কামিনী - পর্ব ২৬ - মম সাহা - ধারাবাহিক গল্প


          মশালের ক্ষীণ আলো ধিক্ ধিক্ জ্বলছে। বাতাসের তালে তালে কাঁপছে খানিক আগুনের মিহি ফুলকিটা। রানির কক্ষ থেকে ভেসে আসছে অসহনীয় চিৎকার আর সপাটে পড়া চাবুকের শব্দ। দূর থেকে শুনলে যে কারো গা কাঁপবে। অন্তর ভীত হবে এই ভেবে যে, এমন নৃশংস ভাবেও কেউ কাউকে আঘাত করতে পারে? 
অথচ এই আঘাতটি কেউ কাউকে করছে না। বরং স্বয়ং রানি কামিনীকাঞ্চন নিজেই নিজেকে করছেন। 
রানির কক্ষের বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে যামিনী। তার পাশেই দাঁড়ানো হ্যাব্রো, ফ্রেয়া। প্রহরীরা নেই আজ দুয়ারে। রানির নির্দেশেই তারা বৈঠক খানায় অবস্থান করছে। দূর দূরে দাঁড়িয়ে আছে বেশ ক'জন দাস-দাসী। অন্তর আত্মা কাঁপছে তাদের। রানির আজকের আঘাত বিগত বছরগুলোর চেয়েও ভয়ঙ্কর আর হিংস্র তা বেশ আঁচ করা যাচ্ছে। 

 এই আর্তনাদ যুক্ত আবহাওয়ায় হনহনিয়ে আগমন হলো হেমলকের। ছুটেই এলেন লোকটা। চোখে-মুখে অতি আশ্চর্য ও চিন্তিত ভাব। এসে দাঁড়ালেন রানির কক্ষের সামনে। কারণ তিনি তখনো রানির এই বিভৎস রকমের শাস্তি সম্পর্কে অবগত নয়। ব্যস্ত ও কৌতুহলী স্বরে হ্যাব্রোকেই জিজ্ঞেস করলেন, 
“কে কাকে আঘাত করছে এমন ভাবে? কী হয়েছে? কোনো সমস্যা? এমন করে চিৎকার করছেন কে? রানি না? উনারই তো কণ্ঠস্বর।”

হ্যাব্রোর মুখে ব্যথার ছাপ। সহজে হ্যাব্রোর এই মলিন মুখ দেখা যায় না। রানি কামিনীকাঞ্চনের একান্ত ব্যক্তিগত লোক বলে হয়তো সে-ও বেশ কঠিন। কিন্তু আজকের চিত্র ভিন্ন। আজ কঠিন সেনাপতির মুখ নরম, মোলায়েম। নিগুঢ় অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে চোখে-মুখে। 

 “হ্যাঁ, রানিই নিজে নিজেকে আঘাত করছেন।”
কথাটা ঠিক শুনলো কি-না তা নিয়ে সংশয় জন্মালো হেমলকের মনে। ভ্রু দু'টি তার কুঁচকে এলো আপনা-আপনি। বুঝার ভুল ভেবে আবার বললেন, “কী? কে কাকে আঘাত করছেন?”

হ্যাব্রো যন্ত্রের মতন আবারও উত্তর দিলো, “রানি নিজে নিজেকে আঘাত করছেন।”

হেমলক এবার অতি বিস্ময়ে হা হয়ে গেলেন। যে-রকম ভয়ঙ্কর শব্দ আসছে তাতে বেশ বুঝা যাচ্ছে আঘাতটা কী পরিমাণের হচ্ছে! আর একটা মানুষ কি-না নিজে নিজেকে এতটা অত্যাচার করছেন? কীভাবে পারছেন?
হেমলকের গায়ের রক্ত হিম হয়ে ওঠে। 
 “কেন? কী কারণে রানি নিজেকে এমন শাস্তি দিচ্ছেন? আপনারা আটকাচ্ছেন না কেন?”

