!!২!!
‘চারুর জন্য ভালো একটা সম্মন্ধ আসছে ভাইজান। তুমি অনুমতি দিলে ওরা আগামী সপ্তাহে চারুকে দেখতে আসতে চায়।’ ভারিক্কি গলায় কথাগুলো বললেন সুলতানা। তারপর চোখেমুখে তীব্রতা রেখে তাকিয়ে রইল লোকমান রহমান এর দিকে। লোকমান রহমান বেশ গম্ভীর ভঙ্গিতে পায়ের উপর পা তুলে বসে আছেন। ছোটো বোনের কথাটি বেশ মনোযোগ দিয়েই শুনলেন উনি। এ-সময় লোকমান এর মা মরিয়ম আসলেন। ছেলে আর মেয়ের সামনে বসলেন তিনি। ছেলের মুখটা গম্ভীর দেখে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কি হইছে বাবা? তোর মুখটা এতো ভার লাগতাছে কেন?’
লোকমান সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিল না। খানিকক্ষণ পরে বললেন, ‘তোমার মেয়ে, আমার মেয়ের জন্য বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসছে। মা, তুমি ওকে বুঝাও, চারুর এখন বয়সীই বা কত? এতো তাড়াতাড়ি আমি ওর বিয়ে দেবো না।’
সুলতানা ভারী নিঃশ্বাস ফেলল। উনি জানতেন তার ভাই বিয়ের কথা শুনলে নাক ছিটকাবেন৷ অতি সহজে বিয়ের জন্য রাজি হবেন না কিছুতেই। কখন কি বলতে হবে? কি বললে তার ভাই বিয়েতে রাজি হবে সব কিছু মাথার মধ্যে সেট করা সুলতানা সবরকম ব্যবস্থা করে কোমর বেঁধে তবেই আসছে।
সুলতানা থতমত কণ্ঠে বললেন, ‘ভাইজান একটা বার আমার পুরো কথাটা শোনো এই বিয়ে হলে তোমারই লাভ হবে।’
বিয়ের সঙ্গে লাভ-লস এর কী সম্পর্ক? লোকমান ভ্রু কুঞ্চিত করলেন। তারপর জিজ্ঞেস করলেন, ‘কিসের লাভ?’
সুলতানা খানিকটা এগিয়ে এল। এ পর্যায়ে গলায় খানিকটা জোর দিয়ে বললেন, ‘পাত্র সাধারণ কেউ না, জেলা মন্ত্রী শাজান সিকদার এর বড় ছেলে আফনান সিকদার।’
লোকমান রহমান ভ্রু কুঁচকে তাকালো। জেলা মন্ত্রীর ছেলের বিয়ের প্রস্তাব আসছে তার মেয়ের জন্য বিষয়টি হজম করতে পারছেন না লোকমান। দেশে কি মেয়ের অভাব পড়ছে? চোখমুখ গম্ভীর রেখেই সুলতানার দিকে তাকালেন লোকমান। বড়ভাই তার কথা শুনতে ইন্টারেস্টেড দেখে খানিক নড়েচড়ে বসল সুলতানা। এইবার কথা বলে মজা পাবেন তিনি।
লোকমান জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমার মেয়েই কেন?’
সুলতানা হাসিহাসি মুখে বললেন, ‘মন্ত্রী শাজান সিকদারের বড় ছেলে আফনান সিকদার এর বড়ো মনে ধরেছে আমাদের চারুলতাকে। সে তাকে রাস্তায় দেখেছিল। তারপর খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে চারু তোমার মেয়ে। বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ঘটক পাঠায়। কিন্তু ঘটক মশাই তোমাকে ভীষণ ভয় পায় তাই সে বিষয়টা আমার সাথে শেয়ার করছে।’
লোকমান গম্ভীর ভঙ্গিতে মাথা নাড়ল। সুলতানা একটু থেমে দম নিলেন। তারপর আবারও বললেন, ‘একটু ভাবো ভাইজান, মন্ত্রীর ছেলের সঙ্গে চারুর বিয়ে হলে তুমি তখন আরও পাওয়ারফুল হবা। সব দিক থেকে তোমার লাভ আর লাভ।’
লোকমান রহমান দু'বার মাথা নাড়ল। বললেন, ‘ভেবে দেখব।’
ছোট্ট করে কথাটি বলে বসা থেকে উঠে দাঁড়াল লোকমান। ইউনিয়ন পরিষদে যেতে হবে তার। জরুরি প্রয়োজন। মায়ের থেকে বিদায় নিয়ে সদরদরজার দিকে এগিয়ে গেল। ঠিক তখনই তিনি দেখতে পেলেন তার মেয়েটা আসতেছে। তাই দাঁড়িয়ে গেলেন তিনি। লোকমান রহমান তার জীবনে দু'টো জিনিসকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন প্রথম তার মেয়ে আর দ্বিতীয় টাকা।
চারু তার বাবার সামনে দাঁড়িয়ে গেল। হাসিমুখে জিজ্ঞেস করল, ‘আব্বা এই দুপুরবেলা কোথায় যাচ্ছ?’
