প্রেমদাহ - পর্ব ০৪ - মীরাতুল নিহা - ধারাবাহিক গল্প

          ইদানীং সুমনার খুব পানি পিপাসা লাগে। ঘরে এক ফোঁটাও পানি নেই। ইচ্ছে ও হলো না, ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়ে পানি খেতে। যেন এই ঘরটার মধ্যেই নিজেকে বন্দী করে ফেলেছে! বিশেষ দরকার ছাড়া বের হতেও ইচ্ছে করে না আজকাল। বন্দী জীবনটার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে। হুট করেই মুক্তা আসলো রুমে। মুক্তাকে দেখে সুমনা অবাকই হয়! 

“কি'রে আমার কাছে আসলি?” 
“আব্বু তোকে ডাকছে আপু!” 

কথাটা শুনে সুমনা বড় করে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। যা ভেবেছে তাই। ইদানীং মুক্তাটাও দরকার ছাড়া আসেইনা তার কাছে। অথচ আগে কেমন আপা আপা করে চিল্লানি দিতো। সময় অসময়ে হাজির হতো, লুডু খেলার আবদার নিয়ে! মুক্তা চলে যাচ্ছিল তখনই সুমনা ডাক দিয়ে দাঁড় করায়।

“কিছু বলবি আপু?”
“তুই আমাকে ঘৃনা করিস মুক্তা?” 

সুমনার কথা শুনে কপালে ভাঁজ পড়ে মুক্তার! হকচকিয়ে যায় এরকম একটা প্রশ্ন শুনে। মন কৌতুহল নিয়ে শুধোয়,

“এটা কি কথা?” 

সুমনা অভিমানী কন্ঠে ফের শুধোয়,

“তাহলে আমার কাছে আসিস না কেনো?” 

মুক্তা চুপ হয়ে যায়। একদিন দাদী যে তাকে বকেছে, বলেছে সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে। মুক্তাও নাকি তেমন হয়ে যাবে। মা'কে বলছিলো, সেও নাকি বড়টার মতন কোনোদিন ভাতার ধরে পালিয়ে যাবে। সেজন্যই বড়টার সাথে তার এত সখ্যতা! ব্যস তারপর থেকেই মুক্তা সুমনার সাথে নীরবে দুরত্ব এটে দিয়েছে। 

“সামনে পরীক্ষা, পড়ালেখার খুব চাপ। সেজন্য তেমন সময় করে উঠতে পারি না আপু।”

মুক্তা মিথ্যা বলতে পারে না তেমন। মিথ্যে বলার জন্য অভিজ্ঞতা থাকা লাগে যেটা মুক্তার একদমই নেই। এবং এই কথাটাও যে মুক্তা মিথ্যাই বললো সেটা বুঝতে দেরি হলো না সুমনার। তবুও কিছু বললো না। 

“যা, যেখানে যাচ্ছিলি যা।”

মুক্তা ফ্যালফ্যাল করে সুমনার দিকে তাকিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। কিছুই বুঝতে পারলো না যেন। সেটা তার চেহারা দেখেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। তবে সুমনা বুঝলো অনেক কিছুই। একজনের সাথে সম্পর্কে আঁটকা পড়তে গিয়ে কখন যে সে সবার থেকে আলাদা হয়ে গেলো, সেটা বেশ ভালোভাবেই টের পেলো এবার। পানি না খেলে চলছেই না। খাট থেকে নেমে গেলো পানি খেতে। গিয়েই দেখে মা বাবা সহ দাদী, তিনজনে বসে আছে। সবার হাতেই চায়ের কাপ। বোধহয় চা খেতে খেতে গল্প গুজব করছিলো। এক সময়ে এরকম চায়ের আসর মাতিয়ে রাখতো সুমনা, পরিস্থিতি ভেদে আজকে সেখানে তার দেখাও নেই! সুমনা আস্তে করে গিয়ে এক গ্লাস পানি এক চুমুকে খেয়ে নিলো। খানিকটা ক্ষিদেও লাগলো যেন। পানি খাওয়াতে পেটটা অবশ্য ভরে গিয়েছে। তাতেই চলবে মনে করে সুমনা চলে যাচ্ছিলো তখনি কানে আসে তার বাবার ডাক,

“সুমনা?” 