হেমলকের চোখ এবার কেবল হ্যাব্রো নয়, ঘুরে বেড়ালো যামিনীর দিকে। যার অর্থ তার প্রশ্নটি যামিনীর জন্যও। 
যামিনী সেই দৃষ্টির ভাষা বুঝল। বলল, “সখী কেন এমন করছে জানি না। ও হুটহাট এটা করে। নিজেকে নিজে কীসের শাস্তি যেন দেয়! কেউ তখন সে বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। সখীর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আছে। এই সময় তার কক্ষে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকে।”

রানি কামিনীকাঞ্চন হেমলকের কাছে বরাবরই রহস্যময় চরিত্র। কিন্তু তাই বলে এতটা রহস্য, এতটা অদ্ভুত হবেন তা যেন হেমলক ভাবতেই পারেনি। কিন্তু একজন মানুষ নিজেকে তো আর এমনি এমনি এতটা কষ্ট দিচ্ছেন না। কোনো না কোনো কারণেই দিচ্ছেন। সেটা তো আর এখানে দাঁড়িয়ে থেকে জানা যাবে না। তাছাড়া এমন নির্মমতা চুপ করে দাঁড়িয়ে মানাও তো যায় না! মানুষ হিসেবে বিবেকের কাছে তখন প্রশ্ন থেকে যাবে। 
হেমলক ভেতরে প্রবেশ করার জন্য উদ্যোত হতেই আটকায় হ্যাব্রো, “যাবেন না ভেতরে। রানি আরও রেগে যাবেন। উনি না বলা অব্দি ভেতরে প্রবেশ সম্ভব নয়।”

হেমলক রেগে গেলো এবার। হ্যাব্রোকে তো সে যথেষ্ট বুদ্ধিমান ভেবেছিল সাথে রানির একনিষ্ঠ ভক্ত। তাই বলে এতটাই একনিষ্ঠ হবে যে রানিকে কষ্ট পেতে দেখেও আদেশের অবজ্ঞা করবে না? এ আবার কেমন ভক্তি হলো? 
খ্যাপে গেলো হেমলক। বলল, “কেন সম্ভব নয় ভেতরে প্রবেশ? আমার পায়ে কোনো শিকল নেয় যা আমাকে আটকাবে।”

“রানির নির্দেশ অমান্য করতে পারবেন না।”

হ্যাব্রো নিচু স্বরেই বলল কথাটি। কণ্ঠে বিশেষ জোর নেই। হেমলক তার বুকের সামনে থাকা হ্যাব্রোর হাতটি সরিয়ে ফেলল, 
 “এত নির্দেশ মেনে কী হবে যদি বিবেক ঘুমিয়ে যায়? একটা মানুষ, যিনি আপনাদের রাজ্যের রানি, তিনি নিজেকে এমন বাজে ভাবে ক্ষত-বিক্ষত করছেন অথচ আপনারা তা চুপচাপ দেখে গিয়ে নির্দেশ পালন করছেন? এটা আপনাদের ভক্তি? যার প্রতি ভক্তি, তার যন্ত্রণাই যদি আপনাদের ছুঁতে না পারল তাহলে এমন ভক্তিকে শ্মশানে শুইয়ে দিন। লোক দেখানো ভক্তি দিয়ে আদৌ লাভ আছে? রানি যদি নির্দেশ অমান্য করায় কোনো শাস্তি দেন তা আমি মাথা পেতে নিবো। আপনি ভাববেন না, ভয়ও পাবেন না। সরুন।”

