ফানুস - পর্ব ১৭ - মৌরি মরিয়ম - ধারাবাহিক গল্প


          প্রিয়াঙ্কার সদ্য জন্মানো বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে ওর মুখের দিকে তাকাতেই শুদ্ধর কথা মনে পড়ে গেল পেট্রার। শুদ্ধ যেদিন জন্মেছিল, সেদিন ওকে কোলে নিতেই সাদিয়া আপু বলেছিল, আমার অবস্থা ভালো না, পেট্রা। আমার কিছু হয়ে গেলে কী হবে আমার ছেলেটার?

ডাক্তারও বলেছিল বাচ্চা সুস্থ থাকলেও মায়ের অবস্থা ভালো নয়। তবু পেট্রা সান্ত্বনা দেওয়ার জন্যই বলেছিল, ‘তুমি সুস্থ হয়ে যাবে, আপু, একদম চিন্তা কোরো না।’

‘মিথ্যা সান্ত্বনা দিস না। ছেলেটাকে দেখিস বোন। ওর জন্য যা ভালো হয়, তা-ই করিস।

ওটাই ছিল সাদিয়া আপুর সঙ্গে শেষ দেখা, শেষ কথা। তার মৃত্যুর পর থেকে পেট্রা শুদ্ধকে বুকে করে বড় করেছে। শুদ্ধর মা-বাবা হওয়ার জন্য ও এবং প্রিয় বিয়ে করেছিল। ভার্সিটির হল ছেড়ে একটা বাসা নিয়ে সাজিয়েছিল নিজেদের ছোট্ট একটা সংসার।

একটা বাচ্চাকে খাওয়ানো, গোসল করানো, বাথরুম পরিষ্কার করা কিছুই পারত না পেট্রা। কিন্তু শুদ্ধর জন্য এসব করতেই হবে, তাই কীভাবে কীভাবে যেন সে সবকিছু একা একাই শিখে নিয়েছিল। কথায় বলে না, ঘাড়ের ওপর পড়লে মানুষ সব পারে! প্রিয়ও অবশ্য অনেক সাহায্য করেছিল। একটা বাচ্চার প্রথম মা বলতে পারা। হামাগুড়ি দেওয়া, হাঁটতে গিয়ে পড়ে যাওয়া, খাওয়াতে গিয়ে যুদ্ধ করা, তাকে ঘিরে নিত্যনতুন হাজারটা আবিষ্কার! এই সবকিছুর অনুভূতি যে কী হতে পারে, তা কেবল একজন বাবা ও একজন মা-ই বুঝবে। এই আনন্দের স্বাদ পেয়েছিল প্রিয় ও পেট্রা। হয়ে উঠেছিল শুদ্ধর মা-বাবা। একসময় নিজেরাই ভুলে গিয়েছিল যে শুদ্ধ তাদের নিজেদের সন্তান নয়। পেটে না ধরেও আজ সারা পৃথিবীর কাছে সে শুদ্ধর মা, প্রিয় শুদ্ধর বাবা।

পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর প্রিয়-পেট্রা তাদের সম্পর্কের কথা বাসায় জানিয়ে দেয়। কিন্তু দুই পরিবার মানছিল না। ওরা অনেক চেষ্টা করেছিল মানাতে। কোনোভাবে বোঝাতে বাদ রাখে নি। শেষ পর্যন্ত বোঝাতে না। পেরে ঢাকা ছেড়ে রাজশাহী পালিয়েছিল তারা। সেখানেই প্রিয় একটা চাকরিও জুটিয়ে নিয়েছিল। শুদ্ধর বয়স ছিল আড়াই বছর। পেট্রা কোনো চাকরির চেষ্টা করতে পারে নি। শুদ্ধ ছোট। সারাটা দিন সে রান্নাবান্না করত আর শুদ্ধকে সময় দিত। শুদ্ধর সঙ্গে কত রকম খেলা যে খেলত! সন্ধ্যাবেলা প্রিয় বাসায় ফিরলেই শুরু হতো পেট্রার সারা দিনের গল্প, ‘আজ তোর পাকনা ছেলে এটা করেছে, ওটা করেছে। কখনোবা রেগেমেগে বলত, ‘আজ খাওয়ানোর সময় অনেক জ্বালিয়েছে, কাল থেকে তোর ছেলেকে তুই খাওয়াবি, আমি অফিস করব।’