সুমনা থমকে দাঁড়ায়। ভাবতে থাকে হুট করে বাবার ডাক? এখন তো কেউ তাকে প্রয়োজন ব্যতীত ডাকেও না! মাথা নিচু করে উত্তর করলো,

“বলো আব্বু।” 

সুমন রহমান চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে বললো,

“তোর কলেজ থেকে কল এসেছিলো। অনেক মাস ধরে অনুপস্থিত। সামনে পরীক্ষা, উনারা হয়ত শিউর হতে চাইছিলেন। বকেয়া ফি এসব আছে।”

সুমনা নিশ্চুপ রইলো নত মস্তকে। তা দেখে সুমন রহমান ফের বলে উঠলো,

“তাহলে কি ধরে নেব? পড়াশোনা করছিস, না-কি না!” 

সুমনা এবারো নিশ্চুপ! সেটার সুযোগ নিয়ে তার মা বলে উঠলো,

“সুমনা মা আমার? তুই পড়ালেখা শুরু কর। ওই ছেলেরে ডির্ভোস দিয়া দে। পড়ালেখা করতে থাক। দেখবি তোর আরো ভালো জায়গায় বিয়া হইব। আচ্ছা মা, তুই বিয়া না করিস অন্তত পড়ালেখা কর?” 

সুমনা আগের ন্যায়ই মাথা নিচু করে উত্তর করলো,

“না মা, আমি আর পড়ালেখাও করতে চাই না!” 

আশাহত হলেন হাফসা বেগম। চোখ দুটি নামিয়ে ফেললেন। সুমন রহমানও কেমন নির্জীব দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন। কারো মুখে কোনো কথা নেই। সুমনা নিজের মতন চলে যাচ্ছিলো তখনি দাদী বলে উঠে,

“ওই মাইয়া কান্দস ক্যান খালি খালি? তোর মাইয়া তোর চক্ষের পানির দাম দেয়? দেয় না তো! কাইন্দা লাভ নাই। আমার পোলায় এত টেকা পয়সা খরচ কইরা মানুষ করছে এসব দেখনের লাইগা! এর চেয়ে যদি সুমন নিঃসন্তান থাকতো! তাও শুকুর আছিলো! আল্লাহ কেন যে আমার পোলারে এরকম সন্তান দিছে!”