কথা শেষ করে হেমলক আর হ্যাব্রোর সরার অপেক্ষা করল না। হনহনিয়ে চলে গেলো কক্ষের ভেতরে। হ্যাব্রো যে বিশেষ বাঁধা দিয়েছে তেমনটা নয়। সে-ও হয়তো চেয়েছে, কেউ একটা রানির ব্যথা বুঝুক। জোর করে হলেও এই শাস্তি আটকে দিক। সে নিজেই তো চেয়েছে কতবার রানিকে একটু আটকাতে। এই শাস্তি শাস্তি বিষয়টাকে আটকে দিতে। কিন্তু পারেনি। সব সম্পর্কের যে একটি নির্দিষ্ট গণ্ডি থেকে যায়। মানুষ চাইলেও কি আর সেই সীমানা ছেড়ে বের হতে পারে? পারে না। সে-ও তাই পারেনি। হেমলক পিয়ার্স যদি সেই সীমানা ভাঙতে পারে, তবে ভাঙুক। সবশেষে রানির ভালোটাই যে চাওয়া। সেই ভালোর জন্য না হয় একটু আধটু নিয়ম, অনিয়ম হোক।

ঘরের আলো সীমিত। চাবুকের আরেকটি তীব্র আঘাত রানি পিঠ জুড়ে পেতে নিতে চাইলেও একটি বলিষ্ঠ হাত তা থামিয়ে দিলো। নেশায় ঘোরগ্রস্ত রানির কাছে এই ঘটনা নতুন এবং অবিশ্বাস্যকর। তার আদেশ অমান্য করে কেউ তার কক্ষে প্রবেশ করবে এবং শুধু তা-ই নয়, তার প্রহার আটকাবে, এমন কেই রাজপ্রাসাদে আছে? 
রানির চোখের ভেতরটা হলদে ও লালের মিশেলে রং তৈরি করেছে। জ্বলজ্বল করছে চোখগুলো। চুলগুলো এলোমেলো, অগোছালো। নেশায় আবিষ্ট থাকলেও পুরোপুরি জ্ঞান হারাননি। 
বিস্ময় নিয়ে তাকাতেই তার চোখে ভেসে উঠল হেমলকের সুপুরুষ, সুন্দর মুখটি। ধবধবে সাদা গায়ের চামড়ায় নীল চোখ গুলো যেন কবিতার মতন সুন্দর। 
 রানির ঘোর মোহে রূপ নিলো। তিনি রাগার বদলে মুগ্ধ হলেন। মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে মোহগ্রস্তের মতন বললেন,
“আপনি এখানে?”

হেমলক এগিয়ে এলো। রানির হাত থেকে চাবুকটা কেঁড়ে নিলো আলগোছে। রানির শরীর থরথর কাঁপছে হয়তো তীব্র যন্ত্রণায়। সে আগলে নিলো রানির শরীরটা। দু'হাতে এমন করে আগলে নিলো যেন ঝড়ে কাঁপতে থাকা শিশু পাখিটিকে তার মা ঢেকে নিয়েছে নিজের ডানায়। 
 “আপনি, আপনি কেন কক্ষে এসেছেন? কক্ষে প্রবেশ করা নিষেধ ছিলো। জানতেন না?”
কথা জড়িয়ে আসতে লাগলো রানির। হেমলক সেই কথায় ধ্যান দিলো না বরং যত্নের সাথে গুছিয়ে দিলো রানির চুলগুলো। শরীরটা গরম হয়ে আসছে মেয়েটার। হেমলক চিন্তিত হলো। বেশ চিন্তামগ্ন কণ্ঠে বলল,
“তোমার শরীরের তাপ বাড়ছে, সম্রাজ্ঞী। তাড়াতাড়ি পালঙ্কে চলো।”

রানি হেমলকের হাত সরানোর চেষ্টা করলেন। শরীরের জোরমাত্র নেই তার। হেমলকের শক্ত, বলিষ্ঠ শক্তির কাছে তিনি তখন নেহাৎ দরিদ্র শক্তির নারী। কিন্তু কণ্ঠের তেজ পূর্বের মতনই। 
“ধরছেন কেন আমাকে? অনুমতি ব্যতীত নারীর গায়ে হাত দেওয়ার সাহস কীভাবে হলো আপনার?”