প্রিয় মুগ্ধ চোখে দেখত সুখী পেট্রাকে। শুদ্ধ ঘুমিয়ে পড়লে শুরু হতো তাদের ভালোবাসাবাসি। পেট্রা বলত, ‘এই, তোদের বাপ-ছেলের কি কোনো ক্লান্তি নেই রে? সারা দিন ছেলে জ্বালায় আর সারা রাত বাপ জ্বালায়। প্রিয় আচমকা ছেড়ে দিত পেট্রাকে। বলত, আচ্ছা ঘুমালাম।

পেট্রা হকচকিয়ে গিয়ে আমতা আমতা করে বলল, ‘আরে ছাড়তে বললাম নাকি? এমনি জানতে চাইলাম তোদের কি ক্লান্তি নেই নাকি?

প্রিয় হো হো করে হেসে আবার বুকে টেনে নিত পেট্রাকে।

কী সুখের সংসার ছিল। কিন্তু এই সুখের সংসারেও একটা ভয়ংকর দিন এসেছিল। সেই ভয়ংকর দিনটির কথা মনে পড়লে আজও শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যায়, নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। প্রিয় অফিসে চলে যাওয়ার পরপরই প্রিয়র বাবা আসে। পেট্রা যথাযথ সম্মান করেই কথা বলছিল। চা বানিয়ে রান্নাঘর থেকে ঘরে ঢুকতেই দেখল, তিনি শুদ্ধকে কোলে নিয়ে বসে আছেন। পেট্রা ওনাকে চা দিল। তিনি পেট্রাকে ডিভোর্স পেপার দিলেন। পেট্রা ডিভোর্স দিতে অসম্মতি জানাতেই উনি শুদ্ধর গলা টিপে ধরলেন। শুদ্ধর চোখ দুটো উপড়ে আসতে চাইছিল, জিহ্বা বেরিয়ে এসেছিল। এই দৃশ্য দেখে মুহূর্তের মধ্যে পেট্রা বলেছিল, ওকে ছেড়ে দিন, আমি সাইন করে দিচ্ছি।

তিনি শুদ্ধকে ছেড়ে দিতেই পেট্রা ওকে কোলে নিল। ওইটুকু বাচ্চা ব্যথায় গলা চেপে ধরে চিৎকার করে কাঁদছিল। পেট্রা কাঁদতে কাঁদতে ওকে পানি খাওয়াল। হাত দুটো কাঁপছিল ওর।

প্রিয়র বাবা এক বান্ডিল টাকা রেখে বলেছিল, ‘ভেবো না এই টাকা দিয়ে আমি তোমার স্বামীকে কিনলাম। এটা দেনমোহরের টাকা, যেটা আমার ছেলে হয়তো তোমাকে দিতে পারে নি। ডিভোর্স হচ্ছে যখন তখন আর ঝুলিয়ে রাখা যায় না, এটা তোমার প্রাপ্য।’

পেট্রা কাঁদতে কাঁদতে বলেছিল, ‘লাগবে না, নিয়ে যান আপনি। আপনারাই তো বলেন আমাদের বিয়ে বৈধ, তাহলে এসব নিয়মকানুন মানার কোনো প্রয়োজন নেই।

‘তুমি জানো নাপ্রিয় এখন অচেতন। ওকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছে আমার লোকেরা। ও আর ফিরবে না। এই টাকাটা তোমার দরকার হবে।