সুমনা আর সহ্য করতে পারলো না। দ্রুত পায়ে সেখান থেকে চলে গেলো। রুমে গিয়েই হুহু করে কেঁদে উঠলো। চোখের পানি আর বাঁধ মানলো না! দাদীকে তখন খুব করে বলতে ইচ্ছে হচ্ছিলো, তার স্বামীর অঢেল টাকা পয়স হয়তো নেই কিন্তু রাজ তাকে সুখের চাদরে মুড়িয়ে রেখেছে। সুমনা কেনো প্রতিটা মেয়ে যে-রকম পুরুষ চায়, বাবার পর তাদের জীবনে রাজও ঠিক তেমনি। এই যে রাজের বাড়িতে সুমনাদের মতন এসি না থাকলেও, কারেন্ট চলে গেলে গরমে কষ্ট হবে ভেবে রাজ রাত জেগে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করে দিতো। যতদিন ওই বাড়িতে ছিলো দু-জনে একসাথে খাবার খেতো, সুমনা রান্নাঘরে গেলে রাজ পিছু পিছু বসে থাকতো। যত্ন সহকারে সুমনার কপালের ঘাম মুছিয়ে দিতো। এত যত্ন সুমনা কই পেতো আর? তকর পরিবারের কাছে টাকাই সব। যদি রাজের দোতলা বাড়ি, ভালো বেতনের চাকনি হতো, অঢেল টাকা হতো তাহলে হয়ত এত কথা সুমনাকে শুনতে হতো না। কেউ হয়ত বলতো না রাজকে ছাড়ার কথা! টাকা নেই বলে সবাই ভাবছে সুমনা সুখী হতে পারবে না। কেউ রাজকে মেনে নিচ্ছেই না! অথচ এসব টাকা পয়সা বাদেই সুমনা সুখী। এটা সে কাকে বোঝাবে? সমাজের অধিকাংশ লোকের কাছেই যে সুখে থাকার মানে বড় একটা কারণ হলো টাকা!
এতকিছুর পরও সে রাজকে কীভাবে ছাড়বে? তার চেয়ে বড় কথা, তার নিজের ভেতরে যে ছোট্ট প্রাণ আছে তাকেই বা কীভাবে নষ্ট করবে সে? এসব সুমনার দ্বারা কক্ষনোই হবে না! আবার বাস্তব দিক দেখতে গেলে সে সত্যিই তার বাবা মা'য়ের মনে কষ্ট দিয়ে বসে আছে। সব মিলিয়ে সুমনা একটা ঘোরের মধ্যে আছে। এক মুহুর্তের জন্য তার মনে হলো এখানে না থাকাই উচিত! যেই ভাবা সেই কাজ মতন, রাজকে কল করলো। পরপর দু তিন বার রিং হতেই রাজ ফোন ধরলো,

“হ্যাঁ বউ, বলো?” 
“তুমি কালকের মধ্যে এখানে এসে আমাকে নিয়ে যাবে। কালকে বলেছি কথাটা যেন কালকের মধ্যেই থাকে! নড়চড় যেন না হয়।” 

আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে সুমনা ঠাস করে কল কেটে দেয়। ওদিকে রাজের চোখেমুখে তখন বিস্ময়! বিছানা থেকে উঠে বসলো। কয়েকবার সুমনার নাম্বারেও কল দিলো, কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ আসলো না! সুমনা জানে সে রাজকে যা বলেছে তাই হবে। এটুকু ভরসা তার রাজকে নিয়ে আছে।

—————

সকাল সকাল ব্যস্ত হাতে রুটি বেলছেন হাফসা বেগম। পাশেই মুক্তা আলুভাজি করছে। রান্নাবান্নায় যে সে তেমন দক্ষ না, সেটা মুক্তার কাজ কর্মেই প্রকাশ পাচ্ছে! আগে এই দায়িত্বে ছিলো সুমনা। একেক দিন একেক পদের নাস্তা বানাতো। শ্বশুড়বাড়ি থেকে আমার পর সব রকম দায়িত্ব সব কাজ থেকে যেন সে অব্যাহতি নিয়েছে। সুমনা ভেতরে গিয়ে দাঁড়ায়। মায়ের পেছনে দাঁড়িয়ে আমতা আমতা করে বলে,

“মা, একটু পর রাজ আসবে।” 

হাফসা বেগম মেয়ের দিকে না তাকিয়েই উত্তর দেয়,

“তাতে আমি কি করবো?” 

সুমনা বেশ অবাক হয়, মায়ের এরকম খাপছাড়া কথাবার্তায়! বিয়েটা যেমনই হউক, রাজ আপাততো এই বাড়ির জামাই। আগে কখনো আসেনি। এবারই প্রথম। অন্তত মেহমান হিসেবে হলেও একটু ভালো মন্দের রান্নার আয়োজন যেন করা হয়, মূলত এটুকু জানানোর জন্যই মা'কে বলা। আর যাই হউক, প্রথমবার শ্বশুড়বাড়িতে এসে ডাল ভাত দিয়ে ভাত খেলে সেটা সুমনারই অপমান। 

“মা, রাজ আমাকে নিতে আসবে!” 
“চলে যাবি তাহলে!” 
“হ্যাঁ।” 

হাফসা বেগম ঘুরে তাকালেন, মেয়ের দিকে অবাক নয়নে তাকিয়ে বলে,

“মা'কে ছেড়ে চলেই যাবি!” 