হেমলক তাকালো এক পলক। তপ্ত শ্বাস বেরিয়ে এলে তার বুক চিরে। ব্যস্ত কণ্ঠে বলল, “আমি তোমায় একটু স্পর্শ করছি। ক্ষমা করো দোষটি।” কথাটি বলেই তৎক্ষণাৎ সে রানিকে কোলে তুলে নিলো। রানি হাঁক ছাড়লেন। ডাকলেন সেনাপতি, প্রহরীকে। কিন্তু কেউ এলো না। 
 হেমলক জোর করে রানিকে শুইয়ে দিলো বিছানায়। চেপে ধরল রানির মুখ। তীব্র অধিকারবোধে মোড়ানো কণ্ঠে শাসিয়ে বলল,
“চুপ করে ঘুমোও। একটুও নড়চড় করবে না। একদম চুপ।”

এই শাসনে নেশাগ্রস্ত রানি খ্যাপে উঠলেন, “তোমায় হত্যা করব আমি। গর্দান নিবো।”

“নিও। মাথাটা পেতে রাখবো তোমার তলোয়ারের সামনে। কিন্তু এখন তুমি বিশ্রাম নিবে।”

রানির শরীরে আর জোর ছিলো না তর্কবিতর্কের। নেশার ঘোরে সম্বোধনেও ভুল করলেন। ব্যথায় জর্জরিত শরীর ক্লান্তিতে নুইয়ে পড়ল। কণ্ঠ হলো ধীর। অস্ফুটস্বরে বললেন, “যার ব্যথা কেউ বুঝেনি, তুমি বুঝবে কেন? বুঝো না। আমাকে কেউ বুঝুক আমি চাই না। চাই না।”
বিরবির করে থেমে গেল কণ্ঠস্বর। মুহূর্তেই গভীর নিদ্রায় শায়িত হলেন তিনি। 

ঘুমন্ত রানির মুখটির দিকে তাকিয়ে রইল হেমলক। তার চোখে কিছু একটার ছাপ ছিলো। কিন্তু বুঝবার উপায় নেই কীসের ছাপ। মায়া, স্নেহ, অনুরাগ না ক্ষোভ তা কেউই ধরতে পারবে না বোধকরি। 

রানি নিদ্রায় নিমগ্ন হতেই হেমলক হনহনিয়ে বেরিয়ে এলেন কক্ষ ছেড়ে। তখনও হ্যাব্রো দাঁড়ানো কপাটের সামনে। পেছনটায় ফ্রেয়া ও যামিনী। হেমলক হ্যাব্রোর দিকে তাকিয়ে গম্ভীর স্বরে বলল, “রানির শরীরে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। প্রলেপ লাগানোর ব্যবস্থা করুন।”

হ্যাব্রো সঙ্গে সঙ্গে ফ্রেয়াকে নির্দেশ করল। যামিনী এবার সাহস করে সখীর কক্ষে ছুটে গেলো। ফ্রেয়াও চলে গেলো বৈদ্যর বানানো জড়িবুটি আনতে। উপস্থিত রইল কেবল দু'জন। রানির পরম শুভাকাঙ্ক্ষী সেনাপতি এবং রানির শত্রুজ। অথচ দু'জনের মনে একই অনুভূতি হয়তো তখন খেলা করছে। রানির প্রতি অধিক থেকে অধিক পরিমাণের স্নেহ ও মায়া।

 ৪১…

ব্যথায় জর্জরিত শরীর নিয়ে রানি যখন উঠলেন তখন দুপুর হয়তো। রোদের তাপ এসে চোখে-মুখে লাগার ফলেই রানির নিদ্রায় ব্যাঘাত ঘটেছে। চোখ টেনে মেলতেই সামনে আবছায়া কারো অবয়ব দর্শন করলেন। মাথাটায় অনুভব করলেন তীব্র ভার। বার বার পলক ফেলে চোখের সামনের দৃশ্য স্পষ্ট করার চেষ্টা করলেন। এবং সফলও হলেন। সামনের অবয়বটি দৃশ্যমান হতেই দেখলেন দাঁড়িয়ে আছে হেমলক। বিরাট জানালার সামনেটায়। উল্টোদিকে মুখ করা। বাহিরের দৃশ্য দেখছে এক মনে। 
 রানি উঠে বসলেন নিঃশব্দে। বসতেই হেমলকের কণ্ঠ ভেসে এলো,
“নিজেকে এত আঘাত করে কার ক্ষোভ মেটাও?”