প্রিয়র কথা শুনে পেট্রা হতবিহ্বল হয়ে গেল। মুহূর্তেই সে ধাক্কা সামলে উঠে বলল, আমাকে নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না। তা ছাড়া, এটা আমার স্বামীর টাকা নয় যে নেব। আপনি টাকাটা নিয়ে যান। না হলে আবার এটা আপনার অফিসে বা বাসায় পাঠানোর ঝামেলায় পড়তে হবে আমাকে।’

বাবর খান টাকাটা তুলে নিলেন। পেট্রা চোখমুখ শক্ত করে বলল, ‘আপনার ছেলেকে আটকে রাখবেন, সে যেন আমার কাছে আর না আসে। আমি সত্যিই আপনার ছেলেকে আর চাই না। আপনার ছেলের মতোই আমার ছেলেও আমার কাছে অনেক প্রিয়। আমি চাই না সে আবার আজকের মতো কোনো বিপদে পড়ুক।

‘অবশ্যই মা। আমার ছেলের ব্যবস্থা আমি করছি। তুমি তোমার ছেলেকে নিয়ে ভালো থেকো।’

তারপর পেট্রা শুদ্ধকে নিয়ে মা-বাবার কাছে ফিরে এসেছিল। সেই ফিরে আসাটা খুব একটা সুখকর হয় নি। বাবা কথা বলতেন না তার সঙ্গে আর মা সারাক্ষণ খোটা দিতেন। তবে তারা জায়গা দিয়েছিল, শুদ্ধকে আপন করে নিয়েছিল। এটাই ছিল তখনকার জন্য সবচেয়ে বড় সাপোর্ট। শত অন্যায় করে এলেও মা-বাবা সন্তানকে ফেলে দিতে পারে না।

‘দি, কাঁদছিস কেন?

রায়ানের ডাকে বাস্তবে ফিরল পেট্রা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য হেসে বলল, ‘আরে পাগল, এটা কান্না নয়। দেখ না বাবুটা কী মিষ্টি হয়েছে। দেখতে! কী মায়া মুখটাতে! ওকে কোলে নিয়ে অদ্ভুত একটা অনুভূতি হচ্ছে। আবেগে চোখে পানি এসেছে।’

রায়ান যদিও বুঝতে পারে, পেট্রার বোধ হয় শুদ্ধর কথা মনে পড়েছে। এটুকু বোঝার মতো বড় সে হয়েছে, কিন্তু বোনের জন্য কিছু করার মতো ক্ষমতা হয় নি তার এখনো চাপা একটা কষ্ট ঘিরে ধরে রায়ানকে। সে কেন পেট্রার বড়ভাই না হয়ে ছোটভাই হলো?

—————

আজ শুক্রবার, অফিস নেই পেট্রার। গতকাল রাতে সে যখন প্রিয়র সঙ্গে ছিল, তখন হুট করে খবর পেয়ে হাসপাতালে চলে এসেছিল। তারপর সারা রাত হাসপাতালেই ছিল। ভোরের দিকে মা হলো প্রিয়াঙ্কা। সকালবেলা প্রিয়াঙ্কার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এলে পেট্রা রায়ানকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে সোজা বাসায় চলে এল। শিখা যদিও এলেন না। বাসায়। এসে রায়ান কোচিংয়ে চলে গেল। পেট্রা ঘণ্টাখানেক ঘুমিয়ে নিল। তারপর রান্নাঘরে ঢুকল। বলে এসেছে দুপুরবেলা হাসপাতালে খাবার পাঠাবে।

রান্নার মাঝেই একটা ফোন এল। নম্বরটা অচেনা। পেট্রা তখন মাংসে মসলা মাখাচ্ছিল। একবার ভাবল ধরবে না, পরে ব্যাক করে নেবে। পরে আবার ভাবল, অফিশিয়াল কোনো ফোন হতে পারে। বাঁ হাত দিয়ে ফোনটা রিসিভ করল, ‘হ্যালো।’

ওপাশ থেকে একটা মেয়েকণ্ঠ ভেসে এল, ‘হ্যালো পেট্রা?’