মায়ের আকুল ভরা কন্ঠে সুমনা নরম হয়ে পড়ে। চোখের কোনে পানি এসে জমা হয়! কাঁপা কাঁপা কন্ঠেই বলে,

“হ্যাঁ, মা। চলেই যাবো। তোমাদের মুক্ত করে দিয়ে যাবো!” 

আর দাঁড়ায় না সুমনা। আবারো নিজের রুমের মধ্যে নিজেকে বন্দী করে নিলো। এরই মধ্যে বাটন ফোনটা কেঁপে কেঁপে উঠছে। বোধহয় রাজ কল করেছে। রাজ ছাড়া সুমনাকে কল করারও কেউ নেই। সুমনা ফোনটা কানে তুলতেই শুনতে পায়,

“আমি তোমার কথামতন, ঠিকানায় এসে গেছি।” 
“সেখান থেকে সিএনজি করে নতুন পাড়ায় এসে নামবে। তারপর রিক্সা ধরবে।” 
“সে না হয় ধরব! কিন্তু কি হয়েছে সুমনা? আমাকে কি কারণ বলা যায় না? কেনো এত আর্জেন্ট ডেকেছো!” 

রাজের কথায় সুমনা কিছুটা রাগ দেখিয়েই বলে,

“কেনো বউয়ের কাছে আসতে বাঁধা না-কি?” 
“আরে ভুল বুঝছে কেনো!” 
“কোনো ভুল বুঝাবুঝি নেই। দ্রুত চলে আসো।” 

ফোন কেটে দেয় সুমনা। সকাল থেকে মনটা খারাপ হয়ে আছে। কিছু খেতেও ইচ্ছে করছে না। কই মা তো আগের মতন নাস্তার প্লেট নিয়ে আসলো না। একবার ডাকলোও না খেতে। মুক্তাটাও তো আসেনি। কেউই আসেনি! কারো কি এটাও মনে নেই যে সুমনার সাথে আরেকজন আছে? সবাই এভাবে ভুলে গেলো তাকে! এসব ভাবতে ভাবতে সবার প্রতিই অভিমান এসে জমা হলো বুকের ভিতর। কয়েক প্রহর এভাবে যাওয়ার পর, দরজার আওয়াজ শুনে শোয়া থেকে উঠে বসে। তাকিয়ে দেখে সামনে মা দাঁড়িয়ে আছে। একটু আগে যে মা মেয়ের যাওয়ার কথা শুনে কেঁদে কেটে অস্থির কয়ে উঠছিলো, সেই মায়ের মুখটা এখন কেমন শক্তপোক্ত লাগছে। এসেই সুমনাকে জিগ্যেস করলো,

“আজকেই চলে যাবি? না-কি থাকবি!” 

সুমনা মিনমিন করে উত্তর করে,

“আজকে সন্ধ্যা বেলায়ই চলে যাবো, মা।” 

হাফসা বেগম চলে যায়। সুমনা জানালার ধারে বসে থাকে। কেমন উদাস দৃষ্টিতে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে। যেন কোনো ঘোরের মধ্যে ডুব দিয়েছে। সেই ঘোর ভাঙে দরজায় কলিং বেল এর আওয়াজ শুনে। তৎক্ষনাৎ দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলতেই দেখে তার সামনে কালো রঙের পাঞ্জাবী পড়া, রাজ দাঁড়িয়ে আছে। দু হাতে মিষ্টির কার্টুন। মুখ ভর্তি চাপদাড়ি! দাঁড়ি গুলো কাটলে রাজকে আরো সুন্দর লাগতো। এমনিতেও শ্যামলা গায়ে কালো পাঞ্জাবী তে বেশ মন্দ লাগছে না! সুমনা হাত থেকে সেগুলো রাখলো। সামনেই সোফাতে বসে ছিলেন দিলরুবা সহ হাফসা বেগম। সুমনা রাজকে পরিচয় করিয়ে দিতেই রাজ সবাইকে সালাম করে,

“আসসালা মুআলাইকুম। কেমন আছেন?” 