লোকমান রহমান মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, ‘এইতো একটু কাজে বাহিরে যাচ্ছি। তুই ভেতরে যা। ঘেমেটেমে কী অবস্থা হয়েছে। জলদি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে।’
চারু মাথা নাড়ল। তারপর হুট করে উঁচু গলায় চারু বলল,
‘আব্বা, আমার জন্য মজা নিয়ে আইসো।’
লোকমান রহমান হাসলেন। বললেন, ‘আচ্ছা আনবো।’
মেয়েটা তার ছোটো থেকে এমন। বাবাকে বাইরে যেতে দেখলেই বলে কিছু নিয়ে এসো। ভুল করে যদি কোনোদিন কিছু নিয়ে আসতে ভুলে যায়, তখন খুব রাগ করে।
সুলতানা তার মায়ের সঙ্গে তখনও ড্রয়িংরুমে বসে আছে। চারুকে দেখতে পেয়ে তিনি হাত জাগিয়ে বললেন, ‘চারু মা এইদিকে আয়।’
চারু এল। ও কাঁধ থেকে ব্যাগটা নামিয়ে সোফার উপরে রাখল। ফুপুর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘কিছু বলবা ফুপু?’
সুলতানা বললেন, ‘হ্যাঁ মা। কেমন আছিস?’
‘ভালো, তুমি?’
‘আমি আর ভালো থাকি কেমনে বল? তোর চিন্তায় যে আমার ঘুম আসে না। ভাবী মরার সময় তোকে আমার হাতে তুলে দিয়ে বলেছিল তোকে যেনো নিজের মেয়ের মতো দেখে রাখি। মাঝেমধ্যে তোর মায়ের কথা খুব মনে পড়ে।’
চারু, সুলতানার হাতটা তার হাতের মুঠোয় নিয়ে বলল, ‘মন খারাপ কোরো না ফুপু, মার জন্য দোআ করো। আল্লাহ যেনো আমার মাকে জান্নাত দান করেন।’
সুলতানা, চারুর মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, ‘সবসময় দোআ করি মা। এখন যা তো ফ্রেশ হয়ে আয়। আমি তোর জন্য খাবার বাড়ছি।’
চারু নিশ্চল পায়ে ওর রুমের দিকে চলে গেল।
মরিয়ম বললেন, ‘তোর ভাই চারুর বিয়ের জন্য কখনো রাজি হবে না। দেখিস না, মেয়েকে চোখে হারায় লোকমান।’
সুলতানা হাসল। বললেন,
‘ভাইজান রাজি হবে মা। তাকে তো রাজি হতেই হবে। ক্ষমতার লোভ সব সম্পর্ককে পায়ের তলায় পিষে ফেলতে সময় নেয় না। ভাই তার পজিশন বজায় রাখার জন্যই বিয়েতে রাজি হবে।’
মরিয়ম উৎকণ্ঠিত গলায় বললেন, ‘আমার মনটা এখনই কেমন অস্থির লাগতাছে। এই বিয়েতে একটা না একটা বিপদ নিশ্চিত হবে দেখিস।’
সুলতানা উঠে গেল। যেতে যেতে বললেন, ‘তুমি একটু বেশিই নেগেটিভ চিন্তাভাবনা করো মা।’
!!৩!!
