্টদের তালিকায় ফেলে দিলো। চৈত্রের বাতাসে আজ বিষন্নতা। মনটা খা খা করছে। ঠিক তখনই খেয়াল করলো দীপশিখা তার দিকে ছুটে আসছে। হাতে একটা পলিথিনের ব্যাগ। দীপশিখা জাওয়াদের দিকে ব্যাগটা এগিয়ে দিয়ে শান্ত স্বরে বললো,
“ঔষধ লাগিয়ে নিবেন, ইনফেকশন হবে”
গালের একপাশটা লাল হয়ে আছে দীপশিখার। ঠোঁটের পাশটায় রক্ত জমে কালো হয়ে গিয়েছে। জাওয়াদের ভেতরটা হু হু করে উঠলো। ছুঁতে চাইলো কিন্তু দীপশিখা মুখ সরিয়ে নিলো। জাওয়াদ তখন অপরাধী স্বরে বললো,
“সরি আজকে আমার এমন রুপ তোমাকে দেখতে হয়েছে। তখন মাথাটা গরম হয়ে গিয়েছিলো। আদিবের মুখে তোমার নামের কথাগুলো সহ্য হয় নি আমার”
“জাওয়াদ সাহেব, আমার মনে হয় আমাদের আর দেখা না হওয়াই ভালো। আমার জন্য আপনি ঝামেলায় কেন ফেলছেন নিজেকে? আমার আর আপনার পথ আলাদা। সত্যিটা মেনে নিন”
বলেই পা আগাতে নিলেই হাত টেনে ধরলো জাওয়াদ। কাতর স্বরে বললো,
“আমাকে একটা সুযোগ নেওয়া যায় না চিংকি? আমি তোমার অপরাধী, আমি তো মাথা পেতে নিয়েছি”
দীপশিখা চুপ করে রইলো। জাওয়াদ তার হাতজোড়া নিজের হাতের ফাঁকে রেখে বলল,
“বেশ তবে আমি তোমার থেকে শুধু একটা দিন চাই। আমাকে একটা দিন দাও তোমার জীবনের। তারপর আর কখনো কিছু চাইবো না। আগামী পাঁচ তারিখ তুমি আমাকে দেও। এরপর যদি তোমার মনে হয় আমার ভালোবাসা মেকি, তবে আমি আর কখনো তোমাকে মুখ দেখাবো না”
“আমাকে বাসায় যেতে হবে”
“তুমি যদি আমাকে হ্যা না বলো আমি তোমাকে ছাড়ছি না”
দীপশিখা বুঝতে পারলো না কি বলা উচিত। এদিকে নিরুপমা ফোন করছে তার বাড়ি ফেরা জরুরি। সে হাত ছাড়িয়ে বললো,
“আমাকে বাসায় যেতে হবে”
*****
দীপশিখাকে বাসায় পৌছে দিলো জাওয়াদ। কেঁচিগেট দিয়ে যখন সে বাসায় প্রবেশ করছিলো জাওয়াদ পেছন থেকে বললো,
“আমি পাঁচ তারিখ তোমার জন্য অপেক্ষা করবো তোমার ভার্সিটির গেটে ঠিক চারটে নাগাদ”
দীপশিখা ফিরে চাইলো। মৃদু হেসে বললো,
“আসছি”
*****
দীপশিখার কলেজের গেটের বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে জাওয়াদ। আজ তার জন্মদিন। সে আজকে নিজের মনের কথা ব্যক্ত করে প্রেম নিবেদন করবে দীপশিখাকে। অনেকটা ফিল্মি স্টাইলেই ব্যাপারটা ঘটবে। পরিকল্পনা তেমন-ই। একটি রেস্টুরেন্টের ছাঁদ ভাড়া করেছে সে। পাভেল এবং জ্যোতি অপেক্ষা করছে। দীপশিখার ক্লাস শেষ হবার সময় হয়ে এসেছে। ঘড়ির ছোট কাঁটা চারটেতে পৌছাতেই সে ফোন করলো দীপশিখাকে। কিন্তু অপরপাশ থেকে শুনতে পেলো,
“কাঙ্খিত নম্বরটিতে সংযোগ প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না!”
.
.
.
চলবে......................................................................