রানি মাথা চেপে বসলেন। হেমলকের এই আধিপত্য তাকে দিগভ্রান্ত করছে। 
 “নিজেকে আঘাত করে বোকারা। তুমি তো বোকা নও।”

হেমলকের দ্বিতীয় বাক্যটিও রানির কর্ণগোচর হলো কিন্তু কিছু বললেন না তিনি। 
এবার হেমলক ঘুরে দাঁড়ালো। সরাসরি তাকালো রানির মুখটার দিকে। তীর্যক নয়নে তাকিয়ে, তাচ্ছিল্য করে বলল,
“ভাগ্যকে প্রহার করতে পারো না বলেই কি নিজেকে প্রহার করো?”

 রানি এবার খ্যাপে উঠলেন। লাফিয়ে নামলেন বিছানা থেকে। বিছানার পাশ থেকে তলোয়ার নিয়ে অভিজ্ঞ ভঙ্গিতে ঘুরিয়ে একদম হেমলকের গলার সাথে লাগিয়ে ফেললেন। আর এক বিন্দু নড়চড় হলেই কেটে যেতে চামড়া। অথচ হেমলক মোটেও ঘাবড়ালো না। তলোয়ার গলায় কাছটায় থাকা সত্বেও সে হাসলো চাপা হাসি। 
যে হাসি বিভ্রান্ত করল রানিকে। কিন্তু তিনি তলোয়ার সরালেন না। গম্ভীর কণ্ঠে বললেন, 
“আমার অনুমতি ব্যতীত আমার ঘরে প্রবেশ করার জন্য ঘাড় হতে মাথাটা আলাদা করে ফেলি? তার উপর আমার রাজ্যে দাঁড়িয়ে আমার উপর প্রশ্ন ছোড়ার জন্য মাটিতে পুঁতে ফেলতে পারি আপনাকে, জানেন?”

 “জানি। এবং জেনেও আমি প্রশ্ন করছি— নিজেকে কষ্ট দাও কেন? কোন রাগে?”
অটল হেমলকের একরোখা প্রশ্নে রানি নিজের চোখ সরিয়ে নিলেন। তলোয়ারটাও ঢিলে করলেন। 
“আমি জবাব দিতে বাধ্য নই। আর না আপনি আমার তেমন কেউ হোন, যাকে উত্তর দিতে হবে।”

 হেমলক তা-ও হাসল। বেনামি বাতাসে রানির কপালে আসা চুলের গুচ্ছকে সরিয়ে দিতে দিতে বলল, “কেমন কেউ হলে উত্তর দিবে বলো? কাছের কেউ না-কি পাশের কেউ?”

রানি সরে গেলেন। তলোয়ারও নামিয়ে ফেললেন। কোনো পুরুষের এমন নিকটে, এমন আহ্লাদে তিনি ছিলেন না বলেই ভ্যাবাচেকা খাচ্ছেন হেমলকের আচরণে। বিভ্রান্ত ও বিব্রত হচ্ছেন। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। 
তখনই কপাটের সামনে থেকে ভেসে এলো হ্যাব্রোর কণ্ঠস্বর। বেশ উঁচু স্বরে বলল,
“রানি, আপনি যে বাচ্চাটির শেষ কার্য সম্পাদন করেছেন তার পিতামাতা এসে উপস্থিত হয়েছেন। তারা খুবই ক্ষুব্ধ আপনার উপর। একটু আসতে হবে।”
·
·
·
চলবে...................................................................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

WhatsApp