চারিদিক অন্ধকার হতে শুরু করেছে। আশবিন দরজা খুলে ঘরে ঢুকল। দরজার পাশে সুইচবোর্ডে চাপ দিয়ে লাইট অন করল। তারপর ক্লান্ত শরীরটাকে টেনেটুনে নিয়ে গেল বিছানার উপর। তারপর ধপ করে শুয়ে পড়ল।
নিশানের কথাশুনে খেলতে রাজি হওয়া তার উচিত হয়নি। অনেকদিন পর ক্রিকেট খেলায় তার শরীরটায় প্রচণ্ড ব্যথা করছে। আশবিন ভ্রু উচু করল। একপলক দেয়াল ঘড়িটায় তাকিয়ে সময়টা দেখে নিল। ৭টা বেজে ৫০মিনিট। এই সময় চারু রোজ তার রুমের বারান্দায় আসে দাঁড়ায়। চারুর কথা ভাবতেই আশবিনের শরীরের সমস্ত ক্লান্তি নিমিষেই উধাও হয়ে গেল যেন। সে দ্রুত উঠে দাঁড়াল। তন্মধ্যেই ছুটে গেল বারান্দায়। চারুর বারান্দা ফাঁকা। রুমের মধ্যে আলো জ্বলছে। আশবিন অধীর হয়ে অপেক্ষা করতে লাগল চারুর আসার। বার বার ঠোঁট কামড়াতে লাগল। এতদূর থেকে উঁকি দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালালো। বিশ মিনিট পেরিয়ে গেল। চারু এল না। আশবিন হতাশাজনক শ্বাস ফেলল। তারপরও দশ মিনিট বারান্দায় বসে রইল সে। শরীর থেকে বিশ্রী একটা গন্ধ নাকে লাগছে। গোসল করতে হবে। আশবিন উঠে দাঁড়াল। রুমে এসে চলে গেল গোসলে।
চারুকে দেখতে না পাওয়ার আকাঙ্খা তার শরীর, মনকে অস্থির করে তুলেছে। শুধু একটা টাওয়াল কোমরে জড়িয়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে এল আশবিন। তারপর সেভাবেই বারান্দায় গেল। ভেজা চুল থেকে টপটপ করে পানি পরছে তার বলিষ্ঠ দেহটায়।
আশবিন আরেকটা তোয়ালে দিয়ে তার ভেজা চুল মুছতে লাগল। সে-সময় দেখল, চারুর বারান্দায় একটা নারীর অবয়ব। সাদা রঙের ফিনফিনে ওড়নাটা হাওয়ায় মৃদু উড়তেছে। চাঁদের আলোয় চারুকে অপরূপ সুন্দরী লাগছে। আশবিনের ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠল তার অজান্তেই। সে হাসতে লাগল গালভরে।
আশবিন বিড়বিড় করে বলল,
‘পূর্ণিমার চাঁদের মতন উজ্জ্বল মায়াবিনী,
আমার মনের রাণী।’
বারান্দার চেয়ারটায় বসল আশবিন। চেয়ারের পাশে ছোটো টি-টেবিলের ওপরে রাখা সিগারেটের প্যাকেটটা থেকে একটা সিগারেট বের করল আশবিন। তারপর দুই ঠোঁটের মাঝে রেখে ধরালো সিগারেটটা। চারু আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। আকাশে তাঁরা তেমন নেই। তবুও সেদিকে তাকিয়ে আছে চারু। চাঁদের সব চেয়ে কাছের তাঁরার দিকে একদৃষ্টিতে অনেকক্ষণ তাকিয়ে রইল চারু। চারু ছোটো থেকে ভাবতো চাঁদের পাশের তাঁরাটা ওর মা। ছোটো বেলায় ওর ম ওকে ছেড়ে গিয়ে আকাশের তাঁরা হয়ে গেছে। বাংলা সিনেমায় দেখেছিল একবার, নায়িকার মা মারা যায়। তারপর তার বাবা তাকে বলে ওর মা আকাশের তাঁরা হয়ে গেছে। সেই থেকে তাঁরা কে তার মা ভাবা শুরু হয়। তারপর রাত হলেই মায়ের সঙ্গে ভালো মন্দ সব কথা বলে মন হাল্কা করতো চারু। ধীরেধীরে যখন বড় হতে শুরু করল তখন বুঝল মানুষ মারা গিয়ে কখনোই আকাশের তাঁরা হয়ে যায় না। এটা নিছক গল্প। সত্যতা নেই বিন্দুমাত্র। তখন থেকে শুধু দু'টি চোখ দিয়ে তাঁরা টাকে দেখে মুখ ফুটে মনের কথা কিছুই বলে না। চারুর চোখ ছলছল করছে। সে তার মাকে কখনো দেখেনি৷ আজ খুব দেখতে ইচ্ছা করছে। কেন করছে? জানা নেই তার।
চারু আকাশের দিক থেকে চোখ নামিয়ে আশবিনের বারান্দার দিকে তাকাল। ঘন অন্ধকারের মধ্যে সিগারেট জ্বলার আগুন টুকু দেখতে পেল চারু। আশবিন ওখানে বসে সিগারেট ফুঁকছে বুঝতে বাকি রইল না।
চারু বিড়বিড় করে বলল,
‘গাধা কত সুন্দর ঠোঁটটাকে সিগারেট খেয়ে খেয়ে কাইল্লা বানিয়ে ফেলছে।’
আশবিন হঠাৎ উচ্চকিত কণ্ঠে বলল,
‘ঠোঁট সুন্দর হোক বা কালো তোমারই তো।’
চারু ভ্রু কুঁচকে ফেলল। এতদূর থেকে আশবিন তার কথা শুনলো কিভাবে নাকি আন্দাজে টোপ দিয়েছে? মানুষটার মতিগতি কিছুই বুঝতে পারে না চারু।
আশবিন বলল, ‘সুন্দরী তোমার লাইগা মনটা আমার আনচান আনচান করে। একা ঘরে তোমারে ছাড়া থাকতে কষ্ট হয় খুউব।’
চারু রাগান্বিত গলায় বলল,
‘আমি কিন্তু আব্বাকে সব বলে দিবো।’
আশবিন ঠাট্টার স্বরে বলল,
‘তোমার মেম্বার বাপে আমার কিচ্ছুই করতে পারবে না। যদি সত্যি কিছু করতে পারত তাহলে অনেক আগেই করত।’
চারু দাঁত কিড়মিড় করে রুমে চলে গেল।
আশবিন লম্বা হয়ে বসল। মাথার পেছনে দু'হাত রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে দুবার সিটি বাজিয়ে হঠাৎ বলল, ‘সুন্দরী তোমাকে জয় আমি করবোই। তোমার আমার গলাতেই ঝুলতে হবে।’
!!৪!!