হাফসা বেগম চুপ করেই রইলো। দিলরুবা বেগম বড়বড় চোখ করে উত্তর করে,

“ভালা না থাকলে কি, তোর লাইগা বইয়া থাকতাম?” 

উত্তর শুনে রাজ থতমত খেয়ে যায়। সুমনা অবাক হয় না, সে জানতো তার দাদী এরকমই কিছু একটা বলবেন। বাড়িতে বাবা তখনও আসেনি। মুক্তাও স্কুলে। সুমনা আর কথা না বাড়িয়ে রাজকে তার রুমের ভেতর চলে গেলো। যদিও রাজ কথা বলতে চাইছিলো সবার সাথে। সে সুযোগও দেয়নি সুমনা। রাজকে রুমের মধ্যে বসিয়ে সে বাইরে আসে। এত দূর থেকে এসেছে নাস্তা পানির ব্যবস্থা করতে। সে ছাড়া যে কেউ এসব বিষয় দেখবে না, এটাও সুমনা বেশ ভালো করেই জানে। নিজেকে বড্ড অবহেলিত মনে হলো এই পর্যায়ে এসে। 

“দুই কেজি মিষ্টি লইয়া নাচতে নাচতে আইসা পড়ছে! হালার বেক্কল ছেমড়া! এইডা বলে আবার নাতিনজামাই! শ্বশুড়বাড়িতে আসতে হইলে যে, বড় মাছ থেকে পান সুপারি, দশ বারো কেজি মিষ্টি এসব আনা লাগে। হেইডা মনে হয় জানে না!” 

পুত্রবধূকে কথাগুলো বলছিলেন দিলরুবা বেগম। সেগুলো অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে শুনতে পেলো সুমনা। আরেক দফা অবাক বোধহয় হলো সে। হাফসা বেগম শ্বাশুড়িকে বললো,

“আম্মা, ওই ছেলের মিষ্টি, পান সুপুরি খাওয়ার জন্য কি আপনি আঁটকে আছেন?”

দিলরুবা বেগম ভাব নিয়ে বলে,

“একদমই না!” 
“তাহলে আর কথা বাড়াইয়েন না।” 

দিলরুবা বেগম থামলেন না, বলতেই লাগলেন আক্ষেপের সুরে,

“ভালা চাকরি বাকরি করতো। তাইলে না আনতো! না থাকলে কইত্তে আনব? গেছে তো তোর মাইয়ায় ফকিরের লগে। নিজেই কিচ্ছু পাইলো না, মাঝখানে আমার পোলাডার, সবার মনে কষ্ট দিলো। একটা দাগ দিয়া গেলো।” 

সুমনা এগিয়ে আসলো। সুমনাকে দেখে দাদী, জিগ্যেস করে,

“ভাতার লইয়া তো, রুমের ভিতরে গেলি। আবার আইছস ক্যা ছেমড়ি?” 

সুমনা সোজাসাপটা ভাবেই বলে,

“নাস্তা দিতে।” 

দিলরুবা টিটকারি করে বলে,

“তোর জামাইর ওই দুই কেজি মিষ্টির থেইকা দুইডা মিষ্টি দিবি না-কি? আমার নাতিন জামাই আনছে আমগো লাইগ্যা!” 

সুমনা বেশ বুঝতে পারলো তার দাদীর খোঁচা মারা কথা। পাছে রাজ কিছু শুনে নেয়, সেই ভয়ে চুপ রইলো। কোনো অশান্তি বা কোনো বাকবিতন্ডা আপাততো সে চাইছে না! 
·
·
·
চলবে……………………………………………………

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

WhatsApp