‘জি বলছি, আপনি কে বলছেন?

‘আমি নিকিতা, মিসেস প্রিয়।

পেট্রা চমকে গেল। নিকিতা ওকে কেন কল করবে? শুদ্ধর কিছু হয় নি তো? বুকে উৎকণ্ঠা নিয়ে স্বাভাবিক গলায় জিজ্ঞেস করল, ‘বলুন কী বলতে চান।

‘দেখুন, আপনার সাথে প্রিয়র যা-ই ছিল, এখন প্রিয় আমার স্বামী।

‘হ্যাঁ, আমি সেটা জানি, কিন্তু আপনি আমাকে কী মনে করে ফোন। করেছেন? আমি আপনার জন্য কী করতে পারি?

‘আপনি প্রিয়র সাথে এই অবৈধ মেলামেশা বন্ধ করুন। আপনার জন্য আমার স্বামী আমার দিকে ফিরেও তাকায় না।

‘সরি, আপনি ভুল বুঝছেন, আমাদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই।

‘আমি এত দিন ভুল বুঝে এসেছিলাম। এখন একদম ঠিক বুঝেছি। আড়াই বছর হয়েছে আমাদের বিয়ের, এক বিছানায় ঘুমাই কিন্তু একবারের জন্যও আমার স্বামী আমাকে কাছে টেনে নেয় নি। নেবে কেন, তার সব শারীরিক প্রয়োজন তো আপনিই মিটিয়ে দিচ্ছেন।

পেট্রা বিস্ময় কাটিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বলল, ‘এক্সকিউজ মি, আপনার মাথা ঠিক আছে তো? আপনি প্লিজ মাথা ঠান্ডা রেখে ভদ্রভাবে কথা বলুন।

এবার নিকিতা আরও খেপে গেল। চিৎকার করে বলল, এই বাজারি মেয়েমানুষ, তোর সাথে আবার ভদ্রভাবে কথা বলব কী রে? যখন অন্যের স্বামীর সাথে নষ্টামি করে বেড়াস, তখন ভদ্রতার কথা মাথায় থাকে না? থার্ডক্লাস ফকিন্নি ঘরের মেয়ে, তুই তো শুধু টাকার জন্য এত কিছুর পরও আমার স্বামীর সাথে সম্পর্ক চালাস। আমার স্বামীর কাছে হাত পেতে টাকা নিয়ে তুই সংসার চালাস। লজ্জা লাগে না টাকার জন্য অন্যের স্বামীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক রাখতে?

এবার রাগে গা রি রি করতে লাগল পেট্রার। তবু মাথা ঠান্ডা রেখে ইচ্ছা করেই একটু মিষ্টি করে বলল, ‘লিসেন মিসেস প্রিয়, আপনি অনেক বলে ফেলেছেন। এসব কথা শোনার মতো কোনো কাজ আমি করি নি। প্রথম কথা হচ্ছে, আমার সাথে প্রিয়র কোনো যোগাযোগ নেই। আপনাদের বিয়ের পর তিন-চারবার দেখা হয়েছে আমাদের, তবে সেটা কোনো না কোনো প্রয়োজনে। কারণ, আমার ছেলেটা প্রিয়র কাছে আছে। আর দ্বিতীয়ত, টাকার জন্য প্রিয়র সাথে সম্পর্ক রাখার কোনো দরকার নেই। নিজের সংসার চালানোর মতো টাকা আয় করার যোগ্যতা আমার আছে।’

‘ফকিন্নির ঘরের ফকিন্নি, এত বড় বড় কথা আমাকে শুনাইস না…’