সকাল অনেক হয়েছে। ঘড়িতে তখন আটটা বাজে। চারু ওর বাবার আগেই নাস্তা শেষ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল। বাড়ির মূল ফটকের সামনে আসতেই সিকিউরিটি গার্ড মৃদু গলায় বললেন, ‘শুভ সকাল চারু মা।’
চারু গেইট দিয়ে বের হতে হতে বলল, ‘গুড মর্নিং চাচা।’
চারু গেইটের বাইরে আসতেই দেখল আশবিন বেরুচ্ছে। আশবিনকে দেখামাত্র চারুর মুখ থেকে হাসিটা বিলীন হয়ে গেল। কাঠকাঠ গলায় জিজ্ঞেস করল, ‘এতো সকাল সকাল কোথায় যাচ্ছেন?’
‘তোমার সাথে কলেজে যাব।’
চারু দাঁড়িয়ে গেল। জিজ্ঞেস করল,
‘আমার কলেজে যাবেন কেন?’
‘তোমার পিছু করব। দেখব, রাস্তাঘাটে কোনো ছেলে তোমার পিছু করছে কি-না যে তোমাকে বিরক্ত করবে তাকে ওখানেই কেলাবো।’
চারু থমথমে গলায় বলল, ‘যে তাকাবে তাকেই মারবেন?’
আশবিন কপাট রাগ দেখিয়ে বলল, ‘হুম, আমি ছাড়া তোমার দিকে যে তাকাবে তাকেই মারব। প্রয়োজন হলে শালাকে বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গায় ফেলে আসবো।’
চারু ছোট্ট করে বলল, ‘এত সহজ মারপিট করা?’
‘আমার জন্য সবই সহজ।’
চারু মাথা নাড়ল। বলল,
‘উহু সব না।’
আশবিন ভ্রুযুগল কুঁচকে চারুর দিকে তাকিয়ে। গম্ভীর গলায় বলল, ‘সব না কেনো?’
‘আমার আব্বা আপনার সাথে আমার বিয়ে কিছুতেই দিবেন না।’
আশবিন খ্যাঁক করে উঠল। বলল,
‘দিবে দিবে আর আব্বাও ডাকবে।’
চারু উচ্চ গলায় বলল, ‘জি নাহ।’
আশবিন কিংকর্তব্যবিমুঢ় দাঁড়িয়ে গেল। চারুর দিকে তাকিয়ে হড়বড় করে বলল,
‘আমি তোমারে ঘটা করে প্রপোস করতে পারব না। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বিয়েও করতে পারব না। ভালোবাসলে বলো কাজী অফিসে যাই ঠাসঠুস বিয়ে করে চলে আসি। কিচ্ছা এনেই খতম।’
চারু নিশ্চুপ। কপালে চার ভাজ ফেলে আশবিনের দিকে তাকিয়ে চুপ করে রইল। মানুষ এভাবেও প্রপোজ করে? জানা ছিল না তার। তবে আশবিনের অকপটে বলা কথাগুলোর মাঝে অদ্ভুত কিছু একটা আছে। মনটা ধুকপুক করছে চারুর। ইচ্ছে করছে দুইহাতে মানুষটাকে জড়িয়ে ধরতে। কিন্তু সে তা করতে পারল না। মাথা নিচু করে হেঁটে চলে গেল।
·
·
·
চলবে........................................................................