বাকিটা না শুনেই পেট্রা ফোন কেটে দিল। অবাক হয়ে ভাবতে লাগল নিকিতার বলা কথাগুলো।

ওদিকে ফোন কেটে দেওয়ায় নিকিতা রাগে গজগজ করতে লাগল। আরও কয়েকবার ফোন করল কিন্তু পেট্রা ধরল না। কাল তাকে প্রিয়র সঙ্গে কী অবস্থায় দেখেছে, সেটাই বলতে চেয়েছিল শেষে। কিন্তু বলার আগেই ফোন কেটে দিল। ধ্যাত! বললে পরে দেখা যেত এত বড় বড় কথা কোথায় যায়! তবু কিছু কথা তো শোনাতে পেরেছে, এবার নিশ্চয়ই এই ঘটনা নিয়ে প্রিয়-পেট্রার মধ্যে ঝগড়া হবে। রাগ করে পেট্রা আর প্রিয়র সঙ্গে যোগাযোগই করবে না। প্রিয় এ ব্যাপারে ওকে কিছু বললে নিজেকে সেভ করার অস্ত্র তো ওর কাছে আছেই!

পেট্রার খুব খারাপ লাগছিল এসব শুনে। কোনো যোগাযোগ তো নেই তাদের মধ্যে। প্রিয়র সঙ্গে কথা বলতে খুব ইচ্ছা করলে রেকর্ডিং শোনে পেট্রা, তবু ফোন করে না। প্রিয়কে খুব দেখতে ইচ্ছা করলেও দেখা করে না। ও তো জানে প্রিয়র ওপর ওর আর কোনো অধিকার নেই। সব অধিকার তো ছেড়েই দিয়েছে। তবু প্রিয় হুটহাট চলে এসে পাগলামি করলে পেট্রা কী করবে? আরও কঠিন হবে? দরকার হলে হবে, আজকাল সবই পারে পেট্রা। হঠাৎ পোড়া গন্ধ নাকে লাগতেই ফ্রাইপ্যানের ঢাকনা তুলে দেখল মাছগুলো পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে প্যানটা নামিয়ে চুলায় মাংস বসাল।

রান্নাবান্না শেষ করে পেট্রা সব গুছিয়ে রাখল। রায়ান কোচিং থেকে ফিরে খাবার নিয়ে হাসপাতালে চলে গেল। রায়ান বেরিয়ে যাওয়ার পর পেট্রা প্রিয়কে ফোন করল। প্রিয় ফোন ধরে বলল, ‘সূর্য কোন দিকে উঠেছে আজ?

যেদিকে প্রতিদিন ওঠে, সেদিকেই উঠেছে। আচ্ছা প্রিয়, তুই কোথায়?

নামাজ পড়ে ফিরলাম মাত্র।

‘শুদ্ধ কী করছে?

‘শুদ্ধ খাচ্ছে।

‘তুই খাবি না?

‘হ্যাঁ, পরে খাব। তুই বল তো।’

‘তুই দশটার দিকে কোথায় ছিলি?

‘বাজারে। কেন?

এমনি। শোন, তুই খেয়ে নে। আমি বিকেলে তোকে একটা অডিও মেইল করব। শুনে আমাকে কল দিস।’

‘কিসের অডিও? এক্ষুনি দে।’

‘এখন দিতে পারব না। জেদ করিস না।

এ কথা বলে পেট্রা ফোন রেখে দিল। রেকর্ডিংটা এখন পাঠালে প্রিয়র খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে এটা চায় না পেট্রা। অটো রেকর্ডার ছিল বলে নিকিতা আর ওর কনভারসেশনটা রেকর্ড হয়েছে। সেটাই প্রিয়কে পাঠাবে সে। এই ভুল-বোঝাবুঝির শেষ হওয়া দরকার। যা ও করে নি, তার দায় সে কেন নেবে?

প্রিয় লাঞ্চের পর ড্রয়িংরুমের সোফায় শুয়ে টিভি দেখছিল আর ভাবছিল, কিসের অডিও পাঠাবে পেট্রা! ভাবতে ভাবতে সময় যেন যাচ্ছিল না। অবশেষে বিকেলবেলা অডিওটা পেল প্রিয়। আয়েশ করে বসে হেডফোন লাগিয়ে প্লে করল।
·
·
·
চলবে..................................................................................

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

WhatsApp